ডেস্ক : অ্যাসিডিটির পেছনে মূল যে কারণটি দায়ি থাকে তা হল খালি পেট। আসলে দিনের বেশিরভাগ সময়ই যদি পেট খালি থাকে, তাহলে পাকস্থলিতে উপস্থিত অ্যাসিডিগুলি খারাপ প্রভাব ফেলে। যে কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্স, বদ হজম সহ নানাবিধ ডাইজেস্টিভ প্রবলেম দেখা দেয়। যে খাবারগুলি এই ধরনের রোগ সারাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে, সেগুলি হল-
১. বাটার মিল্ক: শরীরকে ঠান্ডা রাখার পাশপাশি এই পানীয়টি স্টমাক অ্যাসিডের কার্যকারিতাকে কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিড রিফ্লাক্স বা গলা জ্বালা করার মতো সমস্যা কমে যায়। তাই তো এবার থেকে এমন ধরনের অসুবিধা দেখা দিলেই সঙ্গে সঙ্গে এক গ্লাস বাটার মিল্ক খেয়ে নেবেন। দেখবেন নিমেষে সমস্যা কমে যাবে। এক্ষেত্রে বাটার মিল্ক বানেনার সময় তাতে দই এবং অল্প করে নুন মিশিয়ে তারপর খাবেন। তাতে বেশি উপকার মেলে।
২. তুলসি পাতা: একেবারে ঠিক শুনেছেন। গ্যাস-অম্বলের সমস্যা কমাতে তুলসি পাতা দারুন কাজে আসে। এতে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা খুব অল্প সময়ে অ্যাসিডিটিকে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসে। তাই তো নিমেষে আরাম পেতে ৩-৫ টি তুলসি পাতা পানিতে ভিজিয়ে, সেই পানি ফুটিয়ে খেয়ে ফেলুন। দেখবেন চোখের পলকে অ্যাসিডিটি কমে যাবে।
৩. রসুন: অ্যাসিডিটির সমস্যা কমাতে রসুনের কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। এক্ষেত্রে এক কোয়া রসুন খেয়ে ফেললেই পাকস্থলির অ্যাসিডের কর্মক্ষমতা কমে যায়। ফলে গ্যাস-অম্বল সংক্রান্ত নানা লক্ষণ ধীরে ধীরে কমে যেতে শুরু করে।
৪. বাদাম: আপনি কি প্রায়শই অ্যাসিডের সমস্যায় ভুগে থাকেন? তাহলে খাবার পরপরই ২-৩ টি বাদাম খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন এমন ধরনের রোগে আর আক্রান্ত হবেন না। কারণ এতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ক্যালসিয়াম এবং অ্যালকেলাইন কমপাউন্ড, যা পাকস্থলির অ্যাসিডিটির জন্য দায়ি অ্যাসিডদের ক্ষতি করার ক্ষমতা একেবারে কমিয়ে দেয়। ফলে গ্যাস-অম্বলের কষ্ট একেবারে কমে যায়।
৫. ডাবের পানি: গরমের সময় শরীরে পানির ঘাটতি মেটানোর পাশপাশি পাকস্থলির এসিডের ক্ষরণ স্বাভাবিক করতেও ডাবের পানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। শুধু তাই নয়, শরীরে উপস্থিতি অতিরিক্ত এসিডকে বের করে দিতেও এই প্রাকৃতিক পানীয়টি সাহায্য করে। তাই তো অ্যাসিডিটির সমস্যা থেকে দূরে থাকতে প্রতিদিন ডাবের পানি খাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।
৬. খাবার সোডা: মাঝে মধ্যেই কি অ্যাসিডিটির সমস্যায় একেবারে কাবু হয়ে পড়েন? তাহলে কাজে লাগান এই ঘরোয়া পদ্ধতিটিকে। এক গ্লাস পানিতে ১ চামচ খাবার সোডা মিশিয়ে সেই পানি পান করুন। প্রতিদিন এই মিশ্রণটি পান করলেই দেখবেন আর কোনও দিন অ্যাসিডিটি হবে না। কারণ এই পানীয়টি অ্যান্টাসিডের কাজ করে থাকে।
৭. অ্যালোভেরা: প্রচুর পরিমাণে খনিজ থাকার কারণে ত্বককে সুন্দর রাখার পাশপাশি হজম ক্ষমতার উন্নতিতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে এই প্রাকৃতিক উপাদানটি। শুধু তাই নয়, অ্যালোভেরায় উপস্থিত এসিড, পাকস্থলিতে উৎপন্ন এসিডের কর্যকারিতা কমিয়ে দেয়। ফলে অ্যাসিডিটির সমস্যা একেবারে নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
৮. আদা: গ্যাস-অম্বল হলেই এক পেয়লা আদা চা খেয়ে নেবেন। তাহলেই দেখবেন গ্যাস-অম্বল একেবারে কমে যাবে। আসলে আদায় উপস্থিত বেশ কিছু উপাদান অ্যাসিডিটির সমস্যাকে নিমেষে কমিয়ে ফেলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।