স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে পূর্ব বিরোধের জের ধরে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে নির্যাতন করে উল্টো মামলা দিয়ে নির্যাতিতার পরিবারকে হয়রানি করার ঘটনা ঘটেছে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে প্রতিবাদ সভা করেছেন এলাকাবাসী।
জানা যায়, গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে চুনারুঘাট উপজেলার উবাহাটা ইউনিয়নের তাউশী গ্রামের মোহাম্মদ আলী হোসেনের জমিতে রোপনকৃত ৭/৮টি কাঠের গাছ একই গ্রামের মোবারক হোসেনের পুত্র খেলু মিয়া (৩৮), মনির হোসেনের ছেলে শরীয়ত উল্লাহ (৩৪) সহ বেশ কয়েকজন কেটে ফেলেন। এতে আলী হোসেন ও তার পরিবারের সদস্যরা প্রতিবাদ করলে তাদের উপর দেশীয় অস্ত্র-সস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় খেলু মিয়ারা। এসময় আলী হোসেনের মেয়ে কলেজ ছাত্রী সুজিনা আক্তার (২৭)কে বেধড়ক মারপিট করে। এমনকি শ্লীলতাহানির চেষ্টাও করে খেলু বাহিনী। পরে সুজিনাকে উদ্ধার করে হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
পরে সুজিনা বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় মামলা করেন। ২৬ এপ্রিল ওই মামলা রুজু করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ আসামি খেলু মিয়াদের গ্রেফতার করতে অভিযান চালায়। এরপরই মামলাবাজ খেলু বাহিনী তার উপর হামলা হয়েছে এমন নাটক সাজিয়ে হবিগঞ্জ বিজ্ঞ আদালতে মামলা করেন। কিন্তু এমন ঘটনা খেলু বাহিনীর আশ-পাশের মানুষ ও এলাকাবাসী কিছুই জানেন না। খেলু বাহিনীর এহেন কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করে এলাকাবাসী বৃহস্পতিবার (৪ মে) বিকেলে তাউশী গ্রামে প্রতিবাদ সভা করে। সভায় বক্তব্য রাখেন- ওই গ্রামের আঃ রাজ্জাক মাস্টার, মোঃ বাবুল মিয়া, মোঃ কাঞ্চন মিয়া, মোঃ ফরুক মিয়া, মোঃ সিদ্দীক মিয়া, মোঃ মকসুদ মিয়া, আঃ ওয়াহেদ, মোঃ আবুবকর, মোঃ তাজুল ইসলাম, মোঃ রফিক মিয়া প্রমুখ।
এ ব্যাপারে উক্ত ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল হামিদ নিলু মিয়া জানান, কলেজ ছাত্রীকে মারধোর করেছে খেলুরা, এই বিষয়টি জানি। কিন্তু পরে খেলুর উপর হামলা হয়েছে, এটি আমার জানা নেই। শুধু আমি না, এলাকাবাসী কেউই জানেন না। শাক দিয়ে মাছ ঢাকতেই মূলত মামলা সাজিয়েছে খেলু মিয়া। সে চেয়ারম্যান-মেম্বার ও এলাকার মুরব্বিদের মানে না।