“চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে”- রেঞ্জ কর্মকর্তা
রায়হান আহমেদ : চুনারুঘাট উপজেলা রেমা-কালেঙ্গা, সাতছড়ি-রঘুনন্দন পাহাড় বেষ্টিত বনাঞ্চল এলাকা। চির সবুজ কালেঙ্গা বনে বেশ কিছুদিন ধরে অবাধে চলছে পাহাড়ী গাছ কাটা। মানুষের নজর এড়াতে তড়িঘড়ি করে একটি কুচক্রী মহল করাত কলে নিয়ে গিয়ে গাছগুলো কাঠে রূপান্তর করছে।
সরেজমিনে কালেঙ্গা বনাঞ্চলের গিয়ে দেখা যায়- বহু সেগুন ও বিভিন্ন প্রজাতির গাছের মোতা। অথচ এসব গাছ কাটার ছিল না কোনো অনুমোদন। বনাঞ্চলের গাছ কেটে বিশ্বজলবায়ু চ্যালেঞ্জকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখাচ্ছে একটি প্রভাবশালী মহল। কালেঙ্গা বন কতৃপক্ষের নীরবতায় হতাশ উপজেলাবাসী।
এদিকে চুনারুঘাট বন কর্মকর্তাদের মাঝে মধ্যে ছোটখাটো কিছু অভিযান দেখা গেলেও বন্ধ করতে পারেননি প্রভাবশালীদের গাছ কাটা।
গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান। এই বাক্যটি যে এখানে তার নিজস্বতা হারিয়েছে। উল্টো গাছ কেটে বন উজাড় করতে উঠে পড়ে লেগেছে একদল দুষ্কৃতকারী। আর বন কর্মকর্তাদের চোখে আঙ্গুল দিয়ে অনুমোদন ছাড়াই অবাধে গাছ কেটে নিয়ে বনাঞ্চল ধ্বংস করেছে তারা। যেখানে সরকার বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে কোটি কোটি টাকা ব্যায় করছে, সেখানে চোরাকারবারিদের এমন আচরণ হতাশাজনক। এজন্য বন বিভাগকে বিষয়টি কঠোরভাবে দমন করার পরিকল্পনা করতে হবে।
বনাঞ্চল রক্ষা করতে একটি কমিটি থাকলেও গাছ কাটার ব্যাপারে দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
হবিগঞ্জ জেলা বন সংরক্ষণ কর্মকর্তা মারুফ এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “বনের ভেতরে গাছ কাটার কথা নয়। চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলছে। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে।”
চুনারুঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিদ্ধার্থ ভৌমিক বলেন, “বনের ভেতর থেকে গাছ কাটলে, তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।”
কালেঙ্গার রেঞ্জ কর্মকর্তা খলিল রহমান জানান, তারা চোরাকারবারিদের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন তারা। প্রায় প্রতিদিনই অভিযান চালিয়েছেন। তবে বর্তমানে কোনো ধরণের গাছ কাটা হচ্ছে না।