অনলাইন ডেস্ক : তিন চাকার ‘প্রাইভেট কার- মোটর বাইকের কথা মনে হতেই চোখের সামনে ভেসে উঠে দুই চাকার কোন যন্ত্র চালিত বাহনের ছবি। সহজে গন্তব্যে যাওয়ার এই বাহনটি অনেক সময় স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বাইক চালানোর সময় মেরুদন্ড সোজা রাখা কষ্টসাধ্য। বিশেষ করে স্পোর্টস বাইকগুলো চালানোর সময় সামনের দিকে কিছুটা ঝুঁকতে হয়। ফলে ব্যাক পেইন হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
এমন যদি হয় আপনি বসে আছেন আরামদায়ক কোনো চেয়ারে। সেই চেয়ারে বসেই আপনি বাইক চালাবেন। মোটর বাইকের মত কষ্ট করে ব্যালেন্স রাখতে হবে না।
বরং চেয়ারে হেলান দিয়ে আরামসে বাইক চালিয়ে পৌঁছে যাবেন গন্তব্যে। এমনই একটি তিন চাকার বাহন এনেছে আকিজ মোটরস। বাইকটির নাম ‘বন্ধু’।
মজার বিষয় হচ্ছে, এই বাইক চালানোর জন্য জ্বালানি ভরতে নিত্যদিন পেট্রোল পাম্পে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। কেননা, এটি ইলেকট্রিক বাইক। আপনার বাসা-বাড়িতে বসেই এটাকে চার্জ দিতে পারবেন।
‘তিন চাকা বলে এতে ব্যালেন্স রাখার চ্যালেঞ্জ নেই। এমনকি সাইকেল চালানোর বিদ্যা ছাড়াও আপনি এই বাইকটি চালাতে পারবেন। তরুণী বা মহিলাদের জন্য এই বাইকটি হতে পারে আদর্শ বাহন।’
‘বন্ধু’ চালিয়ে নিজের অভিজ্ঞতার কথা বলছিলেন আকিজ গ্রুপের তেজগাঁও শাখার সার্ভিস ম্যানেজার হানুফা আক্তার পান্না।
তিনি ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৪৮ ভোল্টের ২০ অ্যাম্পিয়ার আওয়ারের ব্যাটারি। এই বাইকটি ফুল চার্জ দিয়ে আপনি অনায়াসে মতিঝিল-উত্তরা-মতিঝিল ঘুরে আসতে পারবেন।
এক চার্জে ৫০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেবার ক্ষমতা রয়েছে ই-বাইকটির। গতিও নেহায়েত কম নয়। ‘বন্ধু’র সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৪৫ কিলোমিটার।
শব্দ ও জ্বালানি বিহীন এসব বাইকে শক্তিশালী ও উন্নতমানের জেল ব্যাটারি ব্যবহার করা হয়েছে। ‘বন্ধু’তে সিটের মাঝখানে জিনিসপত্র রাখার সুপরিসর জায়গা রয়েছে।
এছাড়া সিটের নিচের অংশে অনায়াসে নিজের হেলমেট থেকে শুরু করে আনুসঙ্গিক জিনিসপত্র লক করে রাখতে পারবেন। সিটের হেলান দেয়ার পেছনের অংশেও রয়েছে লক সুবিধাসহ স্টোরেজ।
মোটকথা, নিজের প্রয়োজনীয় সব জিনিসপত্র অনায়াসে এই বাইকে নিয়ে চলে যেতে পারবেন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়।
তিন চাকার এই বাইকটিতে থ্রটলের নিচের সুইচে রয়েছে ব্যাক গিয়ার। সুইচটি চেপে বাইক থেকে না নেমে মোটরের সাহায্যে সহজে বাইকটিকে পেছনে নেয়া যাবে।
পক্ষাঘাত গ্রস্থদের জন্য এটি আদর্শ বাহন। এই বাইকে পায়ের কোন কাজ নেই। দুই হাতে ব্রেক রয়েছে। ডান হাতে থ্রটল। থ্রটল যত ঘোরানো হবে ততই গতি বাড়বে। থ্রটল ছেড়ে দিলে ধীরে ধীরে বাইকের গতি কমে আসবে।
‘বন্ধু’তে রয়েছে ডিজিটাল স্পিডো মিটার। এতে গতি, ব্যাটারির চার্জ, হাইবিম ইন্ডিকেটরসহ নানাবিধ তথ্য প্রদর্শন করে। সামনের অংশে রয়েছে আকর্ষণীয় সাইড লাইট। নিরাপত্তার জন্য বাইকটিতে কি লকের পাশাপাশি রিমোট লক ব্যবহার করা হয়েছে।
বাইকটির হ্যান্ডেল বারের ঠিক নিচেই রয়েছে পানির বোতল, মোবাইল ফোন, ওয়ালেট বা ছোট খাট জিনিসপত্র রাখার ঝুড়ি। বাইকের হাতলটি নমনীয় করে তৈরি করা হয়েছে। তাই সিটে বসার সময় হাতল সরিয়ে সহজেই বসা যায়। ই-বাইকটির ব্যাটারি এবং মোটরে ৬ মাসের বিক্রয়োত্তর সেবা দেবে আকিজ মোটরস।
এতসব সুযোগ সুবিধাসহ দৃষ্টিনন্দন এই ই-বাইকটির মূল্য ৯২ হাজার ৫০০ টাকা। ১৫ জানুয়ারি থেকে বাইকটি পাওয়া যাবে আকিজ মোটরস এর সকল শো রুমে। চাইলে এটি কেনার জন্য আগাম ফরমায়েশ দেয়া যাবে।