নুর উদ্দিন সুমন : চুনারুঘাট কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য উপজেলার কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে। গতকাল দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপজেলার প্রায় ৯০জন কৃষক কৃষাণি অংশ গ্রহন করেন। কৃষি প্রযুক্তি হস্তান্তর ও কৃষকদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কৃষি উন্নয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম ঘনবসতিপূর্ণ কৃষি প্রধান একটি দেশ।
বিশাল জনসংখ্যার খাদ্য ও পুষ্টি যোগানের পাশাপাশি কর্মসংস্থান সৃষ্টি, আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন ও দারিদ্র্য দূরীকরণে কৃষি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য সীমিত সম্পদের সর্বোত্তম সুষ্ঠু ব্যবহার করা প্রয়োজন। দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করার জন্য পরিবেশবান্ধব টেকসই লাভজনক কৃষি উৎপাদন, বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার সঙ্গে কৃষির আয়োজন কৌশল এবং কৃষি যান্ত্রিকীকরণ জনপ্রিয় করার জন্য আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণের আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ে কৃষক প্রশিক্ষণ দেওয়া প্রয়োজন।
হবিগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী বলেন, প্রস্তাবিত এ প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি, কৃষকের কারিগরি দক্ষতা বৃদ্ধি করে বৈশ্বিক জলবায়ুর সঙ্গে কৃষির অভিযোজন, কৃষক প্রশিক্ষণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও কৃষক পর্যায়ে সম্প্রসারণ সেবা জোরদার করা হবে। তাই প্রকল্পটি এ পরিকল্পনার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। কৃষক প্রশিক্ষণকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপদান ও আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি মাঠ পর্যায়ে সম্প্রসারণের মাধ্যমে কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধি ও গ্রামীণ কৃষকদের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে প্রকল্পটি গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে। সম্পূর্ণ সরকারি তহবিলের অর্থে ‘উপজেলা পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য কৃষক প্রশিক্ষণ (তৃতীয় পর্যায়)’ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিধপ্তর।
এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি অফিসার মোঃ জালাল উদ্দিন সরকার বলেন, কৃষকদের ফসল উৎপাদনের আধুনিক কলাকৌশল ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের ওপর নির্ভরশীল। কৃষকের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থার উন্নয়নের ক্ষেত্রে তাদের আধুনিক কৃষি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে প্রশিক্ষিত করা এবং মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তি হস্তান্তরের জন্য এই প্রকল্পটি প্রস্তাব করা হয়েছে।