সম্পাদকীয় – Jonomoth.Com https://jonomoth.com জনমত নিউজ । A Online Newspaper Sat, 22 Oct 2022 17:50:02 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.5.11 155563395 মা-বাবার বেখেয়ালিপনা ‘কিশোর গ্যাং’ সৃষ্টির জন্য দায়ী https://jonomoth.com/archives/11384 https://jonomoth.com/archives/11384#respond Sat, 22 Oct 2022 11:51:16 +0000 http://jonomoth.com/?p=11384

সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করা এখন সময়ের দাবী

রায়হান আহমেদ, সাংবাদিক ও লেখক :

              লেখকের ছবি

স্কুল-কলেজের সামনে, রাস্তার মোড়ের দোকানে, বিল্ডিংয়ের ছাদে, চিপা গলিতে, খালি মাঠের এক কোণায় যেসব উশৃংখল কিশোর খামকা আড্ডায় মত্ত থাকে, তাদের আপাত দৃষ্টিতে কিশোর গ্যাং বলা হয়। তাদের অনেকেই বিভিন্ন নেশাদ্রব্য সেবন করে। কেউ কেউ মাদক ব্যবসাও করে। সামান্য একটা বিষয় নিয়ে যেকারো সাথে তারা খারাপ আচরণ করে। তারা স্কুল-কলেজের সামনে দামী মোটরসাইকেল বুম বুম করে মেয়েদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চায়।

 

ছাত্রীদেরকে উদ্দেশ্য করে টিটকারি-মশকারি করে। ইভটিজিং করে। ওই মেয়ে পাত্তা না দিলে বিভিন্নভাবে ক্ষতি করবে বলে তাকে হুমকি দেয়। এই হুমকির খবর অন্য গ্যাং এর কাছে গেলে মেয়েদের মনে উঠার জন্য বিবাদে জড়ায় দুই গ্যাং। বিষয়টি সামনে বাড়লে চাপাতি, চাইনিজ কুড়াল, চাইনিজ ছুরি নিয়ে দু’পক্ষ মারামারি করে। এভাবেই চলতে থাকে তাদের হামলা পাল্টা হামলা। পড়ালেখার বারোটা বাজিয়ে বখাটেপনায় তারা অভ্যস্ত হয়ে সুন্দর জীবন নষ্ট করে ফেলে। আর এ কিশোর গ্যাং তৈরি হয় মা-বাবার বেখেয়ালিপনার কারণে। প্রত্যেকের বাবা-মা যদি তাদের সন্তানকে চোখে চোখে রাখেন, কোথায় যায়, কার সাথে মিশে, এসব খোঁজখবর রাখেন, প্রয়োজনে শাসন করেন, তাহলে ছেলেটা তাদের বখে যায় না, কিশোর গ্যাংও সৃষ্টি হয় না।

 

তারা বাবা-মায়ের ধার ধারে না। নিজেদের উশৃঙ্খল জীবন-যাপনে সাচ্ছন্দ্য বোধ করে। ছেলে একবার বখে গেলে মা-বাবার কথা তো শুনেই না, উল্টো তাদের উপর হাত তুলতেও দ্বিধাবোধ করে না। এসব কুলাঙ্গার সন্তান সমাজের শত্রু, দেশের শত্রু। নানান অপরাধে জড়িয়ে পড়া অধিকাংশ কিশোর গ্যাং গড়ে ওঠার পেছনে বিভিন্ন দলের স্থানীয় নেতাকর্মীদের মদদ রয়েছে। নিজেদের আধিপত্য বিস্তার, সিনিয়র-জুনিয়র দ্বন্দ্ব, প্রেমের বিরোধ, মাদকসহ নানা অপরাধে কিশোররা খুনাখুনিতে পর্যন্ত জড়িয়ে পড়ছে। সম্প্রতি কিশোর গ্যাংয়ের উশৃংখল ঘটনাগুলো বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়- বিভিন্ন এলাকায় কিশোর গ্যাং নিয়ন্ত্রণ করে স্থানীয় প্রভাবশালী ‘বড় ভাই’রা।

 

রাজধানীতে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও আধিপত্য বিস্তার করতে কিশোর এবং তরুণদের ব্যবহার করা হচ্ছে। নজর দিলেই দেখা যায়, বর্তমান সমাজে বেশিরভাগ মারামারি-হানাহানি, অসামাজিক কর্মকাণ্ড, ছিনতাই, ধর্ষণ, ইভটিজিং কিশোর গ্যাংয়ের দ্বারাই সংঘটিত হচ্ছে। এদিকে আইনের কাঙ্খিত শাসন না থাকায় দিন দিন কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে চলেছে। সঠিকভাবে আইন প্রয়োগ করে এ গ্যাং নির্মূল করা এখন সময়ের দাবী। সঠিক পদক্ষেপ না নিলে এ সমস্যা জাতীয় সমস্যায় রূপ নিতে পারে।

]]>
https://jonomoth.com/archives/11384/feed 0 11384
“মায়ের দোয়া” : মোঃ রমজান আলী https://jonomoth.com/archives/10106 https://jonomoth.com/archives/10106#respond Tue, 11 May 2021 12:16:20 +0000 http://jonomoth.com/?p=10106

“মায়ের দোয়া”

মোঃ রমজান আলী :

আমার মেয়ে বলতেছে,বাবা আজ(যেদিন বিশ্ব মা দিবস)মনে হয় “মা”দিবস।কীভাবে বুঝলে?এই যে মাকে নিয়ে সবাই লিখছে।ঠিক আছে তাহলে মাকে উইশ করো।সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বরাদে জানলাম,দেখলাম হাজার হাজার মায়ের সন্তানদের মধু মাখা স্মৃতি বিজরিত কথা,অনুভূতি আবেগ ভালোবাসায় মোড়ানো উজার করে দেওয়া মনের গভীরের প্রশান্তির বাণী।যদিও আমার “মা”পৃথিবীতে নেই তবুও শত শত মায়ের মুখগুলো দেখে আমার মায়ের মুখ খানি চোখের কোণে জ্বলজ্বল করে ভাসছিলো।পূর্বের ইতিহাস জাহেলি যুগে,মায়ের জাত নারীদের অবস্থা মোটেও ভালো ছিল না।যদি কারো ঘরে কন্যা সন্তান জন্ম নিত তাহলে মুখমন্ডল কালো হয়ে যেত। এক পর্যায়ে ভাবতো কন্যা সন্তানকে রেখে দেব না মাটির নিচে পুতেঁ ফেলব।আল্লাহ পবিত্র কুরআনের “সূরা নাহল”- এ সম্পর্কিত সাবধান করেছেন(আয়াত ৫৮-৫৯)।এ পর্যন্ত যতগুলো সভ্যতা এসেছে তার মধ্যে হাজার বছরের পুরনো সভ্যতা “গ্রীক সভ্যতা”। এ সময় নারীদের মান মর্যাদা এত বেশি নিচে ছিল যে তাদেরকে শুধু মাত্র বাচ্চা পালনকারী ক্রীতদাসী ও বাদীর মতো মনে করা হতো।মায়ের প্রতি কতটা আস্থা,অনুভূতি থাকলে সন্তান তার থাকার ঘর মায়ের নামে রাখে।দেখা যায় অনেকেই বাড়ির নাম দেন “মা মন্জিল”, “মা ভিলা”। যোগাযোগ ও যাতায়াতে ও মায়ের দোয়া থাকবে না তা কী করে হয়।তাই তো পরিবহনেও লেখা থাকে “মা পরিবহন”,” মা-বাবার আশীর্বাদ”।খাবার হোটেলে ও লেখা থাকে “মায়ের দোয়া হোটেল”। এভাবেই মায়ের দোয়া নিয়েই সবাই বাঁচতে চাই।মাও তার সন্তানকে কতটা আগলে রাখে তা যে শুধু মানুষের মধ্যেই তা কিন্তু নয়,অন্য প্রাণীর বেলাও মায়ের অনুভূতি একই রকম।বাঘ দেখলে সবাই ভয় পাই,মানুষ খেকো বাঘ।এই মা বাঘ(বাঘিনী)ধারালো সুচালো দাঁত দিয়ে তার সন্তানকে আলতো ভাবে কামড় দিয়ে বাচ্চা বাঘকে এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।প্রচুর বৃষ্টির মধ্যেও মুরগি তার বাচ্চাদের অতি যত্নের সাথে পাকনা দিয়ে এমন ছাতার মতো করে রাখে যাতে বাচ্চা গুলো না ভিজে। যদি ভিজেও যায় মুরগি তার বাচ্চার শরীরের পানিকে শুকানোর জন্য বার বার ঠোঁট দিয়ে ঝারা দেয়।কি মমত্ব, কি মায়া মায়ের বাচ্চার প্রতি।মা বক বাচ্চাদেরকে ঠোঁটে ঠোঁট লাগিয়ে আহার দেয়।বাচ্চা বকগুলো পাখনা নাড়ে আর খাদ্য গুলো পেঁটে নেয়।অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় পশু ক্যাঙ্গারু,কি সুন্দর বুকের ভেতর থলেতে বাচ্চাকে রেখে লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ায়। পাহাড়ি উপজাতি “মা” পিঠের উপর বাচ্চা রেখে অবিরাম পরিশ্রম করে যাচ্ছে।এখানেও বাচ্চা তার মায়ের কাছে বেশি নিরাপদ।যত স্বাদ করেই রান্না করা হোক না কেন মায়ের হাতের রান্নার মতো স্বাদ আর কোথাও পাই না।তাই সন্তানের কাছে তার মায়ের হাতের রান্না সবার সেরা রান্না।এত কিছুর পরও বিদ্যাশ্রম গুলো মা-বাবা দের আশ্রয়স্থল হচ্ছে কেন?এ প্রশ্ন আমার আপনার সবার।ফকির আলমগীরের গাওয়া গানে,”মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম
পাপোষ বানাইলে ঋণের শোধ হবে না,এমন দরদি ভবে কেউ হবে না
আমার মাগো”……
অফুরন্ত ভালোবাসা রইল সকল মায়ের প্রতি।

]]>
https://jonomoth.com/archives/10106/feed 0 10106
কেন বার বার প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি! https://jonomoth.com/archives/9088 https://jonomoth.com/archives/9088#respond Wed, 02 Sep 2020 18:48:52 +0000 http://jonomoth.com/?p=9088

সবকিছু মিলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য তদন্তকারীর রহস্য উদঘাটনের প্রচেষ্টাকে ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে বিচার না করে বরং ১৬৪ ধারা নিয়ে যেন কেউ প্রশ্ন না করতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সতর্ক ও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আর না হলে আদালতে জজ মিয়া নাটক আর নারায়ণগঞ্জের ঘটনাকে নজির হিসেবে উপস্থাপন করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে। তাই বলছি, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্নই থাক আর সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পেতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দির প্রতি আস্থাশীল থাকুক এটাই প্রত্যাশা।

শাহ ফখরুজ্জামান : আমাদের সমাজে প্রতিনিয়ত ছোট বড় অনেক ফৌজদারি অপরাধ হচ্ছে। এই অপরাধের কিছু কিছু ঘটনায় আদালতে মামলা হচ্ছে। আবার অনেক ঘটনা মামলার আগেই সালিশে নিষ্পত্তি হচ্ছে। আবার আদালতে মামলা হওয়ার পরও অনেকটা আপস হয়ে যাচ্ছে। মামলা যখন কগনিজেন্স বা আমলি আদালতে থাকে, তখন আসামিরা অপরাধের ধরন অনুযায়ী কারাভোগ করলেও অনেক মামলা শেষ পর্যন্ত পরিচালনা হয় না। আবার যে মামলাগুলো পরিচালিত হয় তার সবগুলোতে অপরাধ প্রমাণিত করা সম্ভব হয় না বলে অপরাধী যথাযথ শাস্তি পাচ্ছে না। অপরাধ প্রমাণে যথাযথ সাক্ষী, মেডিক্যাল সার্টিফিকেট, অভিযোগপত্র, অন্যান্য ডকুমেন্টস এবং আইনি যুক্তিতর্কের বিষয় জড়িত।

চাঞ্চল্যকর মামলা প্রমাণে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এই জবানবন্দি আইনের দৃষ্টিতে সাক্ষ্য আইন অনুযায়ী প্রমাণ হিসেবে অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রহণযোগ্য হয়। কিন্তু বাস্তবে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নিয়ে নতুন নতুন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। জজ মিয়া নাটকের পর কয়েকদিন আগে নারায়নগঞ্জের ঘটনায়ও প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি।

আমরা যারা মিডিয়াকর্মী হিসেবে কাজ করি এবং যখন জানতে পারি চাঞ্চল্যকর ঘটনার দায় স্বীকার করে গ্রেফতার হওয়া আসামি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে, তখন ছুটে যাই সেই সংবাদ প্রকাশ করার জন্য। পরে ফলাও করে সেই সংবাদ প্রকাশ করি রহস্যের উদঘাটন হয়েছে বলে। আবার যেহেতু আইন পেশায় জড়িত রয়েছি, ১৬৪ ধারার অনেক জবানবন্দি নিয়ে দুঃখজনক গল্প শুনতে পাই। এই গল্পগুলো এমন, পুলিশ আসামিকে বলে ‘আমি তোকে যা শিখিয়ে দেব ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে তা বললে তোকে ছেড়ে দেব’। গ্রাম থেকে আসা সহজ-সরল লোকজন এ কথা বিশ্বাস করে নিজে অপরাধ না করলেও অনেক সময় পুলিশের কথা সরল বিশ্বাসে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বলে দেয়।

এই জবানবন্দি দেওয়ার পর যখন আসামি ভুল বুঝতে পারে, তখন আর কিছু করার থাকে না। তবে আমার অনেক সহকর্মীকে দেখেছি, পরে তারা একটি হলফনামা দিয়ে ১৬৪ ধারার জবানবন্দি প্রত্যাহারের জন্য আদালতে আবেদন করেন। তবে ম্যাজিস্ট্রেট তা আমলে নেন না। তখন আইনজীবীরা সেই আবেদনটি নথির সঙ্গে সামিল করে দিতে বলেন, যাতে করে বিচারের সময় বিষয়টিকে ডিফেন্স করতে পারেন।

আমার একটি মামলায় দেখেছি, এক নৃতাত্ত্বিক জনগোষ্ঠীর কিশোরী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ব্যাপারে ভিকটিমের পরিবার মামলা করতে চাইলে প্রথমে থানা মামলা নেয়নি। পরে আমি এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করি। একটি মানবাধিকার সংস্থা বিষয়টি নিয়ে থানায় যোগাযোগ করলে পরে মামলাটি রেকর্ড হয়। এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন আসামিকেও গ্রেফতার করে পুলিশ।

কিন্তু পরে আসামিদের রক্ষার জন্য শুরু হয় দৌড়ঝাঁপ। আমি জানতে পারি ধর্ষণের শিকার হওয়া কিশোরী ও তার মাকে চারদিন আটকে রেখে প্রলোভন দেওয়া হয়, ভিকটিমের ২২ ধারার জবানবন্দিতে যেন ওই তিন আসামির নাম না বলে যিনি ভিকটিমকে উদ্ধার করেছেন এবং যাকে মামলার সাক্ষী মানা হয়েছে, তিনি ধর্ষণ করেছেন বলা হয়। এতে করে ওই সাক্ষীর সঙ্গে কিশোরীর বিয়ের ব্যবস্থা করা হবে এবং দুই লাখ টাকা দেওয়া হবে। পাহাড়িরা সহজ-সরল হয়। আবার কিশোরীর বয়সও কম। ফলে সে সহজেই সেই প্রলোভনে পা দিয়ে ২২ ধারায় জবানবন্দিতে পুলিশের শেখানো কথাই বলে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে।

অপরদিকে যিনি ধর্ষকের কাছ থেকে ভিকটিমকে উদ্ধার করেছেন, সেই ব্যক্তিকে পুলিশ আটকে নির্যাতন করে বাধ্য করেছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে তিনি নিজেই ধর্ষণ করেছেন সেই কথা বলাতে। পরে ভিকটিমের ২২ ধারায় জবানবন্দি এবং উদ্ধারকারীর ১৬৪ ধারার জবাবন্দি হুবহু একই হয়। আর সেই সুযোগে তিন ধর্ষণকারী জামিনে বের হয়ে আসে। কারাগারে আটকে আছেন সেই উদ্ধারকারী। বিষয়টি আমাকে ভিকটিম ও তার লোকজন বললে আমি দরখাস্ত দিয়ে আদালতের নজরে আনার চেষ্টা করি।

এবার আসা যাক নারায়ণগঞ্জের ঘটনার দিকে। সেখানে কিশোরীকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে এমন স্বীকারোক্তি দেওয়া মামলার তিন আসামি কারাগারে বন্দি। কিন্তু ওই জবানবন্দি দেওয়ার ১৪ দিন পর ওই কিশোরীকে জীবিত উদ্ধার করেছে পুলিশ। এর আগে গত ৪ জুলাই থেকে নিখোঁজ হয় নারায়ণগঞ্জ শহরের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী। গত ১৭ জুলাই সদর মডেল থানায় জিডি করেন তার বাবা। এরপর ৬ আগস্ট থানায় অপহরণ মামলা করেন তিনি।

পুলিশ মেয়েটির মায়ের মোবাইলের কললিস্ট চেক করে রকিবের সন্ধান পায়। রকিবের মোবাইল নম্বর দিয়ে আব্দুল্লাহ কিশোরীর সঙ্গে যোগাযোগ করতেন। এ ঘটনায় রকিব, আব্দুল্লাহ ও নৌকার মাঝি খলিলকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গত ৯ আগস্ট নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন হোসেন ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ূন কবিরের পৃথক আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন আসামিরা। স্বীকারোক্তিতে তারা জানান, কিশোরীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে শীতলক্ষ্যা নদীতে।

এ ধরনের স্বীকারোক্তির পর যখন ভিকটিম জীবন্ত উদ্ধার হয়, তখন ১৬৪ ধারার জবানবন্দি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দেওয়াই স্বাভাবিক। এর আগে জজ মিয়া নাটকও দেশবাসী দেখেছে। অথচ কোনো আসামি যখন আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেয়, তখন বিচারের আগে তার জামিন পাওয়াটা অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ বিজ্ঞ বিচারকরা ১৬৪ ধারার জবানবন্দি ও কিছু কিছু মামলায় আসামির আগের পিসিপিআর গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করেন এবং জামিন দিতে বিলম্ভ করেন। শুধু তাই নয় ,কোনো আসামি যখন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে বড় ধরনের কোনো ঘটনার সাথে জড়িত কারও নাম প্রকাশ করে তখন তার নাম যদি মামলার এজাহারে নাও তাকে সে আসামি হয়। স্বীকারোক্তিতে নাম থাকায় ওই আসামীর জামিন পাওয়াও কঠিন হয়।

ফৌজদারি কার্যবিধি আইনের ১৬১ ধারায় সাক্ষীর জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দেওয়া হয় যা জুডিশিয়াল রেকর্ড হিসেবে বিবেচিত হয় না। কিন্তু উক্ত আইনের ১৬৪ ধারা বলে কোনো জবানবন্দি বা স্বীকারোক্তি যদি ম্যাজিস্ট্রেট কর্তৃক গৃহীত হয়, তবে এটা জুডিশিয়াল রেকর্ড হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয় বিধায় বিচারামলে এর গুরুত্ব অপরিসীম।

 

এই ধারার অধীনে একজন অভিযুক্ত ব্যক্তি তার নিজের অপরাধের লিখিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে থাকেন একজন ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে। ১৬৪(১) ধারায় বলা হয়েছে, যেকোনো মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা প্রথম শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেট অথবা বিশেষভাবে ক্ষমতাপ্রাপ্ত দ্বিতীয় শ্রেণির একজন ম্যাজিস্ট্রেটের এই জবানবন্দি রেকর্ড করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তা বিচার বা তদন্ত শুরু হওযার আগে বা পরে যেকোনো সময় হতে পারে।

এখন ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আগে যিনি রেকর্ড করবেন, তিনি যে কাজগুলো করেন, সেগুলো হলো:

ক. স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি কোনো পুলিশের সামনে রেকর্ড করা যাবে না, এটা অবশ্যই শুধু ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে এবং তার তত্ত্বাবধানে রেকর্ড হবে, এমনকি এ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার সময় সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেটের কক্ষেও কোনো পুলিশ উপস্থিত থাকতে পারবেন না।

খ. ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪(৩) ধারা মোতাবেক, সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি রেকর্ড করার আগে তিনি অবশ্যই জবানবন্দিদাতাকে এটা পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করবেন যে, এই জবানবন্দি দিতে তিনি কোনোভাবেই বাধ্য নন এবং তাকে এ-ও পরিষ্কার করে বলতে হবে যে, যদি এ ধরনের কোনো স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন, তাহলে এটা তার বিরুদ্ধেও ব্যবহৃত হতে পারে।

গ. সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট জবানবন্দিদাতাকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট হতে হবে যে, এই জবানবন্দিদাতা সম্পূর্ণ স্বেচ্ছায় এবং কোনো প্রকার প্রভাবে প্রভাবিত না হয়ে এই স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

ঘ. ফৌজদারি কার্যবিধির ৩৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড ও স্বাক্ষর করার যে পদ্ধতি বলা হয়েছে, সে মোতাবেক সংশ্লিষ্ট ম্যাজিস্ট্রেট জবানবন্দিদাতার স্বাক্ষর নেবেন এবং স্বাক্ষর নেওয়ার আগে তিনি কী জবানবন্দি দিয়েছেন, তা তাকে অবশ্যই পড়ে শোনাবেন।

ঙ. এবং সর্বশেষ তিনি স্বীকারোক্তির শেষে সবকিছু উল্লেখ করেন, অর্থাৎ আইন দ্বারা আরোপিত দায়িত্বগুলো তিনি কীভাবে পালন করেছেন এবং তিনি কীভাবে আশ্বস্থ হয়েছেন যে, এই জবানবন্দি স্বেচ্ছাপ্রণোদিতভাবে দেওয়া হয়েছে এবং তিনি জবানবন্দি দেওয়ার ফলাফল সম্পর্কে ব্যক্তিকে অবহিত করেছেন কি-না ইত্যাদি উল্লেখ করে একটি মেমোরেন্ডাম লিখবেন, যেটা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির একেবারে শেষে থাকবে এবং ওই মেমোরেন্ডামের নিচে তিনি স্বাক্ষর করবেন।

সবকিছু মিলে ন্যায় বিচার নিশ্চিত করার জন্য তদন্তকারীর রহস্য উদঘাটনের প্রচেষ্টাকে ২/১টি বিচ্ছিন্ন ঘটনা দিয়ে বিচার না করে বরং ১৬৪ ধারা নিয়ে যেন কেউ প্রশ্ন না করতে পারেন, তার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও সতর্ক ও মনোযোগী হওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। আর না হলে আদালতে জজ মিয়া নাটক আর নারায়ণগঞ্জের ঘটনাকে নজির হিসেবে উপস্থাপন করে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হবে। তাই বলছি, বিচ্ছিন্ন ঘটনাগুলো বিচ্ছিন্নই থাক আর সাধারণ মানুষ ন্যায় বিচার পেতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দির প্রতি আস্থাশীল থাকুক এটাই আমার প্রত্যাশা।

লেখক : শাহ ফখরুজ্জামান
সাংবাদিক ও আইনজীবী।

]]>
https://jonomoth.com/archives/9088/feed 0 9088
স্থানীয় নির্বাচন : দলীয় প্রতীক বাড়াচ্ছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল https://jonomoth.com/archives/8740 https://jonomoth.com/archives/8740#respond Mon, 24 Aug 2020 17:44:22 +0000 http://jonomoth.com/?p=8740

যদি এখন স্থানীয় সরকার থেকে দলীয় প্রতীক বাদ না দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে যখন দলের বিভিন্ন কমিটি হবে, তখন নেতারা দলের উন্নতি চিন্তা না করে যোগ্য লোককে পদ না দিয়ে নিজের আজ্ঞাবহ এবং ঘনিষ্ঠদের দিয়ে পদ পূরণ করবেন। এতে করে দুর্বল হবে দল। রাজনীতির গুণগত মান আরও কমবে।

শাহ ফখরুজ্জামান : দলীয় প্রতীকে স্থানীয় নির্বাচনের ধারণা আমাদের নতুন অভিজ্ঞতা। বেশি দিন হয়নি এই চর্চা। এরমধ্যেই রেকর্ড খারাপ এ পদ্ধতির। এখন পর্যন্ত এই চর্চা আমাদের সুখকর কোনো অনুভূতি দেয়নি। বরং রাজনীতির আদর্শহীনতা, কোটারি স্বার্থ আর ইজমের বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে চরমভাবে। এক ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ করেছে রাজনীতিকে। অবজ্ঞা আর অবহেলার মুখে ফেলে দিয়েছে রাজনীতিবিদদের নীতি-আদর্শকে। এমনকি বাড়িয়ে দিয়েছে অভ্যন্তরীণ কোন্দলও।

বাংলাদেশের স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রতীক ব্যবহার নতুন হলেও বহু দেশে এই সংস্কৃতি পুরোনো। ভারত, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশেও স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয়ভাবে। পশ্চিমবঙ্গে পুর নির্বাচন হয়েছে স্ব স্ব দলের প্রতীকে। দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট ঔপনিবেশিক ও নয়া ঔপনিবেশিক শাসনব্যবস্থা সর্বদা রাজনীতি-বিযুক্ত নির্বাচন ব্যবস্থা চেয়েছে ও চায়।

আমাদের গণতান্ত্রিক দীক্ষা ও উত্তরাধিকার যেখান থেকে পেয়েছি, সেই যুক্তরাজ্যেও কিন্তু দলীয় ভিত্তিতে স্থানীয় নির্বাচন হয়। প্রতিবেশী ভারতেও দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী হওয়ার সংস্কৃতি বিদ্যমান। এ প্রেক্ষাপটেই হয়তা বাংলাদেশে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক চালু হয়। কিন্তু আমাদের মধ্যে যে এখনও এটি মেনে নেওয়ার মতো প্রস্তুতি নেই, তা বিগত কয়েকটি নির্বাচনে প্রমাণিত হয়েছে। আমরা এই ধারায় অভ্যস্থ নই এবং চর্চা করারও আগ্রহ নেই। তাই বর্তমানে এটি পরিবর্তনের কথাও চলছে।

রাজনীতি নিয়ে সুযোগ পেলেই এক শ্রেণির মানুষ নেতিবাচক কথা বলে। কিন্তু রাজনীতি এবং গণতন্ত্রের মধ্যেই একটি দেশ এবং সমাজের পরিবর্তন নির্ভরশীল। রাজনীতিতে শেষ কথা বলে কিছু নেই বলে যে টার্মটি ব্যবহার করা হয়, সেটিও একটি নেতিবাচক ধারণা থেকে। এ কথার মানে একজন রাজনীতিবিদ তার সিদ্ধান্ত এবং নীতি আদর্শ যেকোনো সময় পরিবর্তন করতে পারেন। যারা সারাজীবন শুদ্ধ রাজনীতি চর্চা করেন, তাদের কাছে রাজনীতি নিয়ে এ ধরনের অবহেলা পীড়াদায়ক। অথচ স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়ার পর রাজনীতিবিদদের নীতি-আদর্শ আরও বড় ধরনের প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে।

রাজনীতিতে যারাই নেতা হন, তারা চেষ্টা করেন ইজম তৈরি করার জন্য। যোগ্য ও ত্যাগী লোককে স্থান না দিয়ে নিজের আস্থাভাজন লোকজনকে বড় বড় পদে আনেন। শুধু তা-ই নয়, নিজের আত্মীয়-স্বজনকেও নিয়ে আসেন সামনে। এতে যারা শুদ্ধ রাজনীতি চর্চা করেন, তারা উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন।

 

এছাড়া স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক দেওয়ার পর মনোনয়ন পেতে তৃণমূলের নেতার সমর্থন প্রয়োজন হয়। ফলে এখন সেই পদে নিজের লোক বসানোর কাজ চলে। আবার যারা দলীয় প্রতীক পান না, তারা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। তাদেরও কেন্দ্র এজেন্ট এবং কর্মীর জন্য তারা যে ইউনিটের নেতা, সেই ইউনিটে নিজের আস্থাভাজন লোককে বসাবেন।

বাংলাদেশের রাজনীতির ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে, ছাত্ররাজনীতির মাধ্যমেই একজন নেতার সৃষ্টি হয়। একসময় ছাত্রনেতারা অনেক ত্যাগ এবং সাধনার মাধ্যমে কর্মী সৃষ্টি করতেন। তারা এই কর্মীদের দলের নীতি ও আদর্শের প্রশিক্ষণ দিয়ে বড় নেতা হিসেবে গড়ে তুলতেন। পরবর্তীকালে এখান থেকেই হতেন জনপ্রতিনিধি।

কিন্তু এই ধারার পরিবর্তন হয়েছে। এখন আর কেউ আদর্শ দেখে এবং নেতাদের মমতাময় আহবানে সাড়া দিয়ে দল করতে আসেন না। এখন যারা দল করতে আসেন, তাদের কাছে ব্যক্তিগত ফায়দা গুরুত্বপূর্ণ। গোষ্ঠী অথবা ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্যই অনেকে এখন রাজনীতিতে আসেন। ফলে রাজনীতির ভিত্তি দিনে দিনে আরও দুর্বল হচ্ছে।

যে যে দলই করুক না কেন রাজনীতি একটি নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়েই করতে হয়। এই নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্যে অবশ্যই করণীয় বিষয় দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলা। দলীয় প্রতীককে সম্মান দেখানো এবং সেই প্রতীকে ভোট দেওয়া এবং ভোট চাওয়া। পাশাপাশি দলের নেতার প্রতি পূর্ণ আনুগত্য থাকা। কিন্তু স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক আসার পর দেখা গেলো নেতাকর্মীরা আর কেউই এই ধারার মধ্যে নেই।

যেকোনো নির্বাচনে একজন নেতা দলীয় মনোনয়ন পান। এক্ষেত্রে ওই নেতাকে যারা পছন্দ করেন না, অথবা তাকে দিয়ে নিজেদের স্বার্থ হানীর আশঙ্কা থাকে, তখন তারা আর দলীয় মনোনয়ন পাওয়া নেতার পাশে থাকেন না। অনেকেই নিষ্ক্রিয় হয়ে যান। অনেকেই আবার দলীয় প্রার্থীকে ফেল করানোর জন্য প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থীকে প্রকাশ্যে অথবা গোপনে সমর্থন করেন। এছাড়াও অনেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে হয়ে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী।

ওই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আবার থাকেন রাজনৈতিক দলের কোনো ইউনিট বা সহযোগী সংগঠনের প্রধান নেতা। তখন ওই বিদ্রোহী প্রার্থীরা তারা যে ইউনিট বা সহযোগী সংগঠনের নেতা, সেখানের নেতাকর্মীদের বাধ্য করেন দলীয় প্রার্থী ছেড়ে তার পক্ষে কাজ করার জন্য। নেতাকর্মীরাও থাকেন মানসিকভাবে দুর্বল। কারণ নেতাকে অনেক অনুনয় করে পদ পেয়েছিলেন তারা! শুধু তা-ই নয়, ভবিষ্যতে আরও বড় পদ পেতে হলে ওই নেতার আর্শীবাদই প্রয়োজন। তাই দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তে দলীয় প্রতীক বাদ দিয়ে ইউনিটের নেতাকে তোষণে ব্যস্থ থাকেন তারা।

এতে রাজনীতির গুণগত মান কতটা নিচে নামছে, তা কী কেউ ভেবে দেখেছেন। এই পদ্ধতিতে দলের চেয়ে ব্যক্তি বড় হয়ে যাচ্ছে কিন্তু। আবার নেতাকর্মীরা যে দল এবং আদর্শ দেখে রাজনীতিতে আসেন না, তারও একটি জ্বলন্ত প্রমাণ এটা। একইসঙ্গে দলীয় প্রতীকের বিরুদ্ধে যাওয়া নেতাকর্মীরা যখন রাজপথে ভোট চান, তখন সাধারণ মানুষ মনে মনে হাসেন। রাজনৈতিক নেতা এবং দলকে তারা খাটো করে দেখার সুযোগ পান।

যদি এখন স্থানীয় সরকার থেকে দলীয় প্রতীক বাদ না দেওয়া যায়, তাহলে ভবিষ্যতে যখন দলের বিভিন্ন কমিটি হবে, তখন নেতারা দলের উন্নতি চিন্তা না করে যোগ্য লোককে পদ না দিয়ে নিজের আজ্ঞাবহ এবং ঘনিষ্ঠদের দিয়ে পদ পূরণ করবেন। এতে করে দুর্বল হবে দল। রাজনীতির গুণগত মান আরও কমবে। পাশাপাশি নব্য ঔপনিবেশিকদের স্বার্থ উদ্ধার হবে। তাই এখনই সময় এ ব্যাপারে যথাযথ সিদ্ধান্ত নেওয়ার। না হলে দেশের রাজনীতি দেউলিয়াপনা হয়ে যাবে।

 

লেখক- শাহ ফখরুজ্জামান
সাংবাদিক ও আইনজীবী

তারিখ : ২৪/০৮/২০২০

]]>
https://jonomoth.com/archives/8740/feed 0 8740
চুনারুঘাটে স্বাস্থ্য খাতে অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান হলেন শামীম https://jonomoth.com/archives/8457 https://jonomoth.com/archives/8457#respond Sun, 12 Jul 2020 13:43:15 +0000 http://jonomoth.com/?p=8457

রায়হান আহমেদ : স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা খাতে বিশেষ অবদান রাখায় শ্রেষ্ঠ ইউপি চেয়ারম্যান
নির্বাচিত হলেন আলহাজ্ব শামসুজ্জামান শামীম।

চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের
মধ্যে তার পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ শ্রেষ্ঠ
ইউনিয়ন নির্বাচিত হয়েছে।

আজ রোববার দুপুরে চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের
সভাকক্ষে সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে বিশ্ব
জনসংখ্যা দিবস অনুষ্ঠানে তাঁকে এ সম্মানে
ভূষিত করা হয়।
এসময় তাঁর হাতে ক্রেস্ট ও সনদ তুলে দেন আয়োজক এবং অতিথিবৃন্দ।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, চুনারুঘাট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিলটন চন্দ্র পাল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিএইচও ডাক্তার মোজাম্মেল হক, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার জান্নাতুল ফেরদাউস সহ অন্যরা।

প্রসঙ্গত, সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আবুল কালামের বড় ছেলে শামসুজ্জামান শামীম। তিনি একাধারে পাইকপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক। তাঁর উপর অর্পিত দায়িত্ব যেন সঠিকভাবে পালন করতে পারেন এজন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া প্রত্যাশী।

]]>
https://jonomoth.com/archives/8457/feed 0 8457
চুনারুঘাটে নামধারী সাংবাদিকদের দৌরাত্ম্যে কুণ্ঠিত মূলধারার সংবাদকর্মীগণ https://jonomoth.com/archives/7733 https://jonomoth.com/archives/7733#respond Tue, 19 Nov 2019 04:50:53 +0000 http://jonomoth.com/?p=7733

চুনারুঘাটের সিনিয়র সাংবাদিকদের প্রতি সচেতন মহলের আহ্বান- এখনই সময়, অপ-সাংবাদিকতা রুখতেই হবে। আপনারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেন…

স্টাফ রিপোর্টার : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে কথিত সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতায় সুশীল সমাজসহ ক্ষীপ্ত সাধারণ মানুষ। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে এসব হলুদ সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা ও অবাধ চলাচলে ক্ষোভ জানিয়েছে উপজেলার কর্মরত মূলধারার সাংবাদকর্মীরা। এ অবস্থায় নিজেকে সাংবাদিক বলে পরিচয় দিতেও বিব্রত বোধ করছেন মূলধারার সাংবাদিকরা। এ উপজেলায় দিনদিন শুধু বেড়েই চলছে এসব অপসাংবাদিকতা ও নামধারী সাংবাদিকের সংখ্যা।

স্থানীয় সংবাদকর্মী, সুশীল সমাজসহ অনেকের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় এবং সরেজমিনে দেখা যায়, চুনারুঘাট ইউএনও অফিস, কৃষি অফিস, শিক্ষা অফিস, সাব রেজিষ্ট্রি অফিস, ভূমি অফিস, বন বিভাগের বিট অফিস, পৌরসভা, সহকারী কমিশনার (ভূমি) অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি ক্লিনিক এবং হসপিটাল, ডায়াগনস্টিক সেন্টার, চুনারুঘাট থানা পুলিশসহ সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অফিসারদের ভয় দেখিয়ে মাসোহারা ভিক্তিক চাঁদাবাজি করছে কথিত সাংবাদিকরা।

এসব সাংবাদিক পরিচয়ধারীদের মধ্যে অনেকের নেই শিক্ষাগত ও সংবাদ লেখার যোগ্যতা। শুধু তাই নয়, ভঁয়াদের মধ্যে বেশ কয়েকজন নিরক্ষর ব্যক্তিও আছেন।

বিনা দাওয়াতে সরকারি-বেসরকারি ও রাজনৈতিক বিভিন্ন সভা সমাবেশে দলবদ্ধভাবে উপস্থিত হয়ে এসব সাংবাদিকদের একের পর এক ক্যামেরার ফ্লাশে বিব্রত সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও রাজনৈতিক নেতাসহ সাধারণ মানুষ।

এসব কথিত সাংবাদিকদের লেখা প্রতিবেদন আদৌ কোন সংবাদপত্র, টিভি চ্যানেল কিংবা অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রকাশিত হয় কী না এমন সন্দেহ রয়েছে সচেতন মহলে। বর্তমান সময়ের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকসহ ইউটুব চ্যানেল খোলে চলছে তথাকথিত নামধারী সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা।

এসব সাংবাদিক নামধারী অপসাংবাদিকদের নিকট পত্রিকা কিংবা টিভি চ্যানেল থেকে সঠিক কোন নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে কিনা তা জানতে চাইলে তারা দেখাতে ব্যর্থ হয়।

উপজেলা প্রশাসনে নেই সাংবাদিকদের সঠিক কোন তালিকা। যার ফলে নিত্যদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত চুনারুঘাট উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি পয়েন্ট, সরকারি দপ্তরগুলো ও থানা পুুলিশের আশপাশে এসব কথিত সাংবাদিকরা একের পর এক রাজত্ব কায়েম করলেও উপজেলা প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা রয়েছে নিরব ভূমিকায়।

এছাড়া গ্রাম থেকে আসা সাধারণ মানুষদের নিজেকে কখনো পুলিশ, কখনো ডিভি পুলিশ কিংবা সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রকাশ্যে চাঁদাবাজি করছে বলে এমন অভিযোগও উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। আর এসব কথিত হলুদ সাংবাদিকদেরকে শেল্টার দিচ্ছে স্থানীয় ও উপজেলা পর্যায়ের বেশ কয়েকজন রাজনীতিবিদ। এ সুযোগে মেতে উঠেছে এক শ্রেণীর কথিত নামধারী সাংবাদিকদের অপসাংবাদিকতা।

দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে এ উপজেলায় নামধারী সাংবাদিকতা। উপজেলায় কথিত সাংবাদিকদের হলুদ সাংবাদিকতায় চরম বিপাকে আছেন অনেক সরকারি কর্মকর্তারা। এসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে মূমূর্ষ রোগীর মৃত্যু হলে নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জিম্মি করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ প্রায়ই শোনা যায়।

অপরদিকে উপজেলা পরিষদ ও ইউএনও অফিসসহ থানার আশপাশে এসব কথিত সাংবাদিকদের দিনভর আড্ডা এবং থানায় সেবা নিতে আসা সাধারণ মানুষদের হাজারো অর্থহীন প্রশ্নে বিব্রত করে ফায়দা লুটেরও অভিযোগ রয়েছে। এ ব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ থেকে কোন তৎপরতা দেখা যাচ্ছে না।

এ ব্যাপারে চুনারুঘাট প্রেসক্লাবের সভাপতি কামরুল ইসলাম, চুনারুঘাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ জামাল হোসেন লিটন, চুনারুঘাট রিপোর্টার ইউনিটির সভাপতি নুরুল আমিন, সাধারন সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, চুনারুঘাট উপজেলা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি খন্দকার আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক রায়হান আহমেদ জানান, হলুদ সাংবাদিকতা এ অঞ্চলের সাংবাদিকতাকে বিতর্কের মধ্যে ফেলে দিয়েছে। এ থেকে পরিত্রানের উপায় খোঁজার এখনই সময়।

]]>
https://jonomoth.com/archives/7733/feed 0 7733
অভিজ্ঞতা ছাড়াই সিটি ব্যাংকে চাকরি https://jonomoth.com/archives/7152 https://jonomoth.com/archives/7152#respond Fri, 19 Apr 2019 10:49:01 +0000 http://jonomoth.com/?p=7152

জনমত নিউজ ডেস্ক : নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে দ্য সিটি ব্যাংক লিমিটেড। ব্যাংকটিতে ‘কালেকশন এক্সিকিউটিভ’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য নারী ও পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারেন।

পদের নাম:
কালেকশন এক্সিকিউটিভ, টেম্পোরারি

যোগ্যতা:
যেকোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে চার বছর মেয়াদি যেকোনো বিষয়ে ন্যূনতম স্নাতক অথবা স্নাতকোত্তর পাস প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন। প্রার্থীর উপস্থাপনায় ও যোগাযোগের ক্ষেত্রে দক্ষতা থাকতে হবে। সঙ্গে মাইক্রোসফট অফিসে কাজের দক্ষতা প্রয়োজন। পদটির জন্য অনূর্ধ্ব ৩০ বছর বয়সী প্রার্থীরাই আবেদন করতে পারবেন।

বেতন :
বেতন ১৫,০০০টাকা।

আবেদনের প্রক্রিয়া :
প্রার্থীদের বিডিজবস অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ :
আবেদন করার শেষ তারিখ ২৩ এপ্রিল, ২০১৯ ইংরেজি।

#বিডিজবস/

]]>
https://jonomoth.com/archives/7152/feed 0 7152
দেশের শিক্ষাব্যবস্থার জন্য সুখবর দিলো বিশ্বব্যাংক https://jonomoth.com/archives/7131 https://jonomoth.com/archives/7131#respond Fri, 19 Apr 2019 07:45:04 +0000 http://jonomoth.com/?p=7131

জনমত রিপোর্ট : বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে আন্তর্জাতিকমানের করে গড়ে তুলতে বিশ্বব্যাংক বড় অঙ্কের অর্থ সহায়তা দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে। এ লক্ষ্যে বিষয়ভিত্তিক পাঠদানে বিদ্যালয়গুলোতে আলাদা শেণিকক্ষ গড়ে তালা হবে। সবচেয়ে বেশি জোর দেয়া হবে প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষায়।

এজন্য সর্বক্ষেত্রে ডিজিটাইজেশন শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার কথা বলছে বিশ্বব্যাংক। বায়োটেকনোলজি ও তথ্যপ্রযুক্তির মতো শিক্ষায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হবে। এছাড়া বাংলাদেশের চলমান প্রকল্পে বিশ্বব্যাংক আগের চেয়ে বেশি অর্থ সহায়তার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

রোহিঙ্গা সঙ্কট উত্তরণেও আর্থিক সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশের পাশে থাকারও ঘোষণা দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। তবে এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে কত অর্থের প্রয়োজন হবে তা চূড়ান্ত করতে শীঘ্রই বৈঠক করবে সংস্থাটি।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানিয়েছেন।

বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, গত ৮ এপ্রিল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংক-আইএমএফের সদর দফতরে সংস্থা দুটির বসন্তকালীন সভা শুরু হয়। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের পক্ষে সংস্থা দুটি বিভিন্ন প্রকল্পে সহায়তা বাড়ানোর কথা জানিয়ে দিয়েছে। তবে সরাসরি অর্থায়নের মাধ্যমে বেশি সহযোগিতা করতে চায় শিক্ষায়।

সংস্থা দুটি বলছে, গত কয়েক দশকে বাংলাদেশে শিক্ষা ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন এসেছে। নারী শিক্ষায় বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল। এছাড়া প্রতিবছর শিক্ষার হার বাড়ছে। তবে এখন ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদের উন্নত বিশ্বের ন্যায় শিক্ষা অর্জন করতে হবে। একজন শিক্ষার্থী বিষয়ভিত্তিক শিক্ষায় নিজেকে গড়ে তুলবে।

এসব বিষয়ে জোর দিয়ে অর্থমন্ত্রীও বিশ্বব্যাংকের কাছে আর্থিক সহায়তা চান। বিশ্বব্যাংক এ ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘বাংলাদেশে এখন অশিক্ষিত মানুষ নেই বললেই চলে। সবাই স্বাক্ষর জ্ঞানসম্পন্ন। তবে এটি শিক্ষার জন্য যথেষ্ট নয়। ছাত্রছাত্রীদের সুশিক্ষায় শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন, যাতে তারা নিজেদের পাশাপাশি রাষ্ট্র ও সমাজের জন্য কিছু করতে পারে। এজন্য প্রযুক্তি, বায়োটেকনোলজি ও কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থায় জোর দেয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে বিশ্বব্যাংক সব ধরনের আর্থিক সহায়তা দিতে রাজি হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘দাতা সংস্থাদের ঋণ পরিশোধে সুনাম অর্জন করেছে বাংলাদেশ। ফলে আগামীতে এসব খাতে আরও সহায়তার বাড়ানোর আশ্বাস দেয়া হয়েছে।’

এদিকে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বৈঠকে গুরুত্ব পায় রোহিঙ্গাদের সমস্যা। সেখানে বলা হয়, রোহিঙ্গাদের সঙ্কট না কাটতেই আগামী বর্ষায় আরও সঙ্কট সৃষ্টি করতে পারে। কারণ পাহাড়ের গায়ে রোহিঙ্গাদের বাসস্থান। বর্ষায় পাহাড় ধসে সঙ্কট আরও বাড়তে পারে। এটিও বড় এই দাতা সংস্থার কাছে তুলে ধরা হয়।

বৈঠক শেষে এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল সাংবাদিকদের জানান, ‘বিশ্বব্যাংকের সিইওর সঙ্গে বৈঠকে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সংস্থাটি তাদের আর্থিক সহায়তা করবে। অতীতের মতোই রোহিঙ্গা ইস্যুতে তারা সহায়তা অব্যাহত রাখবে বলে আশ্বাস দিয়েছে।’

বর্ষার মৌসুমে পাহাড় ধসে রোহিঙ্গাদের ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। এ অবস্থায় তাদের জন্য কোন সহায়তা চাওয়া হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের সার্বিক অবস্থা থেকে বিশ্বব্যাংকের লোকজন সেখানে আছে। পৃথক ডেস্কও আছে বিষয়টি দেখভালের জন্য। আমি বিশ্বাস করি রোহিঙ্গা সঙ্কট হলে বিশ্বব্যাংক তা দেখবে।’

পদ্মা সেতু ছাড়া অন্যান্য বড় প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য অর্থের প্রয়োজন। সেটি তুলে ধরা হয়েছে সম্মেলনে। এছাড়া উন্নয়নের গতি ধরে রাখতে আগামীতে আরও বড় প্রকল্প হাতে নেয়া হবে। সম্মেলনে এমন ধারণা বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দেয়া হয়েছে। তবে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পরিচালিত প্রকল্পগুলো দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করতে বাংলাদেশকে বলা হয়েছে। এ বক্তব্যের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বলা হয়, যথা সময়ে এসব প্রকল্প শেষ করা হবে।

এ প্রসঙ্গে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান অনেক প্রকল্প চলছে। শেষ হওয়ার পথে আছে অনেক প্রকল্প। বড় প্রকল্পও কিছু চলমান রয়েছে। এসব বড় প্রকল্পগুলো শেষ করতে হবে। আর তার করতে দরকার অর্থায়ন। তবে বিশ্বব্যাংক ছাড়া অন্য দাতা সংস্থা যা আমাদের অর্থায়ন করছে তারা অনেক চাপের মুখে আছে। কারণ সারা বিশ্বে অর্থনীতি এখন স্বাভাবিক অবস্থায় নেই। এ দিক থেকে বাংলাদেশ চাপ মুক্ত। কারণ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি সম্পৃক্ততা খুব কম। এরপরও আমরা বেশি অর্থ চেয়েছি। তারা এতে দ্বিমত করেনি। প্রয়োজন অনুযায়ী বিশ্বব্যাংক অর্থেও যোগান দিতে রাজি আছে।’

বড় প্রকল্প বলতে নির্ধারিত কোন প্রকল্পের নাম বলতে পারবেন কি না প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতু ছাড়া অনেক প্রকল্পেই সহায়তা নেয়া হবে এবং আগামীতে অনেক প্রকল্প আসবে সেগুলোতে সহায়তা নেয়া হবে।’

বড় প্রকল্পের কাজ শেষ করতে কি পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হতে পারে এবং এ সংক্রান্ত হিসাব সরকার তৈরি করেছে কিনা জানতে চাইলে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের যত অর্থ লাগবে এটি ঠিক করতে বিশ্বব্যাংক কাজ করছে। বিষয়টি চূড়ান্ত করতে বিশ্বব্যাংক বৈঠক করবে। তবে তারা অনেক সহজ করে দিয়েছে। বিশেষ করে সেসব প্রকল্পের অগ্রগতি কম, সেখানকার অর্থ অন্য প্রকল্পে ব্যবহারের অনুমোদিত দিয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আগে যে সহায়তা পাওয়া গেছে তার চেয়ে বেশি সহায়তা পাওয়া যাবে। কারণ ইতোপূর্বে নেয়া ঋণ সঠিক সময়ে পরিশোধ করা হয়েছে। এ দিক থেকে বাংলাদেশের সুনাম রয়েছে। শিক্ষা খাত সংস্কারে বড় ধরনের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষা খাতে সংস্কারমুখী পদক্ষেপের মধ্যে বর্তমান যে সাধারণ মানের শিক্ষা আছে এর পরিবর্তন করতে হবে। বর্তমান ও আগামীর হাল ধরতে পারবে সে মানের শিক্ষা ব্যবস্থার প্রয়োজন। এজন্য বিষয়ভিত্তিক শ্রেণিকক্ষ সাজাতে হবে। অনেক অর্থেও প্রয়োজন হবে। সংস্কারমুখী পদক্ষেপ না নিলে এগোতে পারব না।’

বর্তমান মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) প্রবৃদ্ধিও হার নিয়ে বিশ্বব্যাংকের সিইও কোন প্রশ্ন করেছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘জিডিপির প্রবৃদ্ধির জন্য যেসব সহায়ক দরকার সেগুলো আমাদের আছে। এগুলোর হাত ধরেই প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হবে। সুতরাং তারা জেনেই প্রবৃদ্ধি অর্জন নিয়ে বিরোধিতা করেনি।’

প্রসঙ্গত, অগ্রাধিকার প্রকল্পগুলোকে ‘ফাস্ট ট্র্যাক’ নাম দেয়া হলেও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচীতে (এডিপি) পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ রাখা হয়নি। ১০ বড় প্রকল্পের মধ্যে সাতটিতে ‘এ’ অর্থবছরের মূল এডিপিতে ২৮ হাজার ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পদ্মা সেতু, মেট্রোরেল ছাড়া বাকি সাত প্রকল্পের কাজ এখন পর্যন্ত এক-তৃতীয়াংশও শেষ হয়নি।

জানা গেছে, আগামী ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে বড় অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন হবে। এবার বেশকিছু নতুন প্রকল্প আসার সম্ভাবনা রয়েছে, বিশেষ করে গ্রাম হবে শহর কর্মসূচী সামনে রেখে বড় বড় কিছু প্রকল্প গ্রহণ করতে যাচ্ছে সরকার। এসব প্রকল্পের মধ্যে রাস্তাঘাট পাকা করা, বিদ্যুত, জ্বালানি, স্যানিটেশন পয়োনিষ্কাশনের মতো প্রকল্প রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নেও বিশ্বব্যাংকের সহায়তা প্রয়োজন বলে মনে করা হচ্ছে।

এম শাহজাহান, ওয়াশিংটন ডিসি।

]]>
https://jonomoth.com/archives/7131/feed 0 7131
বাঙালির প্রাণের উৎসবের দিন আজ পয়লা বৈশাখ https://jonomoth.com/archives/6912 https://jonomoth.com/archives/6912#respond Sun, 14 Apr 2019 05:14:53 +0000 http://jonomoth.com/?p=6912

জনমত নিউজ : “নতুনের কেতন ওরে কাল-বোশেখীর ঝড় / তোরা সব জয়ধ্বনী কর/ ‘পুরাতনকে কাঁপিয়ে এসেছে নতুন, এখন সময় নতুনের, জরা, জীর্ণপাতার মর্মর শব্দ সবটুকু ছুঁড়ে ফেলে নতুনেই মুক্তি।

একটি অসম্ভব সুন্দর আগামীর পথে এগিয়ে চলার প্রত্যয়ে আজ উচ্ছ্বসিত চারদিক।” জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের এই জয়ধ্বনীর মাধ্যমে চৈত্রের রৌদ্র দিনের পরিসমাপ্তি শেষে বাঙালির জীবনে এসেছে এক নতুন দিন, নতুন বারতা।

চৈত্র সংক্রান্তির মাধ্যমে ১৪২৫ সনকে বিদায় জানিয়ে বাংলা বর্ষপঞ্জিতে আজ যুক্ত হলো নতুন বছর ১৪২৬। পুরোনো বছরকে পেছনে ফেলে সম্ভাবনার নতুন বছরে প্রবেশ করেছে বাঙালি জাতি।

রাজধানীর রমনার বটমূলে ছায়ানটে সূর্যকে আহ্বানের মধ্য দিয়ে পয়লা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতে উঠেছে দেশ। রবিবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে রাগ ললিতের মধ্য দিয়ে সূর্যকে আহ্বান জানানো হয়।

বাঙালির প্রত্যাশা নতুন দিনের সূর্য রাঙিয়ে দেবে নতুন স্বপ্ন, প্রত্যাশা আর সম্ভাবনাকে। বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণীতে দেশবাসীসহ বাঙালিদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।

মোঘল সম্রাট আকবরের সময়ে শুরু হয় বাংলা সন গণনা। কৃষিকাজ ও খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য এই কাজ করা হতো। হিজরি চন্দ্রাসন ও বাংলা সৌর সনের ওপর ভিত্তি করে প্রবর্তিত হয় নতুন এই বাংলা সন।

প্রথমদিকে বাংলা সনের পরিচিত ছিল ফসলি সন নামে, পরে ১৫৫৬ সালে তা পরিচিত হয় বঙ্গাব্দ নামে। কৃষিভিত্তিক গ্রামীণ সমাজের সঙ্গে বাংলাবর্ষের ইতিহাস জড়িয়ে থাকলেও এর সঙ্গে রাজনৈতিক ইতিহাসেরও সংযোগ ঘটেছে।

পাকিস্তান শাসনামলে বাঙালি জাতীয়তাবাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের। আর ষাটের দশকের শেষে তা বিশেষ মাত্রা পায় রমনা বটমূলে ছায়ানটের আয়োজনের মাধ্যমে।

দেশ স্বাধীনের পর বাঙালির অসাম্প্রদায়িক চেতনার প্রতীকে পরিণত হয় বাংলা বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। উৎসবের পাশাপাশি স্বৈরাচার-অপশক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদও এসেছে পহেলা বৈশাখের আয়োজনে।

১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের উদ্যোগে বের হয় প্রথম মঙ্গল শোভাযাত্রা। যা ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর ইউনেস্কো এ শোভাযাত্রাকে বিশ্ব সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের মর্যাদা দেয়।

বর্তমান পরিপ্রেক্ষিতে নববর্ষ উদযাপন পরিণত হয়েছে বাংলাদেশের সার্বজনীন উৎসবে। পয়লা বৈশাখের ভোরে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর আয়োজনে মেতে ওঠে সারা দেশ।

কাল বর্ষবরণের এ উৎসব আমেজে মুখরিত থাকবে বাংলার চারদিক। গ্রীষ্মের খরতাপ উপেক্ষা করে বাঙালি মিলিত হবে তার সর্বজনীন এই অসাম্প্রদায়িক উৎসবে।

দেশের পথে-ঘাটে, মাঠে-মেলায়, অনুষ্ঠানে থাকবে কোটি মানুষের প্রাণের চাঞ্চল্য, আর উৎসব মুখরতার বিহ্বলতা।

নববর্ষ উপলক্ষে আজ সরকারি ছুটির দিন। জাতীয় সংবাদপত্রগুলো বাংলা নববর্ষের বিশেষ দিক তুলে ধরে ক্রোড়পত্র বের করেছে। সরকারি ও বেসরকারি টিভি চ্যানেলে নববর্ষকে ঘিরে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানমালা প্রচার করা শুরু করেছে।

বাঙালির প্রাণের উৎসব পয়লা বৈশাখ ১৪২৬ উদযাপন উপলক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ, ইনস্টিটিউট এবং ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান বর্ণাঢ্য কর্মসূচি পালন করেছে। পয়লা বৈশাখের সকাল ৯টায় চারুকলা অনুষদ থেকে বের করা হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা।

বাংলা একাডেমি সকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। দিবসটি উপলক্ষে বইমেলাসহ বৈশাখী মেলার আয়োজন করেছে একাডেমি চত্বরে।

জাতীয় প্রেসক্লাব বর্ষবরণে তাদের সদস্য ও পরিবারবর্গের জন্য সকাল থেকেই খৈ, মুড়ি-মুড়কি, বাতাসা ও বাঙালি খাবারের আয়োজন করেছে।

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিও অনুরূপ আয়োজন করেছে তাদের সদস্য ও পরিবারের সদস্যদের জন্য।

]]>
https://jonomoth.com/archives/6912/feed 0 6912
সমাজে শান্তি আসবে না, সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ না করলে https://jonomoth.com/archives/6904 https://jonomoth.com/archives/6904#respond Sat, 13 Apr 2019 17:38:45 +0000 http://jonomoth.com/?p=6904

জনমত নিউজ : সাধ্যমতো অন্যায়ের প্রতিবাদ করা প্রতিটি মানুষের ঈমানি দায়িত্ব। রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন, ‘তোমাদের মধ্যে যেকোনো অন্যায়কারীকে দমনে সে যেন হাত দিয়ে প্রতিরোধ করে, যদি তা করতে না পারে তবে সে যেন মুখ দিয়ে প্রতিহত করে।

যদি সে মুখ দিয়েও না পারে তাহলে যেন অন্তর দিয়ে ঘৃণা পোষণ করে; আর এটাই দুর্বল ঈমানের পরিচয়।’ (বুখারি)

সময়মতো যদি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা না হয়, তাহলে এর ফল গোটা জাতিকে ভোগ করতে হয়। তাই সমাজে কোনো অন্যায়-অনাচার দেখা দিলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করা আবশ্যক।

কিন্তু আমাদের সমাজে এখন আর অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে অনেকে আগ্রহ দেখায় না। চোখের সামনে ঘটে যাওয়া হাজারো অন্যায়কে ঠাণ্ডা মাথায় এড়িয়ে চলে।

অন্যায়ের প্রতিবাদকে তারা অযথা ঝামেলায় জড়ানোই মনে করে। এতে মানুষ নিজেদের অজান্তেই গোটা জাতির ওপর আরো বড় বিপদ ডেকে আনে।

রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘মানুষ যখন কোনো অত্যাচারীকে দেখেও অন্যায় থেকে তার হাতকে প্রতিরোধ করবে না, শিগগিরই আল্লাহ তাদের সবার ওপর ব্যাপক আজাব নাজিল করবেন।’ (তিরমিজি ও আবু দাউদ)

সমাজ থেকে অপরাধ নির্মূল করতে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করার কোনো বিকল্প নেই। একটা সমাজে অপরাধ তখনই বেড়ে যায়, যখন অপরাধী বারবার অপরাধ করে পার পেয়ে যায়।

তাই মহান আল্লাহ সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতি অধিক গুরুত্ব দিয়েছেন। পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ! ন্যায়বিচারে তোমরা অটল থেকো, আল্লাহর পক্ষে সাক্ষ্য প্রদানকারীরূপে যদিও নিজেদের প্রতিকূলে যায় অথবা পিতা-মাতা ও নিকটাত্মীয়দের, সে ধনী বা গরিব হোক, আল্লাহই উভয়ের জন্য উত্তম অভিভাবক। সুতরাং তোমরা ন্যায়বিচার করতে নিজ নিজ খেয়ালখুশির (পক্ষপাতিত্বের) বশীভূত হয়ো না।’ (সুরা আন-নিসা, আয়াত : ১৩৫)

এই আয়াতে মহান আল্লাহ তাআলা তাঁর প্রিয় বান্দাদের বিচারের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের আত্মীয়তা, ধন-সম্পদ কিংবা ব্যক্তিগত স্বার্থের প্রভাব থেকে মুক্ত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন।

পাশাপাশি মানুষকে সৎকাজে আদেশ করার প্রতিও গুরুত্ব দিয়েছেন। মহান আল্লাহ ইরশাদ করেন, ‘তোমরা শ্রেষ্ঠ উম্মত, মানবজাতির কল্যাণে তোমাদের আবির্ভাব হয়েছে। তোমাদের দায়িত্ব হচ্ছে তোমরা সৎকাজের আদেশ করবে এবং নিষেধ করবে মন্দ কাজ থেকে।’ (সুরা আলে ইমরান, আয়াত : ১১০)

সত্যি কথা হলো, যত দিন আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দেওয়া নির্দেশনার বাস্তবায়ন হবে না, তত দিন পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন সুদূরপরাহত।

#কে.কে/

]]>
https://jonomoth.com/archives/6904/feed 0 6904