ডেস্ক : শুভাশীষের বিরুদ্ধে আমি সারাদেশে মানব-বন্ধন চাই। খোদার কসম, আমি গতকাল রাতে একফোঁটাও ঘুমাতে পারিনি!! বারবারই বেয়াদব মার্কা শুভাশীষের কাণ্ডজ্ঞানের ঘটনাটা দু চোখের সামনে ভেসে উঠে ছিল। হৃদয়টাও চিৎকার করে কান্না করে ছিল অনেকবার একজন ভদ্র মাশরাফির জন্য।
গতকাল টিভির পর্দায় এ কেমন বেয়াদবকে দেখেছি আমি। আমি অবাক হয়ে গিয়েছি!! যে মাশরাফিকে সারাদেশের মানুষ সম্মান করে একজন আদর্শবান ব্যক্তি হিসেবে সেই মাশরাফির সাথে এমন আচরণ করা ঠিক হয়নি শুভাশীষের।
মাশরাফিকে যে আমিই শুধু ভালোবাসি সেটা কিন্তু নয়। ম্যাশকে ১৮ কোটি বাঙালির মতো ভালোবাসেন বিশ্বের গ্রেট গ্রেট ক্রিকেটাররা , আমাদের প্রধানমন্ত্রীও ম্যাশকে সম্মানের চোখে দেখেন। সেই মাশরাফির দিকে একজন জুনিয়ার ক্রিকেটার হয়ে এভাবে রেগে খেপে তেরে যাওয়া ঠিক হয়নি শুভাশীষের।
অন্যদের মতো আমিও টিভির পর্দায় দেখেছি, মারার ভঙ্গিতে বারবার মাশরাফির দিকে ছুটে যাচ্ছিলেন শুভাশীষ। আম্পায়ার এবং সতীর্থরা ধরে রেখেও জেনো ধরে রাখতে পারছিলেন না শুভাশীষকে। জেনো মাঠেই শেষ করে ফেলবে মাশরাফিকে। যদিও শেষমেশ আম্পায়ার এবং খেলোয়াড়দের বাধায় থামতে হয় শুভাশীষ।
ক্রিকেটের সীমা লঙ্ঘন করে শুভাশীষ যখন মাশরাফির দিকে ছুটে গিয়েছিল। তখন দেখলাম মাশরাফি শুধু অবাক হয়ে শুভাশীষের দিকে তাকিয়ে ছিলেন। হতভম্ব মাশরাফি কোনো প্রত্যুতর ও করেননি শুভাশীষকে। শুধু চেয়ে চেয়ে দেখলেন।
আচ্ছা শুভাশীষ –মাশরাফি এমন কি বলেছিল তোমাকে? যার ফলে তুমি বারবারই হাজার হাজার দর্শক উপস্থিততে তোমার দ্বিগুন বড় মাশরাফির দিকে তেরে করে ছুটে গেলে মারার জন্য? এটাই কি তোমার আসল পরিচয়? এটাই কি ভালোবাসার প্রতিদান দিলে মাশরাফিকে? ম্যাশ তো তোমাকে তেমন কিছু বলেনি, শুধু হাত নেড়ে তোমাকে কি যেনো ইশারা করেছিলেন। তোমাকে খারাপ ভাষায় গালি তো দেয়নি-তোমার গায়ে তো হাত তুলেনি।
হয়ত গালি দিয়েছে, না হাত দিয়ে!! তাই বলে তুমি ছুটে যাবে হাজারো জনতার সামনে একজন জাতীয় দলের অধিনায়কের দিকে? তুমি একটুও ভাবনি মাশারাফির স্থান কোথায় আর তোমার কোথায়? মাশরাফির জনপ্রিয়তা কতগুন আর তোমার জনপ্রিয়তা কতগুন? মাশরাফি যে বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা একজন অধিনায়ক?
একজন মাশরাফিকে কোটি কোটি মানুষ ভালোবাসে কেনও? যে মাশরাফির কারণে তুমি জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পেয়েছো, যে মাশরাফি তোমাকে আদর করে ভালোবাসে একজন ভাইয়ের মতো। সেই মাশরাফিকে লোক সমাজে তুমি এভাবে আপমান করতে পারলে?
মাশরাফি তো ইচ্ছে করলে তোমাকে চরম শিক্ষা দিতে পারত মাঠেই। সেটা দেয়নি কেন, জানো? আর ভবিষ্যতেও দিবে না। কারণ–মাশরাফি তোমার মতো বেয়াদব নয়। মাশরাফি ভদ্র ঘরের ভদ্র সন্তান। সে আঘাত হজম করতে জানে, সবাইকে ভালোবাসতে জানে, শত্রুর সাথে কোলাকুলি করতে পারে, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে ক্রিকেট মাঠে যুদ্ধ করে শুধুমাত্র বাংলাদেশকে জয় উপহার দেয়।
সেই মাশরাফির সাথে গতকাল এমন বেয়াদবি করা ঠিক হয়নি শুভাশীষের। আমি একজন ক্রিকেটপ্রেমী হয়ে এই বেয়াদবি মেনে দিতে পারছি না কিছুতেই, এমন কি অন্যরাও মানছেন না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে বিসিবির উচিত ক্রিকেট শুভাশীষকে নিষিদ্ধ করা।
ইতি : – ম্যাশ ভক্ত আল-আমিন শিবলী।
► লেখাটি Alamin Shibli এর ফেসবুক আইডি থেকে সংগ্রহীত। এই লেখার জন্য সম্পাদক দায়ী নয়।