1. info@jonomoth.com : admi2017 : জনমত নিউজ
  2. jonomoth24@gmail.com : Jonomoth .com : Jonomoth News .com
  3. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser

দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসবে কে! নৌকা, ঘোড়া, নাকি আনারস!

নির্বাচনী হালচাল : চুনারুঘাটের ৬নং সদর ইউনিয়ন

রায়হান আহমেদ : পঞ্চম ধাপে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে চুনারুঘাট উপজেলার ৬নং সদর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী পাঁচজন। এ ইউনিয়নে দক্ষিণাঞ্চল ও উত্তরাঞ্চলের লড়াইয়ে শেষ হাসিটা হাসবে কে! নৌকা, ঘোড়া, নাকি আনারস! এটাই এখন ইউনিয়নের অলিগলিতে কানাঘুষা চলছে।

অনেকে বলছেন, এ ইউনিয়নে দ্বিমুখী আবার অনেকেই ধারণা করছেন, ত্রিমুখী লড়াই হবে। ভোটের মাঠে আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট শাহ কুতুব উদ্দিন (নৌকা) এর সাথে স্বতন্ত্র প্রার্থী কাউছার আহমেদ বাহার (ঘোড়া) এবং আনারস প্রতিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নোমান, মূলত এ তিনজনের টক্কর হবে ৫ তারিখের ৬নং সদর ইউপি নির্বাচনে। তবে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফারুক চৌধুরী চশমা প্রতিক নিয়ে ভোটের মাঠে কাজ করছেন রাত-দিন। মোটরসাইকেল প্রতিক নিয়ে আছেন আব্দুর রউফও।

এডভোকেট শাহ কুতুব উদ্দিন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি। আইন পেশার পাশাপাশি ৬নং সদর ইউনিয়নে নির্বাচন করবেন, এটা তার বহুদিনের ইচ্ছা। কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছেন নিরলসভাবে। সবদিক বিবেচনা করে আওয়ামী লীগের হাইকমান্ড তাকে দলীয় প্রতীক নৌকায় মনোনীত করেছেন। তিনি নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন, সুবিচার নিশ্চিত করা সহ শিক্ষাখাতে জোর দিবেন বলে জানিয়েছেন।

কাউছার আহমেদ বাহার এ ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান। তিনি সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মরহুম হাবিবুল্লাহ বাহারের ছেলে। ২০০৯ সাল থেকে তিনি সমাজের মানুষের তরে কাজ করে আসছেন। তিনি উপ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে বিগত দুই বছর সদর ইউনিয়নের দায়িত্বে ছিলেন। দায়িত্বকালে তিনি ৭১টি ইট সলিং রাস্তা, ৮টি মসজিদে, ৩মাদ্রাসায়, ৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুদান দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি রাস্তা-ঘাট সংস্কার, শিক্ষাখাতে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে অনুদান দিয়েছেন। ইউনিয়নবাসীর সুখে-দুঃখে তিনি পাশে রয়েছেন ছায়ার মতো। তিনি নির্বাচিত হলে ইউনিয়নের উন্নয়ন, মানুষের নিরাপত্তা ও সম্মানিত মানুষকে সম্মান দেয়া, সুবিচার করা, সকলের বিপদে এগিয়ে আসার কথা জানিয়েছেন।

মাহবুবুর রহমান চৌধুরী নোমান হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। তিনি বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে আনারস প্রতিকে ৬নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করবেন। ১৯৮৭ সাল থেকে তিনি রাজনীতির মাঠে রয়েছেন। এবার নিয়ে তিনি চারবার ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। সফলতার মুখ একবারও দেখেননি। তবে এবার উত্তরাঞ্চলে তিনি একক প্রার্থী হওয়ায় আর দক্ষিণাঞ্চলে ৪জন প্রার্থী থাকায় এবার আশাবাদী তিনি নির্বাচিত হবেন। নির্বাচিত হলে তিনি ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন করবেন বলে জানিয়েছেন।

ফারুক চৌধুরী একজন সমাজসেবক। তিনি আসাদ গাজী ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপক। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশে ৬নং সদর ইউনিয়নের প্রথম চেয়ারম্যান আবুল হোসেন নোমান চৌধুরীর ভাতিজা। তিনি জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে চাচার আদর্শকে বুকে লালন করে এ অবহেলিত ইউনিয়নকে ঢেলে সাজাবেন। ইউনিয়নের উন্নয়ন ও মানুষের অধিকার আদায়ে তিনি সোচ্চার থাকবেন।

জানা যায়- ৬নং সদর ইউনিয়নে পাঁচজন প্রার্থীই ভোটের মাঠে রয়েছেন। এদিকে ভোটাররা খোঁজছেন আস্তা, ভরসা ও উন্নয়ন করতে পারবে এমন প্রার্থী। প্রার্থীরা জানিয়েছেন, নির্বাচিত হলে জনগণের কল্যাণ ও ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন করবেন তারা।

     এই ক্যাটাগরীর আরো খবর