চুনারুঘাট প্রতিনিধি: নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁও এলাকার কাঁচপুরে দায়িত্ব পালনকালীন সময়ে শুক্রবার ভোর রাত ৫.৩০ মিনিটের সময় ট্রাকের চাপায় নিহত এসআই ফরিদ মিয়ার দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার আহমদাবাদ ইউনিয়নের গেরারুক গ্রামের জমাদার বাড়ির সন্তান ফরিদ মিয়াকে শুক্রবার বিকেল ৫টায় রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে।
এর পূর্বে বাদ আছর তার জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী, পৌর মেয়র নাজিম উদ্দিন, চুনারুঘাট থানার ওসি (তদন্ত) আলী আশরাফ, সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল লতিব, চুনারুঘাট রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি নুরুল আমিনসহ এলাকায় কয়েক হাজার মুসল্লী অংশ নেন।
বেলা ৩ টায় নিহত এস আই ফরিদ মিয়ার লাশ তার গ্রামের বাড়ি গেরারুক গ্রামে পৌছলে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারনা হয়। ছেলের লাশ দেখে বৃদ্ধা মাতা বার বার মুর্ছা যাচ্ছিলেন। ৪ বছরের একমাত্র মেয়ে বার বার বাবার লাশে দিকে তাকিয়েছিল। বাবা মারা গেছে এ বোধও তার হয়নি।
নিহতের আত্বীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধবসহ বিভিন্ন স্তরের মানুষ তার বাড়িতে ভীড় করে। শোকের মাতম চলছে এখন নিহত এসআই ফরিদ মিয়ার বাড়িতে। শোকে বিহবল হয়ে পড়ে বাড়িতে আসা শত শত মানুষ।
প্রসঙ্গত, গেরারুক গ্রামের মৃত মানিক মিয়া জমাদারের ছেলে ফরিদ মিয়া ১৯৯৮ সালে এসএসসি পাশ করে। পরের বছরই সে পুলিশে কনষ্টেবল হিসেবে যোগদান করে।
অত্যন্ত মেধাবী ও কাজে দক্ষ ফরিদ মিয়া গত ২০ বছরেই পুলিশের এসআই হিসেবে পদোন্নতি লাভ করে। অত্যেন্ত ভাল ছেলে ছিল বলে গ্রামের সকলেই জানায়। জানাজায় তার সম্পর্কে নানা গুনাগুন তুলে ধরেন এলাকাবাসী।
ফরিদ মিয়া মারা যাওয়ার সময় তার স্ত্রী, ৪ বছরের একমাত্র মেয়ে, বৃদ্ধা মাতা এবং চার বোন রয়েছে।