নুর উদ্দিন সুমন : মাধবপুর উপজেলার আদাঐর ইউনিয়নের আদকাপাড়া গ্রামের বেশ কয়েকটি পরিবারের ঘরবাড়ি সোনাই নদীর ভাঙ্গনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেছে। ভাঙনের তীব্রতায় সেখানকার কাচাবাড়িসহ ২৫ টি বসত ঘরের ভিটে মাটি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের মুখে রয়েছে একাধিক বাড়িঘর, গত শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় ওই স্থানে ভাঙ্গন দেখা দেয়। ভাঙ্গনের সংবাদ শুনে রাতেই খবর পেয়ে লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। লোকজন ঘটনাস্থলে এসেই যোগাযোগ করেন জেলা প্রশাসকসহ পুলিশ প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সাথে। ভাঙ্গনের সংবাদ শুনে গতকাল রবিবার বিকাল ৪ টায় ক্ষতিগ্রস্তদের পাশে ছুটে যান জেলা প্রশাসক মোঃ মাহমুদুল কবির মুরাদ।এসময় জেলা প্রশাসক ভাঙ্গনস্থলে প্রায় ঘন্টার মত অবস্থান নেন এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বিভিন্ন স্থানে যোগাযোগ করেন । জেলা প্রশাসক পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টদেরকে ত্বরিৎ গতিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার নির্দেশ দেন ও ভাঙ্গন সম্পর্কে অবহিত হন। এ সময় জেলা প্রশাসক এলাকাবাসীকে ধৈর্য ধারণের আহ্বান জানান। পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ জানান, নদীতে পানির প্রচণ্ড চাপ থাকায় এলাকা রক্ষা বাঁধের পয়েন্টে ভাঙন দেখা দেয়। ভাঙন রোধে জরুরি ভিত্তিতে ঠিকাদার নিয়োগ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভাঙনস্থানে পাউবো’র কাজ এখানো শুরু হয়নি। এদিকে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ জানান ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর নামের তালিকা তৈরি করার জন্যে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছি, আমাদের একটা প্রকল্প জমা দেয়া আছে, সেটা মন্ত্রণালয় থেকে পাশ হলেই আমরা কাজে হাত দেব।
এলাকাবাসী জানান, প্রতি বছরই বর্ষা মৌসুমে নদী ভাঙ্গন হচ্ছে। স্থায়ীভাবে বাঁধ ও ভাঙ্গন রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। ভাঙ্গন রোধে যে পরিমাণ কাজ হচ্ছে তা অপরিকল্পিত। সেখানে ৫০ থেকে ৬০ ফুট পানির গভীরতা বিরাজ করছে এবং নদীর তীব্র স্রোত সেখানে ঘুরপাক খাচ্ছে। এ কারণে এলাকায় নদী ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে। এসময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ভারপ্রাপ্ত সহকারী কমিশনার (ভূমি), মোঃ মতিউর রহমান খান,স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ওয়ার্ড সদস্য এবং সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য এসময় উপস্থিত ছিলেন।