উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে উত্তেজনার মধ্যেই দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। গতকাল সোমবার থেকে এ মহড়া শুরু হয়। এদিকে, জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত উত্তর কোরিয়া রপ্তানি খাত থেকে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার আয় করেছে বলে জানা গেছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট মুন জে-ইন তাঁর মন্ত্রিসভার সদস্যদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাঁর দেশের সেনাবাহিনীর এই যৌথ মহড়া পুরোপুরি আত্মরক্ষামূলক। কোরীয় উপদ্বীপে উত্তেজনা বৃদ্ধি এর উদ্দেশ্য নয়। তিনি বলেন, শান্তি রক্ষায় আমাদের এ প্রচেষ্টার কারণে উত্তর কোরিয়ার উত্তেজিত হওয়া বা উসকানিমূলক কোনো কিছু উচিত হবে না, যার কারণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়।
এই যৌথ সামরিক মহড়া ৩১ আগস্ট পর্যন্ত চলবে। পারমাণবিক শক্তিধর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রস্তুতি হিসেবে এতে কম্পিউটার-নিয়ন্ত্রিত ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও অবশ্য দক্ষিণ কোরিয়ার সুরে সুর মিলিয়ে বলেছে, তাদের এই মহড়া ‘আত্মরক্ষামূলক প্রকৃতির’। মার্কিন সেনাবাহিনীর মুখপাত্র মাইকেল থমাস বলেন, ‘বড় কিছু ঘটে গেলে তার প্রস্তুতি হিসেবে এর (মহড়ার) উদ্যোগ এবং দক্ষিণ কোরিয়াকে রক্ষা করা আমাদের প্রয়োজন।’
তবে উত্তর কোরিয়ার সংবাদমাধ্যম যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার ওই দাবিকে ‘কূট চাল’ বলে মন্তব্য করেছে। পিয়ংইয়ং এর আগেও এ ধরনের মহড়াকে তার ওপর হামলার প্রস্তুতি বলে মনে করেছে। অতীতে এ ধরনের মহড়ার সময় ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপও নিয়েছে তারা।
এদিকে, জাপানের সংবাদ সংস্থা কিওডো গতকাল এক খবরে বলেছে, জাতিসংঘের এক গোপন প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পরোক্ষ ব্যবস্থা অবলম্বন করে উত্তর কোরিয়া বিশ্ব সংস্থাটির নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে আয় অব্যাহত রেখেছে। গত ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত রপ্তানি খাত থেকে পিয়ংইয়ংয়ের আয় হয়েছে ২৭ কোটি মার্কিন ডলার।