নিজস্ব প্রতিনিধি : হবিগঞ্জ জেলার নবীগঞ্জ উপজেলার ফতেহনগর গ্রামে বিয়ের ৭ দিন পর জিয়াউল হক (২৫) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনার পর এলাকায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। নিহত যুবক ওই এলাকার ছুরক আলীর পুত্র।
গত শুক্রবার রাত ১২টায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের পরিবার ও পুলিশ জানায়, ওই উপজেলার ছোট সাকোয়া গ্রামের হিফজুর রহমানের কন্যা নাজমা বেগমের ৫ বছর পূর্বে দুবাই প্রবাসী মোরাপাতলী গ্রামের ইবাজুল মিয়ার পুত্র জুবায়ের আহমেদের মোবাইল ফোনে বাগদান অনুষ্ঠিত হয়।
কয়েক বছর অতিবাহিত হলেও জুবায়ের দুবাই থেকে বাড়িতে ফেরত আসেনি। অনেক দিন তার অপেক্ষা শেষে গত এক সপ্তাহ আগে নাজমা বেগমকে তার পিতা একই উপজেলার ফতেহনগর গ্রামের ছুরক আলীর পুত্র জিয়াউল হক (২৫) এর সাথে বিয়ে দেয়।
বিয়ের ৭ দিন পর গত শুক্রবার রাতে হঠাৎ জিয়াউল হক অসুস্থ্য হয়ে পড়লে তার পরিবার নবীগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ১২টায় সে মারা যায়। পরে নিহতের পিতা ছুরক আলী সন্দেহ হয় কেউ তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে।
এর প্রেক্ষিতে নবীগঞ্জ থানার এসআই চান মিয়ার নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মৃত দেহ সুরতহাল শেষে গতকাল দুপুরে ময়না তদন্তের জন্য সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।