ধর্ম – Jonomoth.Com https://jonomoth.com জনমত নিউজ । A Online Newspaper Tue, 19 Nov 2019 05:10:46 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.5.11 155563395 চুনারুঘাটে নামধারী সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে কুণ্ঠিত মূলধারার সংবাদকর্মীগণ https://jonomoth.com/archives/7733 https://jonomoth.com/archives/7733#respond Tue, 19 Nov 2019 04:50:53 +0000 http://jonomoth.com/?p=7733

চুনারুঘাটের সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রতি সচেতন মহলের আহ্বান- এখনই সময়, অপ-সাংবাদিকতা রুখতেই হবে। আপনারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন…

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কথিত সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতায় সুশীল সমাজসহ ক্ষীপ্ত সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব হলুদ সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা ও অবাধ চলাচলে ক্ষোভ জানিয়েছে উপজেলার কর্মরত মূলধারার সাংবাদকর্মীরা। এ অবস্থায় নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেও বিব্রত বোধ করছেন মূলধারার সাংবাদিকরা। এ উপজেলায় দিনদিন শুধু বেড়েই চলছে এসব অপসাংবাদিকতা ও নামধারী সাংবাদিকের সংখ্যা।

স্থানীয় সংবাদকর্মী, সুশীল সমাজসহ অনেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় এবং সরেজমিনে দেখা যায়, চুনারুঘাট ইউএনও অফিস, কৃষি অফিস, শিক্ষা অফিস, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, বন বিভাগের বিট অফিস, পৌরসভা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিক এবং হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চুনারুঘাট থানা পুলিশসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অফিসারদের ভয় দেখিয়ে মাসোহারা ভিক্তিক চাঁদাবাজি করছে কথিত সাংবাদিকরা।

এসব সাংবাদিক পরিচয়ধারীদের মধ্যে অনেকের নেই শিক্ষাগত ও সংবাদ লেখার যোগ্যতা। শুধু তাই নয়, ভঁয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিরক্ষর ব্যক্তিও আছেন।

বিনা দাওয়াতে সরকারি-বেসরকারি ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা সমাবেশে দলবদ্ধভাবে উপস্থিত হয়ে এসব সাংবাদিকদের একের পর এক ক্যামেরার ফ্লাশে বিব্রত সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মানুষ।

এসব কথিত সাংবাদিকদের লেখা প্রতিবেদন আদৌ কোন সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয় কী না এমন সন্দেহ রয়েছে সচেতন মহলে। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ ইউটুব চ্যানেল খোলে চলছে তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা।

এসব সাংবাদিক নামধারী অপসাংবাদিকদের নিকট পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেল থেকে সঠিক কোন নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়।

উপজেলা প্রশাসনে নেই সাংবাদিকদের সঠিক কোন তালিকা। যার ফলে নিত্যদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট, সরকারি দপ্তরগুলো ও থানা পুুলিশের আশপাশে এসব কথিত সাংবাদিকরা একের পর এক রাজত্ব কায়েম করলেও উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে নিরব ভূমিকায়।

এছাড়া গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষদের নিজেকে কখনো পুলিশ, কখনো ডিভি পুলিশ কিংবা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে বলে এমন অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এসব কথিত হলুদ সাংবাদিকদেরকে শেল্টার দিচ্ছে স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ। এ সুযোগে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর কথিত নামধারী সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা।

দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এ উপজেলায় নামধারী সাংবাদিকতা। উপজেলায় কথিত সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতায় চরম বিপাকে আছেন অনেক সরকারি কর্মকর্তারা। এসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মূমূর্ষ রোগীর মৃত্যু হলে নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়।

অপরদিকে উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও অফিসসহ থানার আশপাশে এসব কথিত সাংবাদিকদের দিনভর আড্ডা এবং থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের হাজারো অর্থহীন প্রশ্নে বিব্রত করে ফায়দা লুটেরও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলাম, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খন্দকার আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ জানান, হলুদ সাংবাদিকতা এ অঞ্চলের সাংবাদিকতাকে বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ থেকে পরিত্রানের উপায় খোঁজার এখনই সময়।

]]>
https://jonomoth.com/archives/7733/feed 0 7733
পবিত্র শবেবরাত আজ https://jonomoth.com/archives/7227 https://jonomoth.com/archives/7227#respond Sun, 21 Apr 2019 05:21:29 +0000 http://jonomoth.com/?p=7227

ডেস্ক : আজ রবিবার দিবাগত রাতে পবিত্র শবেবরাত। সারা বিশ্বে মুসলমানরা এই রাতকে ভাগ্য রজনী হিসেবে পালন করেন।

এ রাতে তারা তাদের নিজেদের অতীতের সব পাপকাজের জন্য মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চায়। আর ভবিষ্যতে সুখ-সমৃদ্ধির জন্য দোয়া প্রার্থনা করে। কোনো কোনো আলেম-ওলামার মতে, শবেবরাতে মানুষের আগামী এক বছরের ভাগ্য নির্ধারণ করে থাকেন আল্লাহ। এ কারণে এ রাতে মুসলমানরা মসজিদে ও বাড়িতে রাত জেগে নফল নামাজ, ইবাদত, পবিত্র কোরআন তেলাওয়াত, মিলাদ মাহফিলসহ বিশেষ মোনাজাত পরিচালনা করে থাকে।

এদিকে শবেবরাতে আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।

শাবান মাসের পরই পবিত্র রমজান মাস। শবেবরাতের ১৫ দিন পর রমজানের রোজা বা এক মাসের সিয়াম সাধনা শুরু হয়। এ জন্য মুসলমানদের কাছে শবেবরাত বিশেষ তাৎপর্য বহন করে।

গত ৬ এপ্রিল জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সভা শেষে ঘোষণা দেওয়া হয়, এদিন (৬ এপ্রিল) দেশের কোথাও ১৪৪০ হিজরি সালের শাবান মাসের চাঁদ দেখা যায়নি।

এ কারণে ৭ এপ্রিল (৬ এপ্রিল দিবাগত রাতসহ) হবে রজব মাসের শেষ দিন। আর ৮ এপ্রিল (৭ এপ্রিল দিবাগত রাত থেকে) থেকে শাবান মাস গণনা শুরু হবে।

এ হিসাবে ২১ এপ্রিল দিবাগত রাতে লাইলাতুল বরাত পালিত হবে। কিন্তু মজলিসু রুইয়াতুল হিলাল ইন্টারন্যাশনাল নামের একটি সংগঠনের নেতারা দাবি করেন, ৬ এপ্রিল দেশের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদ দেখা গেছে। এ ঘোষণার পরই বিভ্রান্তি দেখা দেয়। বিভ্রান্তি দূর করতে ১৩ এপ্রিল জরুরি বৈঠকে বসে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি। বৈঠক থেকে মাওলানা আবদুল মালেককে আহ্বায়ক করে ১১ সদস্যের একটি উপকমিটি গঠন করা হয়। কমিটিকে ১৭ এপ্রিলের মধ্যে বিভ্রান্তি নিরসন করতে বলা হয়। এদিকে সংগঠনটির ব্যানারে ১০ ব্যক্তি হাইকোর্টে রিট আবেদন করতে ১৫ এপ্রিল আদালতের অনুমতি চান। তবে আদালত তাঁদের ১৭ এপ্রিল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে বলেন। একই সঙ্গে তাঁদের বক্তব্য লিখিতভাবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালকের কাছে দিতে বলেন।

এর ধারাবাহিকতায় ১৬ এপ্রিল আলেম-ওলামাদের নিয়ে গঠিত ১১ সদস্যের কমিটি বৈঠকে বসে। বৈঠকের পর ধর্ম প্রতিমন্ত্রী আলহাজ অ্যাডভোকেট শেখ মো. আব্দুল্লাহ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, বৈঠকে চাঁদ দেখার কোনো সাক্ষী হাজির না হওয়ায় ইসলামী শরিয়াহ অনুযায়ী জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির ৬ এপ্রিল ঘোষিত সিদ্ধান্ত বহাল রাখা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, পবিত্র শবেবরাতের পবিত্রতা রক্ষার্থে ও শান্তিপূর্ণভাবে উদ্যাপনের জন্য ডিএমপি অর্ডিন্যান্সের ২৮ ধারার ক্ষমতাবলে পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া আতশবাজি, পটকাবাজি, অন্যান্য ক্ষতিকারক ও দূষণীয় দ্রব্য বহন এবং ফোটানো নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। নির্দেশ অনুযায়ী আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল সোমবার ভোর ৬টা পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে। নগরবাসীকে এ নিষেধাজ্ঞা মেনে চলার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সব স্তরে প্রতিষ্ঠা এবং পবিত্র শবেবরাতের মাহাত্ম্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে মানবকল্যাণ ও দেশ গড়ার কাজে আত্মনিয়োগের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী আজ শবেবরাত উপলক্ষে গতকাল শনিবার দেওয়া এক বাণীতে এ আহ্বান জানান।

বাণীতে প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ ও বিশ্বের সব মুসলমানকে শবেবরাত উপলক্ষে আন্তরিক মোবারকবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘আসুন, সকল প্রকার কুসংস্কার ও কূপমণ্ডূকতা পরিহার করে আমরা শান্তির ধর্ম ইসলামের চেতনাকে ব্যক্তি, সমাজ ও জাতীয় জীবনের সকল স্তরে প্রতিষ্ঠা করি। ’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সৌভাগ্যের এই রজনী মানবজাতির জন্য বয়ে আনে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অশেষ রহমত ও বরকত। এই রাতে তিনি ক্ষমা প্রদর্শন এবং প্রার্থনা পূরণের অনুপম মহিমা প্রদর্শন করেন। তিনি কামনা করেন, ‘পবিত্র শবেবরাত আমাদের সবার জন্য শান্তি, সমৃদ্ধি ও উন্নয়নের বার্তা বয়ে আনবে এবং মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে হেফাজত করবেন। ’

]]>
https://jonomoth.com/archives/7227/feed 0 7227
সমাজে শান্তি আসবে না, সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে https://jonomoth.com/archives/6904 https://jonomoth.com/archives/6904#respond Sat, 13 Apr 2019 17:38:45 +0000 http://jonomoth.com/?p=6904

জনমত নিউজ : সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেকোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে।

যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (বুখারি)

সময়মতো যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা না হয়, তাহলে এর ফল গোটা জাতিকে ভোগ করতে হয়। তাই সমাজে কোনো অন্যায়-অনাচার দেখা দিলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করা আবশ্যক।

কিন্তু আমাদের সমাজে এখন আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে অনেকে আগ্রহ দেখায় না। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া হাজারো অন্যায়কে ঠাণ্ডা মাথায় এড়িয়ে চলে।

অন্যায়ের প্রতিবাদকে তারা অযথা ঝামেলায় জড়ানোই মনে করে। এতে মানুষ নিজেদের অজান্তেই গোটা জাতির ওপর আরো বড় বিপদ ডেকে আনে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষ যখন কোনো অত্যাচারীকে দেখেও অন্যায় থেকে তার হাতকে প্রতিরোধ করবে না, শিগগিরই আল্লাহ তাদের সবার ওপর ব্যাপক আজাব নাজিল করবেন।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)

সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একটা সমাজে অপরাধ তখনই বেড়ে যায়, যখন অপরাধী বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়।

তাই মহান আল্লাহ সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! ন্যায়বিচারে তোমরা অটল থেকো, আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য প্রদানকারীরূপে যদিও নিজেদের প্রতিকূলে যায় অথবা পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের, সে ধনী বা গরিব হোক, আল্লাহই উভয়ের জন্য উত্তম অভিভাবক। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে নিজ নিজ খেয়ালখুশির (পক্ষপাতিত্বের) বশীভূত হয়ো না।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত : ১৩৫)

এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আত্মীয়তা, ধন-সম্পদ কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

পাশাপাশি মানুষকে সৎকাজে আদেশ করার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণে তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)

সত্যি কথা হলো, যত দিন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দেওয়া নির্দেশনার বাস্তবায়ন হবে না, তত দিন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সুদূরপরাহত।

#কে.কে/

]]>
https://jonomoth.com/archives/6904/feed 0 6904
সুন্দরভাবে কথা বলাও ইবাদত https://jonomoth.com/archives/6819 https://jonomoth.com/archives/6819#respond Thu, 11 Apr 2019 14:02:08 +0000 http://jonomoth.com/?p=6819

জনমত নিউজ : মানুষের আচরণে তাঁর ব্যক্তিত্বের ছাপ ফুটে ওঠে। স্পষ্ট হয় তাঁর শিক্ষা ও শিষ্টাচার, রুচি ও ব্যক্তিত্ববোধ, মন ও মানসিকতা।

তাই ইসলামের শিক্ষা হলো, মানুষের সঙ্গে মার্জিত ভঙ্গিতে হাসিমুখে কথা বলা।
তা ছাড়া পারস্পরিক দেখা-সাক্ষাতে হাসিমুখে কথা বলা সামাজিকতা ও মানবিকতার দাবি। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে হারেস (রা.) বলেছেন, মুচকি হাসিতে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর চেয়ে অগ্রগামী কাউকে আমি দেখিনি। (শামায়েলে তিরমিজি, হাদিস : ২২৭)

মানুষের সঙ্গে হাসিমুখে কথা বলার গুরুত্ব দিতে গিয়ে নবী (সা.) তাঁর এক প্রিয় সাহাবি আবু জার (রা.)-কে বলেছিলেন, ‘কোনো ভালো কাজকেই তুচ্ছ মনে করবে না, এমনকি তা যদি তোমার ভাইয়ের সঙ্গে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করার বিষয়ও হয়। ’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ২৬২৬)।

]]>
https://jonomoth.com/archives/6819/feed 0 6819
জেলা সাংবাদিক ফোরাম চুনারুঘাট উপজেলা শাখার কমিটি পূনর্গঠন https://jonomoth.com/archives/6207 https://jonomoth.com/archives/6207#respond Mon, 07 Jan 2019 16:07:24 +0000 https://jonomoth.com/?p=6207

জেলা সাংবাদিক ফোরাম চুনারুঘাট উপজেলা শাখার কমিটির পূনর্গঠন
আলাউদ্দিন- সভাপতি, রায়হান- সেক্রেটারি ও জুবায়ের- সাংগঠনিক

 

চুনারুঘাট প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরাম চুনারুঘাট উপজেলা শাখার কমিটি পূনর্গঠন করা হয়েছে। হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি শাকিল চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক শরিফ চৌধুরী এ কমিটির অনুমোদন দিয়েছেন।
এতে খন্দকার আলাউদ্দিনকে সভাপতি ও রায়হান আহমেদ সেক্রেটারি ও মীর জুবায়ের আলমকে সাংগঠনিক সম্পাদক রেখে ১৩ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

 

কমিটি পূনর্গঠন লক্ষে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরাম এর অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ফোরামের সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজুর সভাপতিত্বে ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান আহমেদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন, হবিগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি শরিফ চৌধুরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সহ-সভাপতি মোঃ মামুন চৌধুরী, যুগ্ম সম্পাদক মোঃ কাউছার, সাহিত্য ও সাংস্কৃতি সম্পাদক কাজী সুজন, চুনারুঘাটের ব্যবসায়ী নেতা সাজিদুল ইসলাম, হারুনুর রশীদ চৌধুরী, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সদস্যবৃন্দ সহ আরো অনেকে।

 

পুনর্গঠিত কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক তরফদার মাসুম, সহ-সভাপতি মোঃ আব্দুল হাই প্রিন্স, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এসএম শওকত আলী, অর্থ সম্পাদক এসএম জিলানী আখনজি, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নাজিরুজ্জামান শিপন, সমাজকল্যাণ সম্পাদক শেখ ইসমাইল হোসেন তুহিন, দপ্তর সম্পাদক কাজী মিজান, নির্বাহী সদস্য আব্দুর রাজ্জাক রাজু, মোঃ ওয়াহেদ আলী, মোঃ মামুন চৌধুরী।

]]>
https://jonomoth.com/archives/6207/feed 0 6207
বর্ণাঢ্য আয়োজনে চুনারুঘাটে দৈনিক বাংলাদেশের খবরের ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন https://jonomoth.com/archives/5345 https://jonomoth.com/archives/5345#respond Sat, 15 Sep 2018 10:03:26 +0000 http://jonomoth.com/?p=5345

ষ্টাফ রিপোর্টার : বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলায় “দেশের কথা দশের কথা শ্লোগানে”- বহুল প্রচারিত দৈনিক বাংলাদেশের খবর এর ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। আজ শনিবার সকালে চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের কার্যালয়ে কেক কেটে ৩য় বর্ষপূর্তি উদযাপন করা হয়। এর আগে আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন, বাংলাদেশের খবর এর চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি রায়হান আহমেদ।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে.এম আজমিরুজ্জামান। সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজুর সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সুপ্রীম কোর্টের আইনজীবী মোস্তাক আহাম্মদ বাহার, চুনারুঘাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ জালাল উদ্দিন সরকার, উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মীর আলী শাকির, চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সিনিঃ সহ-সভাপতি মহিদ আহমেদ চৌধুরী, রিপোর্টার্স ইউনিটির সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ, বাজার কমিটির সেক্রেটারি মাসুদ আহমেদ, প্রেসক্লাবের যুগ্ম-সম্পাদক ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, সাংবাদিক ফোরামের সেক্রেটারি খন্দকার আলাউদ্দিন, নির্বাহী সদস্য ওয়াহেদ আলী, উপজেলা হিউম্যান রাইটস-এর চেয়ারম্যান সাংবাদিক শেখ মোঃ হারুনুর রশিদ, অনলাইন সংবাদ মাধ্যম হবিগঞ্জ প্রতিদিনের সম্পাদক এস আর রুবেল মিয়া, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাজিদুল ইসলাম।

অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের দপ্তর সম্পাদক মোঃ রুবেল তালুকদার, নাজিরুজ্জামান শিপন, ফটোগ্রাফার নিপু সহ আরো অনেকে।
বক্তারা বলেন, দৈনিক বাংলাদেশের খবর সর্বদাই দেশের কথা বলে, দশের কথা বলে, সত্যের পক্ষে লড়ে। নিপীড়িত মানুষের পক্ষে, অন্যায় ও দুর্নীতির বিপক্ষে, দেশের সকল সমস্যা, সম্ভাবনা বাংলাদেশের খবর প্রকাশ করে এবং ভবিষ্যতেও করবে এই প্রত্যাশা ব্যক্ত করা হয়। পরিশেষে বক্তারা বাংলাদেশের খবর পরিবারের সবাইকে অভিনন্দন জানান ও পত্রিকার উত্তর উত্তর সাফল্য কামনা করেন।

]]>
https://jonomoth.com/archives/5345/feed 0 5345
আজ ২১শে ফেব্রুয়ারি : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস https://jonomoth.com/archives/3674 https://jonomoth.com/archives/3674#respond Wed, 21 Feb 2018 06:31:54 +0000 http://jonomoth.com/?p=3674

জনমত নিউজ ডেস্ক : আজ একুশে ফেব্রুয়ারি। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। মায়ের ভাষার অধিকার রক্ষায় সংগ্রামে এক গৌরবোজ্জ্বল দিন। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ভাষা শহীদদের স্মরণে দিবসটি যথাযথ মর্যাদায় পালিত হবে।
রাষ্ট্রভাষা বাংলার দাবিতে ১৯৫২ সালের এই দিনে তত্কালীন পূর্ব পাকিস্তানের ছাত্র ও যুবসমাজসহ সর্বস্তরের মানুষ শাসকগোষ্ঠীর রক্তচক্ষু ও প্রশাসনের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে আসে।
আন্দোলনের দুর্বার গতি পাকিস্তানি শাসকদের শঙ্কিত করে তুললে সেদিন ছাত্র-জনতার মিছিলে গুলি চালায় পুলিশ। গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন সালাম, জব্বার, সফিক, বরকত ও রফিক।
মাতৃভাষার অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ’৫২-এর একুশে ফেব্রুয়ারি ছিল ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণ ও শাসকগোষ্ঠীর প্রভুসুলভ মনোভাবের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধ এবং ভাষার ভিত্তিতে বাঙালির জাতীয় চেতনার প্রথম উন্মেষ।
ভাষা শহীদদের রক্তের বিনিময়ে বাঙালি জাতি সেদিন ‘মায়ের ভাষার’ মর্যাদা অর্জনের পাশাপাশি রাজনৈতিক ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও পায় নবপ্রেরণা। এরই পথ বেয়ে শুরু হয় বাঙালির স্বাধিকার আন্দোলন এবং একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধ।
নয় মাস পাকিস্তানি সশস্ত্র বাহিনীর বিরুদ্ধে সশস্ত্র যুদ্ধের মধ্য দিয়ে বিশ্বের মানচিত্রে সংযোজিত হয় নতুন এক স্বাধীন সার্বভৌম দেশ— ‘বাংলাদেশ’।
জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতিবিষয়ক সংস্থা (ইউনেস্কো) ১৯৯৯ সালে মহান একুশের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের স্বীকৃতি দেয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়েও দিবসটি পালিত হচ্ছে।
রাজধানী ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং বিভিন্ন স্থানে আলোচনা সভাসহ নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতি আজ একুশের মহান শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একুশের প্রথম প্রহরে ১২টা ১ মিনিটে সর্বপ্রথম কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর পর পরই শহীদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

]]>
https://jonomoth.com/archives/3674/feed 0 3674
গরুর মাংসের উপকারিতা ও অপকারিতা https://jonomoth.com/archives/2249 https://jonomoth.com/archives/2249#respond Tue, 05 Dec 2017 04:34:37 +0000 http://jonomoth.com/?p=2249

জনমত নিউজ ডেস্ক : গরুর মাংস পুষ্টি উপাদানে ভরপুর একটি খাবার। গরুর মাংসে পুষ্টি উপাদান বেশি হওয়ায় অতিরিক্ত খেলে স্বাস্থ্যের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই গরুর মাংস গ্রহণের ক্ষেত্রে সঠিক পরিমাণ বজায় রাখা অনেক জরুরি।

উপকারিতা বা সুফল-

গরুর এক টুকরা মাংস থেকে পাওয়া যায় একগুচ্ছ পুষ্টি উপাদান, যার মধ্যে অন্যতম হল :

প্রোটিন : যা মাংসপেশিকে শক্তিশালী ও মজবুত করতে সাহায্য করে।

জিংক : যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ফসফরাস : যা মজবুত হাড় ও দাঁতের জন্য জরুরি।

আয়রন : যা রক্তস্বল্পতা দূরীকরণ এবং শরীরের সব কোষে অক্সিজেন সরবরাহে সাহায্য করে। এ ছাড়া গরুর মাংসের মধ্যে প্রাপ্ত বি১২, বি৬ এবং বিরোফ্রাবিন শরীরে শক্তি সরবরাহে সাহায্য করে।

কুফল-

* গরুর মাংসে রয়েছে কোলেস্টেরল, সোডিয়াম ও ফ্যাট, যা অন্যান্য পুষ্টি উপাদানের মতো বেশি পাওয়া যায়। অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে রক্তে চর্বির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে, যা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

* বিশেষ করে গরুর মাংসের ঝোল বা স্টক থেকে প্রচুর সম্পৃক্ত চর্বি পাওয়া যায়, যা রক্তনালিতে জমে এথেরোসক্লেরসিস ঘটাতে পারে। যা থেকে পরবর্তীকালে স্ট্রোক বা হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।

* গরুর মাংসের অতিরিক্ত সোডিয়াম শরীরের জন্য ক্ষতিকর। বিশেষ করে উচ্চ রক্তচাপ সৃষ্টিতে বা বাড়াতে সোডিয়াম সাহায্য করে। তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস ঘন ঘন খেলে উচ্চরক্তচাপ হতে পারে, যা হৃদরোগ, স্ট্রোক বা কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

* অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে।

* তাই অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে তা থেকে প্রাপ্ত প্রোটিন কিডনি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এ ছাড়া অতিরিক্ত গরুর মাংস খেলে রক্তে ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যায়।

]]>
https://jonomoth.com/archives/2249/feed 0 2249
বাংলাদেশ টেলিভিশনে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি https://jonomoth.com/archives/2147 https://jonomoth.com/archives/2147#respond Sat, 02 Dec 2017 08:50:38 +0000 http://jonomoth.com/?p=2147

অনলাইন ডেস্ক : ২২ হাজার বেতনে ১৫ পদে বাংলাদেশ টেলিভিশনের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি!!

পদগুলোতে পুরুষ ও নারী উভয়েই আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

সহকারী হিসাবরক্ষক, ক্যাশিয়ার, লাইটিং সহকারী, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর, ড্রাইভার, ক্যামেরাম্যান সহকারী, মালি।

যোগ্যতা

সহকারী হিসাবরক্ষক

পদটিতে তিনজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে ১০ হাজার ২০০ থেকে ২৪ হাজার ৬৮০ টাকা।

ক্যাশিয়ার

পদটিতে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩০ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে নয় হাজার ৩০০ থেকে ২২ হাজার ৪৯০ টাকা।

এই পদ মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।

লাইটিং সহকারী

পদটিতে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে নয় হাজার ৩০০ থেকে ২২ হাজার ৪৯০ টাকা।

ডাটা এন্ট্রি অপারেটর

পদটিতে পাঁচজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে নয় হাজার ৩০০ থেকে ২২ হাজার ৪৯০ টাকা।

ড্রাইভার

পদটিতে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে নয় হাজার ৩০০ থেকে ২২ হাজার ৪৯০ টাকা।

ক্যামেরাম্যান সহকারী

পদটিতে দুজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে নয় হাজার থেকে ২১ হাজার ৮০০ টাকা।

এই পদ দুটি মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত।

মালি

পদটিতে একজনকে নিয়োগ দেওয়া হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে। চাকরির বয়সসীমা ১৮ থেকে ৩৫ বছর। নিয়োগপ্রাপ্তদের বেতন দেওয়া হবে আট হাজার ২৫০ থেকে ২০ হাজার ১০ টাকা।

যারা আবেদন করতে পারবেন

বিস্তারিত দেখুন বিজ্ঞপ্তিতে

আবেদন প্রক্রিয়া

আবেদনের জন্য নির্ধারিত মডেল ফরম বিটিভির ওয়েবসাইট www.btv.gov.bd থেকে অথবা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.mopa.gov.bd থেকে ডাউনলোড করা যাবে। আবেদনপত্র অফিস সময়ের মধ্যে ‘পরিচালক (প্রশাসন), বাংলাদেশ টেলিভিশন, প্রধান কার্যালয়, সদর দপ্তর ভবন, রামপুরা, ঢাকা-১২১৯’ এই ঠিকানায় ডাকযোগে পৌঁছাতে হবে। কুরিয়ার সার্ভিস অথবা হাতে হাতে কোনো আবেদনপত্র গ্রহণ করা হবে না।

আবেদনের সময়সীমা

আবেদন করা যাবে আগামী ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৭ পর্যন্ত

]]>
https://jonomoth.com/archives/2147/feed 0 2147
পবিত্র আশুরা পালিত https://jonomoth.com/archives/886 https://jonomoth.com/archives/886#respond Mon, 02 Oct 2017 17:33:05 +0000 http://jonomoth.com/?p=886

আনোয়ার হোসেন সজল : ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে পালিত হয়েছে পবিত্র আশুরা। হাত দিয়ে বুক চাপড়িয়ে হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম জারীর মাধ্যমে এ আশুরা পালিত হয়।

১০ মহররম মুসলিম বিশ্বে ত্যাগ ও শোকের দিন। হিজরি সাল অনুসারে ১০ মহররমকে আশুরা বলা হয়। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে আজকের দিনটি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যময়।

ঘটনাবহুল এই দিনে বর্তমান ইরাকের অন্তর্গত কারবালা প্রান্তরে মুয়াবিয়ার হাতে শহীদ হন বিশ্বনবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তার মৃত্যুর দিনটিকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুসলমানরা।

সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশের মুসলমানরাও যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করে। বিশেষ করে ইমাম হোসেনের মৃত্যুর প্রতীকী শোক পালন করতে প্রতিবছর তাজিয়া মিছিল বের করে ইমামবাড়াগুলো।

হবিগঞ্জে আশুরা উপলক্ষে সবচেয়ে বড় আয়োজন করা হয় সুলতানশী হাবিলীতে। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও সেখান থেকে বের করা হয় তাজিয়া মিছিল।

রোববার দুপুরে বিশাল একটি তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। হাজারো মানুষ এই শোক মিছিলে ‘হায় হোসেন-হায় হোসেন’ মাতম তুলে অংশ নেয়।

একই সময়ে বাহুবলের চন্দ্রছড়ি থেকে একটি তাজিয়া মিছিল বের করা হয়। মিছিলে এবার ছুরির বদলে হাত দিয়ে বুক চাপড়িয়ে মাতম করতে দেখা যায়।

বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে জেলা শহরের বহুলার মোকামবাড়ী, সুতাং শাহজীবাজার ও মিরপুরে চলছে আশুরার আয়োজন। বিকেল বেলায় সবাই একসাথে হয়ে হোসনী দালান ও ঘোড়া নিয়ে বের করবে তাজিয়া মিছিল।

কারবালার রক্তাক্ত স্মৃতির স্মরণে অন্যান্যবার নিজের দেহে ছুরি দিয়ে আঘাত করে রক্ত ঝরিয়ে মাতম করা হয়। কিন্তু গত বছরের ন্যায় এবারও পুলিশের অনুরোধ ও হোসেনি ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন যৌথ উদ্যোগে নিরাপত্তার স্বার্থে ছুরি দিয়ে মাতম করা হবে না বলে জানা গেছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা ৯ ও ১০ মহররম দুই দিন রোজা পালনসহ নফল ইবাদত-বন্দেগির মাধ্যমে দিনটি পালন করে থাকেন।

আশুরা উপলক্ষে বাংলাদেশে রোববর সরকারি ছুটি। শিয়া মুসলমানরা দিনটিকে শোক ও মর্সিয়া দিবস হিসেবে পালন করে থাকেন।

হিজরি ৬১ সালের ১০ মহররম কারবালা প্রান্তরে ইসলামের সুমহান আদর্শের পতাকা সমুন্নত রাখতে ১০ দিন অবরুদ্ধ থেকে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে হজরত ইমাম হোসাইন (রা.) নির্মমভাবে শাহাদাতবরণ করেন। কিন্তু তবুও মদ্যপ, ব্যভিচারী ও বেনামাজি ইয়াজিদকে ইসলামের খলিফা ঘোষণা করে তার হাতে বাইয়াত হওয়ার অন্যায় দাবির কাছে নতি স্বীকার করেননি। এভাবেই তিনি উম্মতে মোহাম্মাদীর সামনে কোনো ধরনের অন্যায়, জুলুম ও অত্যাচারের কাছে নতি স্বীকার না করার দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠা করে যান।

ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী, ১ মহররম বর্তমান ইরাকের কুফা নগরীর কাছে ফোরাত নদের তীরে কারবালা প্রান্তরে ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন ইমান হোসাইন। নবীর আদরের নাতির পরিবার-পরিজন ও সাথীদের জন্য ফোরাতের পানি নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

কুফার গভর্নর ইবনে জিয়াদের নিয়োজিত বাহিনীর প্রধান সাদ ইবনে ওমর ইয়াজিদকে ইসলামের খলিফা ঘোষণা করে তার হাতে বাইয়াত গ্রহণের জন্য ইমাম হোসাইনের ওপর চাপ দিতে থাকেন। কিন্তু তিনি ইসলামের আদর্শ রক্ষার স্বার্থে ইয়াজিদকে ইসলামের খলিফা ঘোষণা ও তার ইমামত স্বীকার করতে অস্বীকৃতি জানান। ইয়াজিদের বাইয়াত মানতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত নির্মমভাবে নবী দৌহিত্রকে হত্যা করা হয়।

মহান আল্লাহ রব্বুল আলামিন এ দিনেই পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং এই দিনেই কিয়ামত বা পৃথিবী ধ্বংস হবে।

বেহেস্ত থেকে মানব জাতির আদি পিতা হজরত আদম (আ.) ও মা হাওয়া (আ.) পৃথিবীতে আগমনের ঘটনা ঘটে এই দিনেই। ৩০০ বছর প্রার্থনার পর এই দিনেই তারা মহান আল্লাহর ক্ষমা লাভ করেন। আর এই দিনেই আরাফার ময়দানে পুনরায় সাক্ষাৎ লাভ ঘটে তাদের।

]]>
https://jonomoth.com/archives/886/feed 0 886