রায়হান আহমেদ : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে অর্ধগলা কাটা শিশু স্বপন মিয়া হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ডাক্তার বলেছেন, স্বপন মিয়া সুস্থ হতে অনেক সময় লাগবে। এ যাত্রায় সে প্রাণে বাঁচলেও জীবন-যাপন করতে খুব কষ্টকর হবে। কৃত্রিম নল দিয়ে খাওয়া-দাওয়া করতে হবে তাকে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ডিসিপি হাই স্কুল মাঠের জঙ্গলে স্বপন মিয়া (১০) নামের এক শিশুকে গত সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করে শান্ত (১৯) নামে এক যুবক। মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের কবির মিয়ার পুত্র আহত স্বপনের জবানবন্দিতে কয়েক ঘন্টার মধ্যে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কি কারণে শিশু স্বপনকে হত্যা করতে চেয়েছিল শান্ত, তা অনুসন্ধানে বেরিয়ে এসেছে। গোয়েন্দা পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, আহত স্বপন মিয়ার নানা নুর আলীর সাথে আসামি শান্তর মায়ের বিয়ে হয়েছিল। এরপর স্বামী-স্ত্রী উভয়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। এরপর নুর আলী অন্য একজন মহিলাকে বিয়ে করে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে থাকে। নুর আলীর সেই সংসারে জন্ম নেয় ভিকটিম স্বপন মিয়ার মা।
অপর দিকে আসামি শান্তর মা মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়ান গ্রামের চাঁন মিয়াকে বিয়ে করেন এবং চুনারুঘাট পৌর এলাকায় যাযাবরের মতো বসবাস করতে থাকে। কিছুদিন পরে আসামির বাবা চাঁন মিয়া পরিবারের সবাইকে ফেলে বি-বাড়িয়া জেলায় চলে যায়। ফলে মা, ভাই-বোন নিয়ে অনেক কষ্টে দিন-যাপন করে শান্তরা।
আর এ কষ্ট-দুর্দশা থেকে নুর আলীর পরিবারের লোকজনের উপর ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এরপর থেকে তাদের ক্ষতি করার সুযোগ খুঁজতে থাকে সে। গত সোমবার সকালে সুযোগ পেয়ে নুর আলীর নাতি স্বপন মিয়াকে হত্যা করতে তার গলায় ছুরি চালায়।
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাশেদুল হক জানান, এ ঘটনায় অভিযুক্ত শান্তকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার (২৮ মার্চ) আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।