‘সুমন একটা সন্ত্রাসী, তাকে এখনই রুখতে হবে’ – টমটমের সভাপতি
স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে প্রতিনিয়ত মহিলাসহ যাত্রীদের হয়রানি করে আসছে টমটমের সিরিয়ালম্যান সুমন এমন অভিযোগ উঠেছে। চলন্ত টমটমের গতিরোধ করে যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে অসুস্থ মহিলাসহ যাত্রীদের চরম ভোগান্তিতে ফেলছে সে।
চুনারুঘাট পৌর শহরের উত্তর বাজারে অবস্থিত টমটমের স্ট্যান্ড। যানজট নিরসনের লক্ষে পৌর শহরের মধ্য বাজার থেকে পূর্বের স্ট্যান্ডটি সরিয়ে উত্তর বাজারে স্থানান্তর করা হয়। কিন্তু মধ্য বাজার থেকে শুরু করে পৌর শহরের প্রায় জায়গায়ই টমটমের জটলা থাকার কারণে একদিকে যানজট কমছে না, অন্যদিকে উত্তর বাজারের স্ট্যান্ডের সিরিয়ালম্যান সুমনের দ্বারা প্রতিনিয়ত হয়রানি হচ্ছেন অসুস্থ মহিলাসহ সাধারণ যাত্রীরা। জনৈক মহিলাদের কাছ থেকে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। এমন চিত্র চুনারুঘাটের সিএনজির ক্ষেত্রেও প্রতিয়মান।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- পীরের বাজার, নোমান নগর, শ্রীকুটার উদ্দেশ্যে উপজেলা পরিষদ কিংবা মধ্য বাজার থেকে ছেড়ে আসা টমটমকে আটকায় সুমন। মোটা-সুটা দেহের অধিকারী সুমনের হাতে সর্বদাই থাকে লাঠি। ওই লাঠি দিয়ে টমটমগুলোর বডিতে সজোড়ে বারি দিয়ে টমটম আটকিয়ে যাত্রীদের নামিয়ে দেয় সে। তার যুক্তি হলো- সিরিয়ালের টমটম ছাড়া কেউ যেতে পারবে না। হোক সে মহিলা, হোক সে অসুস্থ। মানবতা তার কাছে যেন তুচ্ছ। অসুস্থ ব্যক্তি বা মহিলাদেরও সে ছাড় দেয় না। গাড়ি থেকে নামাতে সে বাধ্য করে। না নামলে অকথ্য ভাষাও ব্যবহার করে সুমন। তবে ওই টমটম ড্রাইভার যদি বেপরোয়া সুমনের পকেটে কিছু ভরে দেয় তাহলেই একমাত্র ছাড় পাওয়া যায়।
এব্যাপারে চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, “এমন অমানবিক কাজ সত্যিই দুঃখজনক। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শিঘ্রই তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
টমটমের সভাপতি কাউন্সিলর মর্তুজ আলী সরদার জানান, “সুমন একটা সন্ত্রাসী। সে কতিপয় দুষ্কৃতকারীর ছত্রছায়ায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। সে আমাদের নিয়োগকৃত সিরিয়ালম্যান না। তার বিরুদ্ধে আমি ইউএনও সাহেবের কাছে নালিশ করেছি। কয়েকদিন আগে সে একটা ছোট বাচ্চাকে মারধোর করেছে। সন্ত্রাসী সুমনকে এখনই রুখতে হবে। আমি প্রশাসনের সহযোগীতা চাই।”
চুনারুঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আশরাফ বলেন, “খোঁজ নিয়ে আগামীকালই সুমনের বিরুদ্ধে আমরা এ্যাকশনে যাব।”