* চশমা মার্কায় নির্বাচন করছেন এক চা-শ্রমিক নেতা
* বিজয়ী হতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে চা-শ্রমিকদের ভোট
রায়হান আহমেদ : পঞ্চম ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চুনারুঘাট উপজেলার ২নং আহম্মদাবাদ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী সাত জন। এ ইউনিয়নে মোট আট জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন দাখিল করেছিলেন। শেষ মুহূর্তে কে.এম আনোয়ার হোসেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন।
সাত জন প্রার্থী হলেন- আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হাজী মোঃ আব্দুল লতিফ (আনারস), মোঃ জাকির হোসেন পলাশ (ঘোড়া), লিটন জমাদার (ঢোল), যুবরাজ ঝরা (চশমা), মোঃ শামছুল আলম (অটোরিক্সা) ও বেলায়েত আলী রূপক (মোটরসাইকেল)। ৩ জন প্রার্থীর মাঝে লড়াই হবে বলে ধারণা করছেন ভোটাররা।
আবেদ হাসনাত চৌধুরী সনজু ২নং আহম্মাদাবাদ ইউনিয়নের নৌকা মার্কায় নির্বাচিত বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি একাধারে উপজেলা সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য। দলীয় কর্মকাণ্ডে সর্বদাই তিনি একটিভ। সবদিক বিবেচনা করে এবারের ইউনিয়ন নির্বাচনে আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনয়ন দিয়েছেন দলটির হাইকমান্ড।
হাজী মোঃ আব্দুল লতিফ আহম্মদাবাদ ইউনিয়নের তিন বারের চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতির দায়িত্বে আছেন। বিচার-আচারে দক্ষতার কারণে তিনি জনপ্রিয়। ভোটের মাঠে নৌকা ও ঘোড়া প্রতিকের প্রার্থীর চিন্তার কারণ হয়ে উঠতে পারেন তিনি।
মোঃ জাকির হোসেন পলাশ পরিচ্ছন্ন সমাজসেবক হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। চা-শ্রমিকদের কাছে তিনি বেশ জনপ্রিয় বলে জানা গেছে। ঘোড়া প্রতিক নিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি নির্বাচনের মাঠে নেমেছেন।
জানা যায়- সনজু চৌধুরী পরপর দুই বারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান। এ ইউনিয়নে তিনি বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ২০০কোটি টাকার উন্নয়ন করেছেন। শিক্ষাখাতে, খেলাধুলা, রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কর্মকান্ড তাঁর সময়কালে হয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার ও বিমান প্রতিমন্ত্রী এডভোকেট মাহবুব আলীর সহায়তায় এসব উন্নয়ন করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। বিজয়ী হলে জনগণের খেদমত ও ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন করবেন তিনি। তিন-তিনবারের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ আব্দুল লতিফ বয়োজ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ হিসেবে খ্যাত। বিজয়ী হলে মানুষের কল্যাণে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
সমাজসেবক মোঃ জাকির হোসেন পলাশ দীর্ঘদিন যাবত সুখে-দুঃখে ইউনিয়নবাসীর পাশে রয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, বিজয়ী হলে আহম্মদাবাদকে একটি আধুনিক ইউনিয়ন হিসেবে গড়ে তুলবেন।
এদিকে চশমা মার্কায় নির্বাচন করবেন চা-শ্রমিক নেতা যুবরাজ ঝরা। একাধারে চা-শ্রমিকদের ভোট যদি তিনি পান, তবে অনেকটাই এগিয়ে যাবেন। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য শামছুল আলম অটোরিক্সা প্রতিক নিয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয়।
সর্বোপরি সৎ, বিচক্ষণ ও যোগ্য ব্যক্তিকে নির্বাচিত করতে মরিয়া ভোটাররা।