নুর উদ্দিন সুমন : চুনারুঘাট পৌর শহরে আশ্রয়ণ কেন্দ্রে দরিদ্র পরিবারের এক কিশোরীকে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে ধর্ষণ করেছে বিয়ে কামলা লম্পট ২ সন্তানের জনক। কিশোরী হাজী ইয়াছিন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেনির ছাত্রী। এঘটনায় ধর্ষক লম্পট ঘরে থালা লাগিয়ে পালিয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে একাধিকবার। কিশোরীর বাবা দিনমুজুর মোঃ মুছা মিয়া জানান বিগত ৩ মে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে বোরু ফসল ওঠানো শ্রমিক হিসেবে কিশোরগঞ্জ মিঠাবন যান। পড়া-লেখার দিক চিন্তা করে মেয়েটিকে পাশের ঘরের ধর্ষকের স্ত্রী মাফিয়া ও বোন অাফিয়ার কাছে রেখে যান। এ সুযোগে মৃত সিরু মিয়ার ছেলে উজ্জল মিয়া (৩৫) ঘরের দরজা পাকা করে ঢুকে। কিশোরী (১২) কে একা পেয়ে জুসের সাথে ঘুমের ঔষধ মিশিয়ে খাইয়ে অচেতন করে তাকে ধর্ষণ করে।
রাত পোহালে কিশোরী ধর্ষকের স্ত্রী মাফিয়াকে অবগত করে। এসময় বিষয়টি কাউকে না বলতে ধর্ষকের স্ত্রী মানা করে। কিছুদিন পর কিশোরীর বাবা বাড়ি এসে তার কন্যাকে অচেতন ও রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় আপোষে নিষ্পত্তির জন্য স্থানীয় মুরুব্বিয়ানরা চেষ্টা করেন এজন্য মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হয়।
মেয়েটি জানায়, তাকে জুস খেতে দিয়েছিল উজ্জল। তারপর সে আর কিছু বলতে পারে না। এঘটনায় বিষয়টি জানাজানি হলে এলাকায় আলোচনার ঝড় ওঠে। এদিকে খবর পেয়ে চুনারুঘাট ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন এর কর্মসূচির অফিসার অল্লিকা দাস ঘটনার স্থলে গিয়ে চিকিৎসা সহায়তা এবং আইনি সহযোগীতার পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, মেয়ের সাথে কথা বলেছি মেয়ের অবস্থা আশংকাজনক। এ ঘটনায় চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ কে,এম আজমিরুজ্জামান জানান, ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পেয়েছি। ভিকটিমের পিতা থানায় হাজির হয়ে ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন। আসামী ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ১৭ মে বৃহস্পতিবার ভিকটিমের ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হবে।