আজিজুল হক নাসির, চুনারুঘাট (হবিগঞ্জ) : পুলিশে কর্মরত স্বামী ও কর্মরত অপর এক নারী পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন স্ত্রী।
৮ মার্চ মঙ্গলবারে হবিগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলাটি দায়ের করেন শারমিন আক্তার নামের এক মহিলা। মামলায় শারমিন আক্তার তার স্বামী পুলিশ সদস্য শিবলু মিয়া (২৮) ও নারায়নগঞ্জ পুলিশ লাইনে কর্মরত নারী পুলিশ সদস্য তানজিনা আক্তার জেমি (২৪)কে আসামি করেছেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি তদন্তের জন্য চুনারুঘাট থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়- চুনারুঘাট উপজেলার বড়জুম গ্রামের আঃ মালেকের কন্যা শারমিন আক্তারের সাথে দুধপাতিল গ্রামের মৃত রমিজ উল্লাহর পুত্র পুলিশ সদস্য শিবলু মিয়ার সাথে ২০১৭ সালের ২৪ জুলাই ৪ লাখ টাকা কাবিনে বিয়ে হয়। সংসারে লুৎফুর নাহার তানহা নামের ২ বছরের ১ কন্যা সন্তান রয়েছে।
বিয়ের পর থেকেই তার স্বামী ৩ লাখ টাকা যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকে। এক সময় শারমিন ১লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা দামের মোটরসাইকেল যৌতুক হিসাবে প্রদান করেন। তাতেও ক্ষান্ত হননি তার স্বামী শিবলু।
আবারও ৩ লক্ষ টাকা যৌতুকের দাবি মেটাতে না পারলে তানজিনাকে বিয়ে করার হুমকি দেন তিনি।
শারমিন এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (সিলেট) এর কাছে অভিযোগ দায়ের করলে বিষয়টি এক পর্যায়ে আপোষে নিষ্পত্তি হয়। পরবর্তীতে কৌশলে চুনারুঘাটের একটি ক্লিনিকে শারমিনের গর্ভপাত ঘটানো হয়।
স্বামীর মন রক্ষার্থে বিষয়টি মেনে নিয়ে ঘর সংসার করতে থাকেন শারমিন।
গত ১২ ফেব্রুয়ারি শারমিনকে যৌতুকের জন্য পুনরায় চাপ দিতে থাকে শিবলু। যৌতুক দিতে অস্বীকার করায় সে শারমিনকে বেধড়ক মারধর করে। চুনারুঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন শারমিন।
শারমিন জানান, তার স্বামী শিবলু মিয়া তানজিনা নামের এক পুলিশ সদস্যের সাথে নতুন করে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন।
তবে বিষয়টি অস্বীকার করে তার স্বামী শিবলু বলেন, “আমি শারমিনকে কোর্টের মাধ্যমে তালাক দিয়েছি। এর বেশি কিছু বলা আমার পক্ষে অসম্ভব।
পুলিশ সদস্য শিবলুর এহেন আচরণে শারমিন আক্তার তার কন্যা তানহাকে নিয়ে দিশেহারা।