হরিণাকুণ্ডু, (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি : “পুলিশ জনতা, জনতাই পুলিশ। পুলিশ জনগনের বন্ধু। সেবাই পুলিশের ধর্ম।” কথাটি প্রচলিত থাকলেও বাস্তবে কমই দেখা যায়। কিন্তু কথাটির যথার্থতা প্রমান করে দিল ওসি হরিণাকুণ্ডু থানা।
ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলার কাপাশহাটিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের অসহায় আক্কাচ আলীর শারিরীক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধি মেয়ে লিপি খাতুন (২০) একই গ্রামের প্রতিবেশী কাঙাল মন্ডলের ছেলে লম্পট সদর উদ্দীন কর্তৃক ধর্ষিত হয়ে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশের কাছে আইনি সহায়তা চাইতে গেলে উক্ত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রহিম মোল্লা, চরিত্রহীন লম্পট সদর উদ্দিনকে আসামী করে একটি ধর্ষন মামলা রেকর্ড করেন।
যাহা হরিণাকুন্ডু থানার মামলা নং ০১ তাং ০১/০৮/২০২০। এরই সুত্রধরে মামলার তদন্ত চলাকালীন সময়ে আসামী সদর উদ্দিনকে গ্রেফতার করে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে হরিণাকুন্ডু থানা পুলিশ।
এরপর ওসি আব্দুর রহিম মোল্লা ছুটে যান অসহায় পরিবারটির খোঁজখবর নিতে, এসময় তিনি ঐ অসহয় পরিবারটিকে মানবিক সহায়তা হিসাবে নগদ তিন হাজার টাকা সহায়তা প্রদান করেন। এটি একটি পুলিশি সেবার অনন্ন দৃষ্টান্ত।
এবিষয়ে জানতে চাওয়া হলে ঐ প্রতিবন্ধি মেয়েটির বাবা বলেন, “ভেবেচিলাম আমরা গরীব মানুষ হয়ত বিচার পাবো না কিন্তু আসামী ধরা পড়াতে বুঝতে পারছি পুলিশ অসহায়ের পাশে থাকে। সেইসাথে থানার বড় দারোগা (ওসি) আমাদের বাড়িতে এসে তিন হাজার টাকা দিয়ে গেল। পুলিশের কাজে আমরা খুব খুশি ও উপকৃত হয়েছি। পুলিশের দেওয়া টাকা দিয়ে আমার প্রতিবন্ধি মেয়েটির চিকিৎসা করাতে পারবো।”
হরিণাকুণ্ডু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রহিম মোল্লা বলেন, “আসামী গ্রেফতার পুলিশের দ্বায়িত্ব আর আর্থিক সহায়তা পুলিশের মানবিকতা।”
এসময় উপস্থিত ছিলেন- এস আই জগদিশ চন্দ্র বসু ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য।