এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে- ইউএনও সত্যজিত রায় দাশ
রায়হান আহমেদ : চুনারুঘাটে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তির টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে চুনারুঘাট উপজেলার হরিণমারা ত্রিপুরা পল্লীর হেমেন্দ্র দেববর্মাসহ ১০ জনের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর দেয়া হয়েছে।
জানা যায়- হবিগঞ্জের চুনারুঘাট হরিণমারা ত্রিপুরা পল্লী ও কালিকাপুর হাইস্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী সীতা রাণী দেববর্মা জানায়- ওই গ্রামের লিটন মিয়া ও নাসিমাবাদ চা-বাগানের পলাশ হাজং তাদের পল্লীর অনেক ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে উপবৃত্তির টাকার কমিশন হিসেবে ৫০০ থেকে ১০০০ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমন অভিযোগ করেছেন অনেক ছাত্র-ছাত্রীও।
শিক্ষা উপবৃত্তি, বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, প্রতিবন্ধী ও মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ সরকারের বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার নাম করে অনেকের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নেয়ারও অভিযোগ উঠেছে তাদের বিরুদ্ধে। সুবিধা বঞ্চিতরা টাকা ফেরত চাইলে লিটন ও পলাশ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখায়। এমতাবস্থায় তারা ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ করেন।
উপজেলার কালেঙ্গা মঙ্গইলাবাড়ীর আনজু দেববর্মা জানান- “মঙ্গইলাবাড়ীর আদিবাসীদের নিয়ে পলাশ হাজং একটি আদিবাসী সমিতি করে। বাংলাদেশ সরকার আদিবাসী সমিতির সদস্যদের নামে অটোরিকশা (সিএনজি), পাওয়ারটিলার, সৌর বিদ্যুৎসহ সরকারি অন্যান্য অনুদান দেন। পলাশ হাজং সঞ্চয়ী টাকাসহ সমিতির সমুদয় টাকা আত্মসাৎ করে।”
এনিয়ে কথা বললে লিটন ও পলাশ অভিযোগ অস্বীকার করেন।
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সত্যজিত রায় দাশ বলেন- “এ বিষয়ে একটি অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ পাওয়ার পরপরই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আশা করি- শীঘ্রই তদন্ত সাপেক্ষে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।”