আইন ও আদালত – Jonomoth.Com https://jonomoth.com জনমত নিউজ । A Online Newspaper Sat, 20 Apr 2019 07:14:28 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.5.11 155563395 বিনা বিচারে কারাভোগ করছেন ৫ শতাধিক বন্দি! https://jonomoth.com/archives/7177 https://jonomoth.com/archives/7177#respond Sat, 20 Apr 2019 07:14:28 +0000 http://jonomoth.com/?p=7177

জনমত রিপোর্ট : সারাদেশে ৬৮টি কারাগারে প্রায় ৫ শতাধিক বন্দি রয়েছে। যাদের বিচার ছাড়াই থাকতে হচ্ছে বছরের পর বছর। আদালতের চূড়ান্ত রায়ে তাদের সাজা হবে কি হবে না, এমন আশা-নিরাশার দোলাচলের মধ্যে দেশের বিভিন্ন কারাগারে বিচার ছাড়াই বন্দিজীবন পার করতে হচ্ছে তাদের। এদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। এক যুগের বেশি সময় পেরোলেও তাদের বিচার কাজ এগোয়নি। এদের সকলের কারাগারে থাকার বয়স প্রায় ৫ থেকে ১২ বছরেরও বেশি সময়। বিনা বিচারে ৫৪২ জন বন্দি কারাগারে থাকায় সংশ্লিষ্ট বন্দিরা রয়েছেন হতাশার দোলাচলে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও কারাগার সূত্র জানায়, সম্প্রতি দেশের মোট ৬৮টি কারাগারের মধ্যে ৫৬টি কারাগারে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে ৫৪২ জন বন্দি রয়েছেন। মাদক, খুন, দ্রুত বিচার আইন ও সন্ত্রাস দমন আইনসহ বিভিন্ন আইনে নানা অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে। বন্দিদের মধ্যে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আটজন, গাজীপুরের কাশিমপুরের চারটি কারাগারে ১৩৫ জন, নারায়ণগঞ্জে ৩৭ জন, ময়মনসিংহ কারাগারে ৩০ জন, রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে ১৫ জন, কিশোরগঞ্জে নয়জন, নীলফামারী কারাগারে সাতজন, নরসিংদী ও দিনাজপুর জেলা কারাগারের প্রত্যেকটিতে ৬ জন, ফরিদপুর, পাবনা, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ জেলা কারাগারে ৫ জন, লালমনিরহাট কারাগারে ৪ জন, মুন্সীগঞ্জ, টাঙ্গাইল, শেরপুর, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে ৩ জন, মাদারীপুর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কারাগারে দুইজন করে এবং রাজবাড়ী, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর, রংপুর ও নাটোর কারাগারে একজন করে আসামি বিনা বিচারে পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে বন্দি রয়েছে।

এছাড়া চট্টগ্রামে ৯১ জন, কক্সবাজারে ২৮ জন, সিলেটে ১৯ জন, কুমিল্লায় ১৪ জন, খুলনায় ১৩ জন, মৌলভীবাজার ও চুয়াডাঙ্গায় ১১ জন, খাগড়াছড়ি ও ঝিনাইদহে ১০ জন, সাতক্ষীরায় ৯ জন, নোয়াখালীতে ৭ জন, চাঁদপুরে ৫ জন, ফেনী, পটুয়াখালী ও ভোলা কারাগারে ৩ জন, সুনামগঞ্জ ও যশোরে ৪ জন, ব্রাহ্মহ্মণবাড়িয়া, লক্ষ্মীপুর ও বরগুনায় ২ জন এবং বরিশাল, হবিগঞ্জ, ঝালকাঠি ও পিরোজপুর কারাগারে একজন বিনা বিচারে বন্দি রয়েছেন।

সংশ্নিষ্ট মামলায় দীর্ঘদিন বন্দি থাকার বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কারাগারের কর্মকর্তা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, সাক্ষীর অভাবে তাদের বিচার শুরু হচ্ছে না। আবার কারও অভিযোগে বিচার শুরু হলেও সাক্ষী পাওয়া যাচ্ছে না। পুরনো এসব মামলার প্রয়োজনীয় অনেক নথি খুঁজে পাওয়া যায় না। এতে আসামির হাজিরার তারিখই নির্ধারণ হয় না। চার্জশিটে অনেক আসামির নাম বা ঠিকানা ভুল রয়েছে।অনেক সাক্ষীর নামের সঙ্গে ঠিকানার মিল নেই। অনেক আসামির স্বজন বা বাদীপক্ষও মামলায় আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। এসব কারণে বছরের পর বছর কারাগারে আটক এই বন্দিরা।

উচ্চ আদালতের একাধিক আইনজীবী জানান, বিচারহীন অবস্থায় অনেক বিদেশি বন্দিও কারাগারে আটক রয়েছেন। অনেক অভিযুক্ত জঙ্গি রয়েছেন। খোঁজ নিয়ে তাদের ঠিকানা ভুয়া পাওয়া যায়। সাক্ষীদের ঠিকানারও অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। এজন্য বিচার কাজ শুরু সম্ভব হয় না। এসব আসামির লোকজন না পাওয়ায় তদন্ত থেকে শুরু করে বিচার কার্যক্রমে যাওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট সকলের একটা অনীহা দেখা যায়।

এবিষয় নিয়ে একাধিক মানবাধিকার সংস্থার কর্মকর্তারা বিভিন্ন রকম মন্তব্য করেছেন। জাতীয় আইন সহায়তা ও মানবাধিকার সংগঠন বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট) কর্মকর্তা ও আইনজীবী খোন্দকার আবদুল মান্নান বলেন,অনেক বছর ধরে বিচারহীন অবস্থায় বন্দি আসামিদের মুক্তির জন্য আইনি সহায়তা দিয়ে আসছে এ সংস্থাটি। তিনি বলেন, এ ক্ষেত্রে অধিকাংশ বন্দির মামলার নথি পাওয়া যায় না। সাক্ষী পাওয়া যায় না। অনেক সময় তাদের হাজিরা তারিখও দেয়া হয় না। এসব কারণে মামলার বিচার শুরু হয় না।

ঢাকার আদালতের সিনিয়র আইনজীবী জাহিদুর রহমান বলেন, এসব বন্দির অনেকে হয়তো ১০ বছর বা আরও বেশি সময় ধরে কারাগারে রয়েছেন। তাদের কারও হয়তো সর্বোচ্চ সাজা হবে। আবার এমনও হতে পারে, চূড়ান্ত বিচারে কারও সাজা আরও কম হতে পারে।

অপরদিকে বিনা বিচারে তাদের দীর্ঘদিন বন্দি থাকার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক জানান, বিনা বিচারে একজন মানুষ বন্দি থাকতে পারেন না। এতে মানবাধিকার যেমন লঙ্ঘিত হয়, তেমনি বিচারপ্রার্থী ও আসামিপক্ষ উভয়েই ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হতে পারেন।

এবিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, দেশের বিভিন্ন কারাগারে বন্দি আসামিদের বিচার দ্রুত শেষ করার জন্য সরকার চেষ্টা করছে। সম্প্রতি এ ব্যাপারে সহায়তার জন্য আইন মন্ত্রণালয় থেকে দ্রুত ব্যবস্থার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। মন্ত্রী আরও বলেন, এসব মামলা কেন দ্রুত নিষ্পত্তি হচ্ছে না, তার কারণও অনুসন্ধান করা হয়েছে। এসব প্রতিবন্ধকতা দূর করা এককভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সম্ভব নয়। আইনি প্রক্রিয়ায় সহজ করতে আইন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতার প্রয়োজন রয়েছে।

কারা অধিদপ্তরের ডিআইজি প্রিজন্স (ঢাকা বিভাগ ) টিপু সুলতান বলেন, সাধারণত কারাগারের জায়গার তুলনায় বন্দির সংখ্যা বেশি। আবার বিচার ছাড়াই পাঁচ থেকে ১২ বছর পর্যন্ত কারাগারে আটক এমন বন্দি রয়েছে পাঁচ শতাধিক ব্যক্তি। দীর্ঘদিনেও এসব বন্দির বিচার নিষ্পত্তি না হওয়ায় তাদের নিয়ে কারা কর্তৃপক্ষও বিব্রতকর অবস্থায় রয়েছে।

]]>
https://jonomoth.com/archives/7177/feed 0 7177
জেলা সাংবাদিক ফোরাম চুনারুঘাট উপজেলা শাখার কমিটি পূনর্গঠন https://jonomoth.com/archives/6207 https://jonomoth.com/archives/6207#respond Mon, 07 Jan 2019 16:07:24 +0000 https://jonomoth.com/?p=6207

জেলা সাংবাদিক ফোরাম চুনারুঘাট উপজেলা শাখার কমিটির পূনর্গঠন
আলাউদ্দিন- সভাপতি, রায়হান- সেক্রেটারি ও জুবায়ের- সাংগঠনিক

 

চুনারুঘাট প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরাম চুনারুঘাট উপজেলা শাখার কমিটি পূনর্গঠন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাকিল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শরিফ চৌধুরী এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
এতে খন্দকার আলাউদ্দিনকে সভাপতি ও রায়হান আহমেদ সেক্রেটারি ও মীর জুবায়ের আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক রেখে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

 

কমিটি পূনর্গঠন লক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরাম এর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরামের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি শরিফ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহ-সভাপতি মোঃ মামুন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ কাউছার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সম্পাদক কাজী সুজন, চুনারুঘাটের ব্যবসায়ী নেতা সাজিদুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সদস্যবৃন্দ সহ আরো অনেকে।

 

পুনর্গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক তরফদার মাসুম, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম শওকত আলী, অর্থ সম্পাদক এসএম জিলানী আখনজি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজিরুজ্জামান শিপন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ ইসমাইল হোসেন তুহিন, দপ্তর সম্পাদক কাজী মিজান, নির্বাহী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজু, মোঃ ওয়াহেদ আলী, মোঃ মামুন চৌধুরী।

]]>
https://jonomoth.com/archives/6207/feed 0 6207
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চুনারুঘাটে দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন https://jonomoth.com/archives/5345 https://jonomoth.com/archives/5345#respond Sat, 15 Sep 2018 10:03:26 +0000 http://jonomoth.com/?p=5345

ষ্টাফ রিপোর্টার : বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় “দেশের কথা দশের কথা শ্লোগানে”- বহুল প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশের খবর এর ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে কেক কেটে ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। এর আগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশের খবর এর চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি রায়হান আহমেদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম আজমিরুজ্জামান। সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোস্তাক আহাম্মদ বাহার, চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন সরকার, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মীর আলী শাকির, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সিনিঃ সহ-সভাপতি মহিদ আহমেদ চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, বাজার কমিটির সেক্রেটারি মাসুদ আহমেদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি খন্দকার আলাউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ওয়াহেদ আলী, উপজেলা হিউম্যান রাইটস-এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ, অনলাইন সংবাদ মাধ্যম হবিগঞ্জ প্রতিদিনের সম্পাদক এস আর রুবেল মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজিদুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রুবেল তালুকদার, নাজিরুজ্জামান শিপন, ফটোগ্রাফার নিপু সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, দৈনিক বাংলাদেশের খবর সর্বদাই দেশের কথা বলে, দশের কথা বলে, সত্যের পক্ষে লড়ে। নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, অন্যায় ও দুর্নীতির বিপক্ষে, দেশের সকল সমস্যা, সম্ভাবনা বাংলাদেশের খবর প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতেও করবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। পরিশেষে বক্তারা বাংলাদেশের খবর পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন জানান ও পত্রিকার উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন।

]]>
https://jonomoth.com/archives/5345/feed 0 5345
দাঁতের ক্ষয় রোধে করণীয় https://jonomoth.com/archives/5281 https://jonomoth.com/archives/5281#respond Sat, 08 Sep 2018 05:02:48 +0000 http://jonomoth.com/?p=5281

জনমত নিউজ ডেস্ক : দাঁত ভালো রাখতে পুষ্টিকর খাবার খাওয়া এবং মুখকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন। হরমোনের ভারসাম্যহীনতা, খাদ্য তালিকায় মিনারেল, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি-এর অভাব ইত্যাদি কারণে দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা হয়।
কিছু বিষয় মেনে চললে দাঁতের ক্ষয় অনেকটাই প্রতিরোধ করা যায়। জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট বোল্ডস্কাইয়ের স্বাস্থ্য বিভাগে প্রকাশিত হয়েছে এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন।
১. চিনি বেশি নয়
খুব বেশি চিনি জাতীয় খাবার খাবেন না। চিনি মুখে ব্যাকটেরিয়া বিস্তারে সাহায্য করে। এটি দাঁত ক্ষয় বাড়িয়ে দিতে পারে।
২. পুষ্টিকর খাবার খান
ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ খাবার খান। এসব খাবারে থাকা ফ্যাট সলিউবল প্রকৃতি দাঁতের ক্ষয় রোধে কাজ করে। শাকসবজি খান। পাশাপাশি নারকেল তেল, অ্যাভোকেডো, বাদাম ইত্যাদি স্বাস্থ্যকর চর্বি খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৩. টুথপেস্ট
রাসায়নিক উপাদান কম থাকে এমন টুথপেস্ট ব্যবহার বরুন।
৪. দাঁত পরিষ্কার রাখুন
রাতে খাওয়ার পর এবং সকালে খাওয়ার পর দাঁত ব্রাশ করুন। দাঁত ব্রাশের ক্ষেত্রে নরম টুথব্রাশ ব্যবহার করা ভালো। দাঁত ব্রাশ করার সময় জিহ্বা পরিষ্কার করুন।
আয়নার সামনে যেতেই বিরক্তি লাগে। কারণ মুখে কালো দাগ, ব্রণ, বলিরেখা, হাত-পায়ের ত্বকে সমস্যা। এই সব সমস্যার সমাধান করবে লেবু। তবে জানতে হবে সঠিক পদ্ধতি। তাহলে আসুন জেনে নেই।
লেবুর উপকারিতা :
১. লেবুর অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-ভাইরাল উপাদান দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রোদে পোড়া ত্বক ঠিক করতে লেবু কার্যকর।
২. লেবুতে থাকা বিভিন্ন অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট ত্বকের ভাঁজ ও দাগ দূর করে। লেবুতে থাকা ভিটামিন-সি ব্রণ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দূর করে।
৩. অ্যারোমাথেরাপির ক্ষেত্রেও লেবু গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। বয়সজনিত মুখের দাগ সারাতে লেবুর রস কার্যকর।
৪. হাতের কনুই, হাঁটু, পায়ের গোড়ালির ময়লা দূর করতে লেবু বেশ কার্যকর।
৫. হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করে লেবু।
৬. ত্বকের অতিরিক্ত তেল দূর করার ক্ষেত্রে লেবুর রস ও দুধের মিশ্রণও বেশ কার্যকর লেবু।
লেবুর ব্যবহার :
১. একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে রস বের করে নিন। তাতে ২ টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। ত্বকে টান টান ভাব হলে ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। মধু ত্বক উজ্জ্বল করবে। লেবুর প্রাকৃতিক ব্লিচিং ত্বককে আরো ফর্সা করবে।
২. ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করতে সমপরিমাণ শসার রস ও লেবুর রস মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে তুলার সাহায্যে মুখে লাগান। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর হয়ে ত্বক সতেজ হবে। মিশ্রণটি মুখে লাগানোর সাথে সাথে যদি জ্বলে, তবে দ্রুত ধুয়ে ফেলুন। সেক্ষেত্রে লেবু ত্বককে অতিরিক্ত শুষ্ক করে ফেলতে পারে।
৩. একটি বড় লেবুর অর্ধেক অংশ কেটে তার রস বের করে নিন। এবার তার সাথে ১০ টেবিল চামচ তরল দুধ ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ধীরে ধীরে পুরো মুখে ম্যাসাজ করুন, ১৫-২০ মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। লেবু ত্বকের তেল দূর করে আর দুধ ত্বকের ময়েশ্চারাইজার ধরে রাখে।
এই মিশ্রণটি চোখের চারপাশে সাবধানে লাগাতে হবে।
৪. একটি ডিমের সাদা অংশের সাথে অর্ধেকটা লেবুর রস ও এক টেবিল চামচ কমলালেবুর রস কুসুম গরম পানি দিয়ে পেস্টের মতো করে মিশিয়ে ত্বকে লাগান। ২০ মিনিট রাখুন। শুকিয়ে যাওয়ার পর ঠাণ্ডা পানিতে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব দূর করার পাশাপাশি উজ্জ্বলতা বাড়ায়।
৫. হাত ও পায়ের রুক্ষভাব দূর করতে লেবুর রসের সাথে সমপরিমাণ চালের গুড়ো মিশিয়ে ভালভাবে হাত পায়ে লাগান।
দাঁতের নানান সমস্যা সমাধানের সবথেকে সহজ পথ।
দাঁতের গোঁড়া দুর্বল আর সেখান থেকে রক্তপাত, কোনও ঠাণ্ডা জিনিস দাঁতের সংস্পর্শে এলেই শিরশিরিয়ে উঠছে দাঁত কিংবা শক্ত কিছু জিনিস দাঁতে কাটতে গেলে ব্যাথা অনুভব হচ্ছে, এছাড়াও দাঁত পরিষ্কার না থাকার কারণে বিশ্রী গন্ধ-সব সমস্যার সমধান এক চুটকিতে। কোনও ওষুধ নয়, নতুন কোনও পেস্টও নয় কাজ হবে ভেষজ দাওয়াইতে।

বাংলায় যাকে বলা হয় ঋষি পাতা। দু থেকে তিনটি পাতা রোজ চিবিয়ে নিলেই দাঁতের যাবতীয় সমস্যা নিমেষেই উবে যাবে। দুর্গন্ধ থেকে মাড়ির যন্ত্রণা ঋষি পাতার রস কাজ করে টনিকের মত। ঋষি পাতার রসে মজুত থাকে ট্যানিক অ্যাসিড, ইউরোসলিক অ্যাসিড, কারনোসিক অ্যাসিড, ফিউমারিক অ্যাসিড যা মুখের ভিতরে থাকা ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। এমনকি থ্রোট ক্যান্সারেরও প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে সেজ পাতা।

]]>
https://jonomoth.com/archives/5281/feed 0 5281
জনতার কথা বলে…. ‍”জনমত” https://jonomoth.com/archives/197 https://jonomoth.com/archives/197#respond Tue, 22 Aug 2017 12:52:18 +0000 http://jonomoth.com/?p=197

জনতার কথা বলে…. এই শ্লোগানে প্রকাশ হলো অনলাইন সংবাদ মাধ্যম ‍”জনমত”। আমরা সত্য ও বস্তুনিষ্ট সংবাদ প্রকাশের দিকে সর্বদা সচেষ্ট থাকব। পরিশেষে সকলের দোয়া ও সহযোগীতা কামনা করি।

]]>
https://jonomoth.com/archives/197/feed 0 197
কবে শেষ হবে বিচার https://jonomoth.com/archives/11 https://jonomoth.com/archives/11#respond Mon, 21 Aug 2017 10:42:34 +0000 http://jonomoth.com/?p=11

১৩ বছরেও শেষ হয়নি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুই মামলার বিচার। রাজধানীর মতিঝিল থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দুটি দায়ের করা হয়। বিচারকাজ কবে শেষ হবে তাও জানে না রাষ্ট্রপক্ষ!

রাষ্ট্রপক্ষ বলছেন, বিচারপ্রার্থীরা মামলার রায়ের জন্য আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাদের জন্য মামলা দুটির বিচার কার্যক্রম খুব দ্রুত শেষ করা উচিত। আমরা আশাবাদী খুব দ্রুতই মামলা দুটির বিচার শেষ হবে।

এ বিষয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ রেজাউর রহমান জাগো নিউজকে বলেন, ‘২০০৪ সালের ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের করা দুটি মামলার তদন্ত শেষ করতে সময় লেগেছে অনেক দিন। অপরদিকে মামলার সাক্ষীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ করতে কিছুটা সময় লাগছে। মামলার বিচারপ্রার্থীরা রায়ের আশায় আদালতের দিকে তাকিয়ে আছেন। তাদের জন্য মামলা দুটির বিচার দ্রুত শেষ করা উচিত।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মামলা দুটির বিচার কাজ শেষ করতে পারব। তবে কবে শেষ হবে তা সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।’

সৈয়দ রেজাউর রহমান বলেন, ‘মামলা দুটির সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এখন সাফাই সাক্ষী চলছে। ইতোমধ্যে ১৩ জন ট্রাইব্যুনালে সাফাই সাক্ষী দিয়েছেন। আর সাত-আটজনের সাফাই সাক্ষী নেয়া হবে। সাফাই সাক্ষীর পর মামলার যুক্তি উপস্থাপন হবে। এরপর মামলা দুটির রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য হবে।’

আসামিপক্ষের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবা জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিএনপিকে সম্পূর্ণভাবে হয়রানি করার জন্য মামলা দুটি করা হয়েছে। মামলা স্বাভাবিক গতিতে চলতে দিচ্ছে না সরকার। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য এ মামলা দায়ের করা হয়েছে।’

ট্রাইব্যুনাল সূত্রে জানা যায়, মামলায় ৫১১ সাক্ষীর মধ্যে ২২৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। সাফাই সাক্ষী দেয়া হয়েছে ১৩ জনের। ২২ ও ২৩ আগস্ট সাফাই সাক্ষীর জন্য দিন ধার্য রয়েছে। বর্তমানে ঢাকার ১নং দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিনের আদালতে মামলা দুটি বিচারাধীন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী।

ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে তদন্ত করে থানা পুলিশ। পরে তদন্তের দায়িত্ব পায় ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। পরবর্তীতে মামলাটি যায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগে (সিআইডি)। ২০০৮ সালের ১১ জুন সিআইডির জ্যেষ্ঠ এএসপি ফজলুল কবির মুফতি হান্নানসহ ২২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন।

২০০৯ সালের ৩ আগস্ট রাষ্ট্রপক্ষ মামলাটি অধিকতর তদন্তের আবেদন করলে ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পান সিআইডির পুলিশ সুপার আব্দুল কাহ্হার আখন্দ। তিনি ২০১১ সালের ৩ জুলাই তারেক রহমানসহ ৩০ জনের নাম যুক্ত করে মোট ৫২ জনের নামে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি অভিযোগপত্র দেন।

মামলায় জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ, জঙ্গি নেতা মুফতি হান্নান ও জেএমবি সদস্য শহিদুল আলম বিপুলের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেয়ায় এখন আসামির সংখ্যা ৪৯। এর মধ্যে তারেক রহমানসহ ১৮ জন পলাতক রয়েছেন। এছাড়া জামিনে আট এবং কারাগারে রয়েছেন ২৩ জন।

]]>
https://jonomoth.com/archives/11/feed 0 11
টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা https://jonomoth.com/archives/8 https://jonomoth.com/archives/8#respond Mon, 21 Aug 2017 10:41:03 +0000 http://jonomoth.com/?p=8

আগস্টের কান্না যেন থামার নয়। আগস্ট মানেই বাঙালির মনের আকাশে মেঘের ঘনঘটা। আগস্ট মানেই ঘাতকের রক্ত-খুনের হলিখেলা। জাতির জীবনে আগস্ট আসে কলঙ্কের সাক্ষী হয়ে। পিতা হারানোর এ মাসে যেন রক্তখেলা ফুরায় না।

আজ রক্তাক্ত ২১ আগস্ট। সেদিনের বিভীষিকাময় হত্যাযজ্ঞ সভ্য জগতের ললাটে কালিমা লেপে দেয়। সেদিন ছিল একটি সংগঠন নির্মূলের কালো অধ্যায়।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট, বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ অফিসের সামনে সন্ত্রাস ও বোমা হামলার বিরুদ্ধে এক সমাবেশের আয়োজন করা হয়। সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুপুরের পর থেকেই সমাবেশস্থলে হাজার হাজার মানুষ উপস্থিত হতে থাকে। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে সন্ত্রাসবিরোধী এক মিছিল হওয়ার কথা। মিছিলপূর্ব সমাবেশের জন্য মঞ্চ করা হয় ট্রাকের ওপর।

ঘড়ির কাঁটায় তখন বিকেল ৫টা বেজে ২২ মিনিট। কেন্দ্রীয় নেতাদের বক্তব্য শেষে প্রধান অতিথি শেখ হাসিনা বক্তব্য দিচ্ছেন। তার সন্ত্রাসবিরোধী ঝাঁঝাল বক্তব্যে গোটা সমাবেশ তখন উদ্দীপ্ত। ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ বলে বক্তব্যের ইতি টেনেছেন। হাতে একটি কাগজ ভাঁজ করতে করতে মঞ্চের সিঁড়ির কাছে এগিয়ে আসছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নিচে মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমান হাত বাড়িয়ে শেখ হাসিনার জন্য অপেক্ষারত…

ঘাতকদের তর যেন আর সইল না। ঠিক তখনই বিকট শব্দ। মুহুর্মুহু গ্রেনেড বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল গোটা বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ। মুহূর্তেই রক্তগঙ্গা বয়ে গেল পিচঢালা কালোপথ। আওয়ামী লীগ কার্যালয় চত্বর যেন এক মৃত্যুপুরী। রক্ত-মাংসের স্তূপে ঢেকে যায় সমাবেশস্থল। পরপর ১৩টি গ্রেনেড বিস্ফোরণে প্রাণ হারান আওয়ামী লীগের ২৪ নেতাকর্মী। আহত হন শত শত মানুষ।

ওই হামলার প্রধান টার্গেট ছিলেন শেখ হাসিনা। এ কারণে প্রথম গ্রেনেডটি মঞ্চ অর্থাৎ ট্রাক লক্ষ্য করে নিক্ষেপ করা হয়। কিন্তু ট্রাকের ডালায় লেগে গ্রেনেডটি নিচে বিস্ফোরিত হয়। দেহরক্ষী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের ত্যাগের বিনিময়ে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী।

১৩টি গ্রেনেড নিক্ষেপ করেই ঘাতকরা ক্ষান্ত হয়নি। জীবিত আছেন জেনে তারা শেখ হাসিনা ও তার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করতে থাকে। কিন্তু শেখ হাসিনার গাড়িটি বুলেটপ্রুফ হওয়ায় এ যাত্রায়ও তিনি প্রাণে রক্ষা পান। ঘাতকের গুলি গ্লাস ভেদ করে শেখ হাসিনাকে আঘাত করতে পারেনি। তবে তাকে আড়াল করে ঘাতকের গুলির সামনে দাঁড়িয়ে নিজের জীবন বিলিয়ে দেন দেহরক্ষী ল্যান্স কর্পোরাল (অব.) মাহবুবুর রশিদ।

বর্বর ওই হামলায় প্রাণে বেঁচে গেলেও শেখ হাসিনা বাম কানে মারাত্মক আঘাত পান। আঘাতপ্রাপ্ত কানে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলেন। তাকে হত্যার মূল পরিকল্পনা ব্যর্থ হলেও ওইদিনের বীভৎসতা এক কালো অধ্যায়ের জন্ম দেয়। ঘাতকের প্রথম নিক্ষেপ করা গ্রেনেডটি ট্রাকের ওপর বিস্ফোরিত হলে ওই দিন হয়তো আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকেই প্রাণ হারাতেন। রচিত হতো আরেক ১৫ আগস্ট।

বিস্ফোরিত ১৩টি গ্রেনেডের স্প্লিন্টারে ছিন্নভিন্ন হয়ে যায় বহু মানুষ। অনেকের হাত-পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিহতদের নিথর শরীর আর আহতদের বেঁচে থাকার করুণ আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের আকাশ-বাতাস।

]]>
https://jonomoth.com/archives/8/feed 0 8
গ্রেনেড হামলার পর সংসদে যা বলেছিলেন লুৎফুজ্জামান বাবর https://jonomoth.com/archives/5 https://jonomoth.com/archives/5#respond Mon, 21 Aug 2017 10:39:31 +0000 http://jonomoth.com/?p=5

ভয়াবহ ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার পর তৎকালীন বহুল আলোচিত স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর জাতীয় সংসদে বলেছিলেন, ‘এই ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর (খালেদা জিয়া) নির্দেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়। আমাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে, আলামত নষ্ট করে ফেলার, এটা ঠিক নয়। বরং বিরোধীদলীয় নেতার বুলেট প্রুফ পুরো গাড়িটি তো দূরের কথা একটি কাচের জানালাও আলামত হিসেবে জব্দ করতে দেয়া হয়নি। আমরা সেটি একাধিকবার চেয়েও ব্যর্থ হয়েছি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড হামলার মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার পর অষ্টম জাতীয় সংসদের ১৩তম অধিবেশনের তৃতীয় কার্যদিবসে ১৫ সেপ্টেম্বর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি একথা বলেন।

২০০৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ওই অধিবেশন শুরু হয়েছিল। চলে মাত্র ৪ কার্যদিবস। জাতীয় সংসদের কার্যবাহের রিপোর্ট থেকে এসব তথ্য জানা যায়। স্পিকার ব্যারিস্টার মুহম্মদ জমির উদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে ওই অধিবেশন শুরু হয়েছিল।

ওই হামলা নিয়ে আওয়ামী লীগ সংসদের কার্যপ্রণালী বিধি ৬২ অনুযায়ী আলোচনার দাবি জানায়। কিন্তু স্পিকার তা প্রত্যাখ্যান করে সাধারণ আলোচনা দেন। এজন্য আওয়ামী লীগ সংসদ থেকে ওয়াক আউট করে। আর বিএনপির এমপিসহ অন্য দলের এমপিরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা নিয়ে এক তরফা আলোচনা করেন।

লুৎফুজ্জামান বাবর সবার শেষে বক্তব্য দেন। নিহতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আমাদের জাতীয় জীবনে সংঘটিত একটি মর্মান্তিক দুঃখজনক ও বর্বর ঘটনা সম্পর্কে এই মহান সংসদকে অবহিত করছি। …এই বোমা হামলায় মোট ১৯ জন মারা যান। আওয়ামী লীগের নির্ধারিত সমাবেশটি মুক্তাঙ্গনে হওয়ার অনুমতি নেয়া হলেও তা শেষ পর্যায়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় অফিসের সামনে স্থানান্তর করা হয়েছিল।’

‘ঘটনার পর পরই পুলিশ অপরাধীদের সনাক্ত করতে সব ধরনের চেষ্টা চালায়। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রাখে এবং আলামতগুলো সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেয়। এই ঘটনায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন এবং যে কোনো মূল্যে দুষ্কৃতকারীদের গ্রেফতারের সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।…. মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিকে দায়িত্ব দিয়ে এক সদস্যবিশিষ্ট একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করা হয়।…এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ইতোমধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ২১ আগস্টের নাশকতামূলক ঘটনার রহস্য উদ্ঘাটনে সরকার পুলিশি তদন্তের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক তদন্তের ব্যবস্থা করে। অতীতেও দেশে বোমা হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু এই প্রথম কোনো বোমা হামলায় আন্তর্জাতিক তদন্তের সহায়তা নেয়া হয়েছে। সরকার জরুরি ভিত্তিতে ফ্রান্সের লিওন শহরে অবস্থিত ইণ্টারপোল সদর দফতরের সহায়তা চায়। সরকারের আবেদনে সাড়া দিয়ে ইণ্টারপোলের তিনটি টিম স্বল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে এসে তদন্ত কাজে সহায়তা দেয়। ইণ্টারপোল ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ গ্রেনেড হামলার উৎস ও হামলাকারীদের সনাক্ত করতে প্রয়োজনীয় বিশেষজ্ঞ পরামর্শ ও দিক-নির্দেশনা দিচ্ছে।

তিনি বলেন, এ ছাড়াও সরকার মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার (এফবিআই) সহযোগিতা নিয়েছে। এফবিআই ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে এসে প্রাথমিক তদন্ত করে গেছে। বাংলাদেশ সরকারের গোয়েন্দা সংস্থাগুলোও তাদের নিজস্ব পন্থায় তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। তদন্ত কর্মকর্তাদের সহায়তার জন্য পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ও সেনাবাহিনীর কর্নেল পর্যায়ের কর্মকর্তা সমন্বয়ে একটি এবং পুলিশ সুপার ও মেজর পর্যায়ের আরেকটি মোট ২টি টিম গঠন করা হয়েছে।’

‘…এই ঘটনার তদন্তে সরকারের সদিচ্ছা এবং আন্তরিকতার ব্যাপারে আজ আর কারো প্রশ্ন থাকার কোনো কারণ নেই। তথাপি কোনো কোনো মহল থেকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে যেসব প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, আমি এখন সেগুলোর কিছু জবাব দিতে চাই।

‘আমাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করা হয়েছে, আলামত নষ্ট করে ফেলার। বলা হয়েছে, মাননীয় বিরোধীদলীয় নেত্রী যে ট্রাকটির উপর দাঁড়িয়ে বক্তৃতা করেছিলেন এবং আলামত হিসাবে যেটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেই ট্রাকটি নাকি মালিককে ফেরত দেয়া হয়েছে। এই অভিযোগটি পুরোপুরি অসত্য ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। ট্রাকটি কখনও মালিককে ফেরত দেয়া হয়নি। সেটি এখনও মেট্রোপলিটন পুলিশ কণ্ট্রোল রুমে সংরক্ষিত আছে। ট্রাকটির সব আলামত, এমনকি ব্যানার লাগানোর খুঁটিগুলোও অবিকল রাখা হয়েছে।
ফাইল ছবি

তিনি আরও বলেছিলেন, ‘…আলামতের প্রসঙ্গ যদি ওঠেই, তাহলে বলতে হয় খোদ মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার গাড়িটির কথা। ২১ আগস্ট ঘটনার পর পরই বলা হয়েছিল, বুলেটপ্রুফ গাড়িটিকে লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছিল। আমরা চেয়েছিলাম, সেই দাবি তদন্ত করে দেখতে। কিন্তু খুবই দুঃখজনক এবং দুর্ভাগ্যের বিষয় যে, আমাদের সঙ্গে কোনো সহযোগিতা করা হয়নি। পুরো গাড়ি তো দূরের কথা একটি কাঁচের জানালাও আলামত হিসাবে জব্দ করতে দেয়া হয়নি। …আলামত হিসেবে হস্তান্তর করার লিখিত নোটিশ দেয়ার পরেও সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ল্যাবরেটরি এবং ব্যালেস্টিক টেস্ট করার জন্য, এমনকি আন্তর্জাতিক তদন্ত সংস্থা ইণ্টারপোল কর্তৃক চাওয়ার পরও গাড়িটি বা কাঁচের একটি জানালা কর্তৃপক্ষকে হস্তান্তর করা হয়নি। বিব্রতকর পরিস্থিতি ও সংঘাত এড়িয়ে যাওয়ার উদ্দেশই সরকার গাড়িটিকে জব্দ করা থেকে এ পর্যন্ত বিরত রয়েছে। তবে এ পর্যন্ত প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য এবং অন্যান্য আলামত থেকে বিরোধীদলীয় নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণের কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিরোধীদলীয় নেতার গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ার অভিযোগটি এখন আর তেমন শোনাও যাচ্ছে না। আওয়ামী লীগের অসহযোগিতার কারণে এখনও তদন্ত কাজ বিলম্বিত হচ্ছে। সাক্ষ্য ও জবানবন্দি গ্রহণ করার জন্য গাড়ির চালককেও ডেকে পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া, সাক্ষ্য সংগ্রহের জন্য ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে না। বিস্ফোরণে সামান্য আহত বা প্রাথমিক চিকিৎসায় সেরে ওঠার যোগ্য অনেকে চিকিৎসার নামে ভারতে অবস্থান করছেন। এ নিয়ে সে দেশের পত্র-পত্রিকায়ও সমালোচনা হয়েছে।

বাবর বলেন, ‘মাননীয় স্পিকার, আওয়ামী লীগ প্রথমে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিল, সরকার সঙ্গে সঙ্গেই সেই প্রস্তাবে সাড়া দিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন গঠন করে। কিন্তু তদন্ত কমিশন গঠনের পর পরই আওয়ামী লীগ তা প্রত্যাখ্যান করে। এরপর তারা আন্তর্জাতিক তদন্ত চায়, সরকার ইণ্টারপোলের তদন্তে সহায়তার ব্যবস্থা করলে তারা আবার বেঁকে বসে। মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা (এফবিআই) এর তদন্তে সহায়তা দিতেও আওয়ামী লীগ নারাজ।’

‘…মাননীয় স্পিকার, ২১ আগস্টে হামলাকারীরা দেশ, জনগণ ও গণতন্ত্রের শত্রু। দেশবাসী যখন ভয়াবহ বন্যার ধকল কাটিয়ে ওঠার প্রাণপণ লড়াই করছে, সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসনের কাজ শুরু করেছে, তখন প্রধান বিরোধীদল আওয়ামী লীগের সমাবেশে এই হামলা ষড়যন্ত্র ছাড়া আর কী হতে পারে? ভয়ানক হামলাকারীদের টার্গেট শুধু মাত্র রাজনৈতিক দল বা নেতা-নেত্রীরা নয়। তারা টার্গেট করেছে আমাদের প্রাণপ্রিয় মাতৃভূমিকেই। তাদের উদ্দেশ্য একটাই- দেশে বিশৃঙ্খলা ও অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করা। তারা চায় না এদেশে বিদেশি বিনিয়োগ হোক। তারা চায় না এ দেশ নিজের পায়ে দাঁড়াক। আমি মনে করি, এটা একটি বিরাট ষড়যন্ত্র।’

‘…দেশে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে অকার্যকর প্রমাণ করা এবং বাংলাদেশকে একটি ‘মৌলবাদী রাষ্ট্র’ হিসেবে প্রমাণ করার উদ্দেশ্য নিয়েই কি এসব করা হচ্ছে? ….আমি মনে করি, এখানে আমাদের মহান সংসদে উপস্থিত সদস্যদের সবারও একই প্রশ্ন।’

এর আগে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের এমপি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘বিরোধী দলের নেতা বা নেত্রী থাকলে, তার ওপর আক্রমণ হলে, সেটাকে হেলা-ফেলা করে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হলে, আমরা নিরাপদ বোধ করব না।’

তিনি বলেন, ‘আমি আপনার কাছে নিবেদন করতে চাই, আমি জানি না আজকে আপনি ৬২ বিধিতে আলোচনা করতে দিলে কি হত! ৬৮ বিধিতে আপনি সাধারণ আলোচনা করতে দিয়েছেন। এতে অংশগ্রহণ করলে প্রধান বিরোধী দলের কি হতো, আমি জানি না। আমার কাছে যা মনে হয়েছে, তাই বলছি। সেটা হলো, আমরা কেউ হারতে রাজী নই। সবাই জিততে চাই।

‘সরকারি দল থেকে এক কোটি টাকা পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে, এই গ্রেনেড হামলার যদি সঠিক তথ্য কেউ দিতে পারে। এটা সত্যিই প্রশংসনীয়। কিন্তু এই ঘোষণা কখন করা হয়? যখন তার সংস্থাগুলো দুর্বল হয়ে যায়। যে সংস্থাগুলো এই সমস্ত ঘটনায় জড়িতদের খুঁজে পায় না, তখনই কিন্তু এই রকম পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।’

‘আমি প্রস্তাব করব যে একটি সংসদীয় কমিটির মাধ্যমে এটা তদন্ত করা দরকার। সে দিন যে সভা হয়েছে, মুক্তাঙ্গন থেকে কেন বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে গেল, এটাও বিচার করা যেমন দরকার, ঠিক তেমনি প্রধান বিরোধী দলের নেত্রীকে সরকার থেকে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে, সে দিন তার নিরাপত্তা রক্ষীরা কোথায় ছিলেন, সে দিন ওখানে যাদের ডিউটি দেয়া হয়েছিল, তারা কোথায় ছিলেন, কি ডিউটি করেছেন? আজকে প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে ঘিরে রাখা হয়, তার জীবনের নিশ্চয়তা থাকবে, তার জন্য ডিউটি করা হয়। উনি যে দিন আবার বিরোধী দলের নেত্রী হবেন, সে দিন তার কোন নিরাপত্তা থাকবে না। এটা তো হতে পারে না।’ তিনি বলেন, ‘আমাদের কারো লাগামহীন ক্ষমতা থাকা উচিত নয়, আমাদের কারো নিয়ন্ত্রণহীন হওয়া উচিত নয়।’

এরপর স্পিকার কাদের সিদ্দিকীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ‘ধন্যবাদ, মাননীয় সদস্য। আপনি আমাকে বলেছেন যে, যদি আমি তাদেরকে সময় দিতাম প্রশ্ন এবং উত্তরের পরে, যেটা আমি সব সময়ই দিয়ে থাকি, সে ব্যাপারে আমার বক্তব্য একটু রেকর্ড করে রাখা দরকার। আপনি শুনে থাকবেন, আমি তাদেরকে বসতে বলেছি। প্রশ্নোত্তরের পরে তাদেরকে সময় দিব, এ কথাও বলেছি কিন্তু তারা আমার সামনে দাঁড়িয়ে বিশৃঙ্খলভাবে সব সময় ৬২ বিধিতে বক্তৃতা করতে চান। কার্যপ্রণালী-বিধির ৬২ বিধিতে আমি আলোচনা করতে দিতে পারি না।…. কারণ বিষয়টি বিচারাধীন

]]>
https://jonomoth.com/archives/5/feed 0 5