নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ সদর উপজেলার খোয়াই নদীর চর যাদবপুর এলাকায় আব্দুল কদ্দুছ (৪০) নামে এক কুখ্যাত ডাকাতকে হাত-পা বেধে জবাই করে হত্যা করা হয়েছে।
পরে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
বুধবার (১৫ নভেম্বর) বিকালে সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ খবর পেয়ে ওই এলাকায় পৌছে লাশের ছুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করেন।
নিহত কদ্দুছ লাখাই উপজেলার বুল্লা ইউনিয়নের চরগাও গ্রামের মৃত জবান উল্লার পুত্র।
লাশ উদ্ধারের সময় নিহতের পকেট থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকালে খোয়াই নদীর চরে জবাই করা ও হাত পা বাধা অবস্থায় একটি লাশ দেখতে পান স্থানীয় লোকজন। পরে বিষয়টি সদর থানা পুলিশকে অবগত করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে পৌছায়।
নিহতের স্বজনরা জানান, কদ্দুছ বেশ কিছুদিন ধরে একটি সেচ প্রকল্পের পাহারাদার হিসেবে কাজ করে আসছে। মঙ্গলবার রাত থেকে তাকে খুজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তাকে বিভিন্ন স্থানে খুজাখুজির পরও আর পাওয়া যায়নি। বিষয়টি লাখাই থানা পুলিশকেও অবগত করা হয়।
বুধবার লাশ উদ্ধারের খবর পেয়ে লাখাই থানা পুলিশও ঘটনাস্থলে যান। তবে কি কারণে এ নৃশংস হত্যাকান্ড সে সম্পর্কে কিছু বলা যাচ্ছে না।
একটি বিশ্বস্থ সূত্র জানায়, কদ্দুছ দীর্ঘদিন যাবত ডাকাতির সাথে জড়িত। জেলার বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করতে গিয়ে জনতার হাতে ধরাশায়ীও হয়েছে। তার বিরুদ্ধে জেলার বিভিন্ন থানায় হত্যা ও ডাকাতিসহ প্রায় হাফডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় এলাকাবাসীর ধারণা, ডাকাতির ভাগবাটোয়ারা নিয়েও এ হত্যাকান্ডটি সংঘটিত হতে পারে। তবে এ বিষয়ে কদ্দুছের কোন নিকট আত্মীয়ের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ ব্যপারে সদর থানার এসআই মির্জা মাহমুদুল করিম জানান, কদ্দুছের গলা, ঘাড়, মুখ, পেটসহ শরীরের বিভিন্নস্থানে ২০টি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মোক্তার হোসেন বেনু জানান, খবর পাওয়া মাত্র বিষয়টি পুলিশকে অবগত করা হয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে লাশ উদ্ধার করে।
লাখাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বজলার রহমান জানান, আব্দুল কদ্দুছের বিরুদ্ধে ডাকাতি ও হত্যাসহ লাখাই থানায় ৪টি মামলা রয়েছে। এছাড়াও বানিয়াচং থানায়ও তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।
হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) ডালিম আহমেদ জানান, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ডাকাতি ও হত্যাসহ প্রায় হাফডজন মামলা রয়েছে। তবে যেহেতু এটি একটি হত্যাকান্ড, সেহেতু অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।