জনমত ডেস্ক : একেই তো বলে ‘শেষ ভালো যার সব ভালো তার’। মনীশ মালহোত্রার জমকালো পরিবেশনার মধ্য দিয়ে ইতি টানা হলো ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের এবারের মৌসুমের। সেখানেই বসেছিল তারার হাট। অর্ধেক বলিউড এসে ভিড় জমিয়েছিল রানওয়ের ধারে। তরুণ প্রজন্মের বলিউড তারকাদের পাশাপাশি গুণী শাবানা আজমি, শ্রীদেবী, কারিশমা কাপুর আর মনীশের কাছের বন্ধু করণ জোহরও গতকাল রোববার রাতে হাজির হন মুম্বাইয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে ল্যাকমে ফ্যাশন উইকের সমাপনী আয়োজনে।
সময় রাত সাড়ে নয়টার দেওয়া হলেও গতকাল রাতে রেড কার্পেট আর ‘আফটার-শো পার্টি’ শেষ করে সমাপনী অনুষ্ঠান শুরু হয় রাত সাড়ে ১০টায়। এ রাতে বলিউডে তরুণ প্রজন্মের বেশির ভাগ তারকাকেই পাওয়া গেছে দর্শকসারিতে। টাইগার শ্রফ, সুরজ পাঞ্চোলি, নিধি আগারওয়াল, দিশা পাটানি, রিচা চাড্ডা দর্শকসারিতে বসে হয়েছেন খবরের শিরোনাম। অন্যদিক খানিক ‘সিনিয়র’ দিয়া মির্জা, সোনালি বেন্দ্রে, অমৃতা অরোরা সিংও নতুনদের চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন না কোনো অংশে।
তবে এ আসরে বারবার ঘুরেফিরে নজরে পড়েছে বলিউডের হবু দুই তারকার উপস্থিতি। একজন হলেন শ্রীদেবী ও বনি কাপুর-কন্যা জাহ্নবী কাপুর, অন্যজন শাহরুখ-পুত্র আরিয়ান খান। শাহরুখের ঘনিষ্ঠ বন্ধু মনীশের শোয়ে আরিয়ানের উপস্থিতি অনেকটা কাম্য হলেও রাজকন্যা সাজে জাহ্নবীর সরব উপস্থিতি এ সময়ের অভিনেত্রীদের মুখ করে দিয়েছিল ফ্যাকাশে।
র্যাম্পে মনীশ মালহোত্রা এবার নিয়ে এসেছেন তাঁর ককটেল কালেকশন। এগুলো মূলত পশ্চিমা ধাঁচের পোশাক। ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্যই ছিল মনীশের সংগ্রহে সমান গুরুত্ব। র্যাম্পে শোস্টপার হিসেবে অভিনেত্রী জ্যাকুলিন ফার্নান্দেজ ও আদিত্য রয় কাপুরের সমানে সমান এগিয়ে চলা দেখে নিশ্চিত হওয়া গেছে গুরুত্বের সমবণ্টনের বিষয়টি!
বরাবরই বলিউডের প্রথম সারির তারকা শাহরুখ, সালমান, ঐশ্বরিয়াকে শোস্টপার হিসেবে র্যাম্পে হাঁটানো মনীশ এবার কেন বেছে নিলেন জ্যাকুলিন ও আদিত্যকে? অনুষ্ঠান-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে প্রথম আলো এই প্রশ্ন রেখেছিল মনীশের সামনে। জবাবে বলিউডের প্রিয় এই ডিজাইনার প্রথম আলোকে বলেন, ‘যখনই ককটেল পার্টির পোশাক নিয়ে কাজের প্রস্তাব পাই, তখনই মনে হয়েছিল, শোস্টপার হিসেবে একটা প্রাণবন্ত, আত্মবিশ্বাসী আর আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব চাই। তখন জ্যাকুলিনের কথাই সবার আগে মনে পড়েছে। আর ছেলেদের ককটেল ড্রেসের জন্য মাথায় ছিল কে ভালো ভেলভেটের কাপড়ের স্যুট, ফুলেল নকশা আর পৌরুষের প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে। অবশ্যই সুদর্শন আদিত্য। তাই এই কালেকশনের জন্য এ দুজন ছাড়া আর কোনো বিকল্প ছিল না।’