1. info@jonomoth.com : admi2017 : জনমত নিউজ
  2. jonomoth24@gmail.com : Jonomoth .com : Jonomoth News .com
  3. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser

শায়েস্তাগঞ্জে হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির অভিযোগ

*প্রতিনিয়ত আইনের প্যাঁচে ফেলে চালক ও গাড়ি মালিকদের থেকে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে নগদ অর্থ…

চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এ চাঁদাবাজিতে অতিষ্ঠ পরিবহন মালিক ও চালক।

টাকার বিনিময়ে ‘মাসিক টোকেন’ না নিলে গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক থাকলেও নানাভাবে হয়রানির শিকার হতে হয়। এদিকে সরকার মহাসড়কে তিনচাকার যানবাহন চলাচল নিষিদ্ধ করায় হাইওয়ে পুলিশের চাঁদাবাজির নতুন ক্ষেত্র সৃষ্টি হয়েছে। টোকেন নিয়ে মহাসড়কে নির্বিঘেœ চলাচল করছে অটোরিকশা।

সম্প্রতি চুনারুঘাট-শায়েস্তাগঞ্জ পুরাতন মহাসড়কের হাইওয়ে থানার সামনে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার্থীবাহী অটোরিকশা আটক করে থানায় নিয়ে যায় হাইওয়ে পুলিশ। এ সময় গাড়ির সঙ্গে থানায় আটকে থাকতে হয়েছে পরীক্ষার্থীদেরকেও। পরে পুলিশ গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার পর তড়িঘড়ি করে পরীক্ষায় বসতে হয়েছে এসব শিক্ষার্থীকে।

অটোরিকশাচালকরা জানান, অধিকাংশ অটোরিকশা মহাসড়কে চলাচল করে না। যাঁরা মহাসড়কে অটোরিকশা চালান, তাঁরা হাইওয়ে পুলিশের কাছ থেকে টোকেন নেন। টোকেন নিলে মহাসড়কে চলাচল করতে কোনো সমস্যা হয় না।

চুনারুঘাট উপজেলার শায়েস্তাগঞ্জ (নতুন ব্রীজ) সিএনজি স্ট্যান্ডের অটোরিকশাচালক মোঃ ইলিয়াছ জানান, সরকার মহাসড়কে অটোরিকশাসহ তিন চাকার গাড়ি চলাচল নিষিদ্ধ করায় হাইওয়ে পুলিশের সাপে বর হয়েছে। আগে মাঝে-মধ্যে গাড়ি আটক করে ওরা ১০০-২০০ টাকা দিলে ছেড়ে দিত। এখন তাদের সঙ্গে মাসিক চুক্তি না করলে গাড়ি চালানো যায় না। মাসিক ২০০০ থেকে ৩০০০ টাকা পর্যন্ত টোকেনের মূল্য রয়েছে।

চুনারুঘাট মধ্য বাজার এলাকার অটোরিকশাচালক মোঃ আবছার বলেন, ‘আমরা টোকেন নেইনি। গাড়ি নিয়ে মহাসড়কে যাইও না। কিন্তু এবারের জেএসসি পরীক্ষার্থীদের একটি ভাড়া নিয়ে মহাবিপদে পড়েছিলাম। হাইওয়ে পুলিশ পরীক্ষাকেন্দ্রে যাওয়া-আসার পথে গাড়ি আটক করে টাকা নিয়েছে। চুনারুঘাট উপজেলার ট্রাক স্ট্যান্ডের মিনি ট্রাকের মালিক মোঃ ইউনুছ বলেন, ‘হাইওয়ে পুলিশের যন্ত্রণায় মাঝে- মধ্যে গাড়ি বিক্রি করে দিতে ইচ্ছা করে। গাড়ির সব কাগজপত্র ঠিক থাকা সত্ত্বেও তাদের কাছ থেকে মাসিক টোকেন নিতে হয়। টোকেন না নিলে নানা হয়রানি করে।

মোঃ মহিউদ্দিন নামে এক ট্রাকচালক বলেন, ‘গাড়ির বৈধ কাগজপত্র থাকলেও টোকেন না নিলে পথে পথে হয়রানির শিকার হতে হয়।

শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন সম্প্রতি জেএসসি পরীক্ষার্থীবাহী গাড়ি আটক করে হাইওয়ে থানায় নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আটক করা হয়েছিল সত্য। তবে পরে পরীক্ষার্থী, চালক, অভিভাবক ও শিক্ষকদেরকে মহাসড়কে তিন চাকার যান চলাচলের ভয়াবহতা সম্পর্কে ধারণা দিয়ে মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।’ টোকেন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরা কাউকে কোনো টোকেন দেইনি। আগে পুলিশের নামে বাহার উদ্দিন নামের এক লোক টোকেন দিতেন। আমরা তাঁকে নিষেধ করেছি।

সোমবার রাতে শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি জসিম উদ্দিন মহাসড়ক থেকে ২০টি সিএনজি (অটোরিক্সা) আটক করেন। পরে রাতের আধারে ১০ হাজার টাকা করে ঘুষ নিয়ে ২০টি গাড়ির মধ্যে ১২টি গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শায়েস্তাগঞ্জ হাইওয়ে থানায় জসীম উদ্দিন ওসি হিসেবে যোগদানের পর থেকে ‘গাড়ির বৈধ কাগজপত্র থাকলেও টোকেন না নিলে পথে পথে হয়রানির শিকার হচ্ছেন গাড়ির চালকরা।

     এই ক্যাটাগরীর আরো খবর