আব্দুর রাজ্জাক রাজু, চুনারুঘাট : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের নরপতি কুতুবুল আউলিয়া দাখিল মাদ্রাসার একটি ঘরে গরুর খামার করেছেন নৈশ প্রহরী সিরাজ মিয়া। তিন বছর যাবৎ গরুর খামার দেয়ায় ছাত্রছাত্রী ও শিক্ষকরা মারাত্মক বিড়ম্বনার পড়েছেন।নৈশ প্রহরী সিরাজ মিয়ার কান্ডজ্ঞানহীন এহেন আচরনে এলাকাবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
রবিবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দীর্ঘ ৩ বছর যাবৎ কর্তৃপক্ষের নাকের ডগায় মাদ্রাসার পিছনে গরু ছাগলের খামার করে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট করছেন। মাদ্রাাসা মাঠসহ কয়েকটি রুমে ৭/৮ টি গরুর চড়ানো রয়েছে।
একদিকে ছাত্রছাত্রীদের চলাচলে বিঘ্ন হচ্ছে অন্যদিকে খেলাধুলা থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা জানায়, সামনের গাছের সঙ্গে বাঁধা একটি বড় গরু খুব জোরে জোরে ডাকছে। প্রতিনিয়ত গরু-ছাগলের ডাক ও বর্জ্যে বিরক্তিকর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হচ্ছে শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের।
এ ব্যাপারে শিক্ষকের সাথে কথা বলেও কোনো ফল পাওয়া যায়নি। গরু-ছাগলের অত্যাচারে মাদ্রাসার সৌন্দর্যের প্রতীক খেলার মাঠ হারাতে বসেছে। মাদ্রাসার খেলার মাঠটি গরু-ছাগলের বর্জ্যে পরিপূর্ণ যেন গো -চারণ ভূমিতে পরিণত হয়েছে ।
নৈশ প্রহরীর সিরাজ অতিরিক্ত আয়ের উৎস হিসেবে মাদ্রাসার ভেতরে গরু-ছাগল পালন করার কথা স্বীকার করেছে। নৈশ প্রহরী মাদ্রাসার কাজে ফাঁকি দিয়ে গরুর খামারকে প্রধান পেশা হিসাবে নিয়েছেন।
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে ফোন দিলে তিনি সত্যতা যাচাই করে ব্যবস্থা নেয়ার কথা বলেন।
এ ব্যাপারে নৈশ প্রহরী সিরাজ মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি ম্যানেজিং কমিটির উপর দায় চাপিয়ে দেন।
এ দিকে মাদ্রাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি চুনারুঘাট সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ লিয়াকত হাসান বলেন,বিয়ষটি তিনি জানেন।