স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে ‘মসজিদ ভিত্তিক কোরান শিক্ষা কেন্দ্র’র দখল নিয়ে সাবেক ইমাম ও মসজিদ কমিটির সদস্যরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন।
কোরান শিক্ষা কেন্দ্রটি কাল্পনিক একটি মসজিদে স্থানান্তরের পাঁয়তারা করার কারণে সাবেক ইমাম-মসজিদ কমিটির সমস্যরা এখন মুখোমুখি অবস্থানে। এনিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
মুসল্লীরা জানান- উপজেলার আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের গেড়ারুক জামে মসজিদে ইসলামী ফাউন্ডেশন কর্তৃক ‘ মসজিদ ভিত্তিক কোরান শিক্ষা কেন্দ্র’ স্থাপিত হয় মাওলানা আঃ হাই ইসামের দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে।
চলতি বছরের ২৪ এপ্রিল সেই ইমাম চাকরি ছেড়ে অন্য চলে গেলে মসজিদ কমিটি ৩০ এপ্রিল নতুন ইমাম নিয়োগ দেয় কিন্তু সাবেক ইমাম ‘গাউছিয়া মক্তব’ নামে কোরান শিক্ষা কেন্দ্র’ দেখিয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশন থেকে বেতন ভাতা উত্তোলন করতে থাকেন।
বিষয়টি গেড়ারুক মসজিদ কমিটির সদস্যদের নজরে আসলে কমিটির সভাপতিসহ ৭২ জন মুসল্লী বিষটি লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানান।
আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্বাহী অফিসার সত্যজিৎ রায় দাশ এ বিষয়ে সরেজমিন পরিদর্শন পূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৩ জুলাই ইসলামী ফাইন্ডেশনের স্থানীয় সুপারভাইজারকে নির্দেশনা প্রদান করেন।
মসজিদ কমিটির সভাপতি হাজী জিতু মিয়া বলেন- “সাবেক ইমাম আঃ হাই কোরান শিক্ষা কেন্দ্রটি রেলওয়ের ভুমিতে যেখানে সাবেক ইমাম বসবাস করছেন সেখানে স্থানান্তরের জন্য টেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।”
তিনি আরো বলেন- “সুপারভাইজার অদ্যাবদি সরেজমিন পরিদর্শনে আসেন নি।”
এ বিষয়ে ইসলামী ফাউন্ডেশনের সুপারভাইজার জিয়াউর রহমান জানান- তিনি যথারীতি প্রতিবেদন দাখিল করেছেন তবে এ বিষয়ে খোলাসা করে কিছু বলেন নি।
সাবেক ইমাম ও নিকা রেজিস্টার আঃ হাই জানান- তার বাসাতে গাউছিয়া মক্তব চালু করা হয়েছে। কোরান শিক্ষা কেন্দ্রটি এখান থেকেই পরিচালিত হবে।
করোনায় আক্রান্ত হয়ে চুনারুঘাটের ইউএনও হোম কোয়ারান্টাইনে রয়েছেন। এজন্য এ ব্যাপারে চুনারুঘাটের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল জানান- তিনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না।
মুসল্লীরা বলেছেন- গেড়ারুক মসজিদের স্থাপিত কোরান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রটি কোনো অবস্থাতেই অন্যত্র স্থানান্তর করতে তারা দিবেন না। কেন্দ্রটি যেখানে চালু করার চেষ্টা করা হবে সেখানেই তারা বাঁধার সৃষ্টি করবেন।