চুনারুঘাট প্রতিনিধি : হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও পৌরসভাসহ বীরসৈনিকদের স্মৃতির সংরক্ষণের লক্ষ্যে অালোকচিত্র বিষয়ক সংগঠন “চুনারুঘাট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি” এবং “পদক্ষেপ গণপাঠাগারের” যৌথ উদ্যোগে আজ থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের আলোকচিত্র সংগ্রহের কাজ শুরু হয়েছে।
২৬/১১/১৭ ইং তারিখে শনিবার সকাল ১০.১৫ মিনিটে ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের জারুলিয়া গ্রামের নিবাসী সদ্য ভোটার তালিকানুযায়ী বীরসৈনিক হাবিলদার মো: সোনা মিয়া তালুকদারের বাড়ি থেকে আলোকচিত্র সংগ্রহ
কাজ শুরু হয়।
পদক্ষেপ গণপাঠাগারের নির্বাহী সদস্য ও লংলা আধুনিক ডিগ্রী কলেজের সহকারি অধ্যাপক মাজহারুল ইসলাম রুবেল ক্যামেরায় ক্লীক করে উদ্বোধন করেন ।
উদ্বোধন কালে তিনি বলেন, ১৯৭১ আমাদের গৌরব,দেশ স্বাধীনের আজ ৪১ বছর চলছে । কৃষক,ছাত্র, শিক্ষক, জনতা, সরকারি চাকুরী, সেনা-নৌ-বিমান বাহিনী, ইপিআর পুলিশসহ সবাই দেশ রক্ষার্থে তারা যুদ্ধ করেছিলেন । তাদের স্মৃতির সংরক্ষণ করা অপরিহার্য।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন পদক্ষেপ গণপাঠাগারের সহ-সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান কাজল,মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সদস্যসচিব মুহিতুল রহমান রুমন ফরাজী, গাজিপুর ইউপির মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ডের সভাপতি মো নুরুন্নবী, সিপিএস এর সভাপতি সোরাইজম উৎপল সিংহ,দপ্তর সম্পাদক মো: রুবেল তালুকদার,প্রচার সম্পাদক অপূর্ব কুমার সিংহ,সাধারণ সদস্য পি আর ডি প্রিয়াস।
এদিকে বিকাল ৫ ঘটিকায় দুধপাতিল গ্রামের বীরসৈনিক আব্দুল কাদিরের ছবি সংগ্রহের মধ্যে দিয়ে আজকের নির্ধারিত কর্মসূচি সমাপ্ত হয়। সিপিএস এর সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে বীরসৈনিকদের ছবি সংগ্রহ করে ও যুদ্ধের গল্প শুনে।
সিপিএসের অন্যতম উপদেষ্টা ও জলের গানের কর্ণধার সাইফুল ইসলাম জার্নাল মুঠ ফোনে বলেন, বীরসৈনিকদের চলমান চিত্র তুলে ধরা অপরিহার্য। সেই লক্ষ্যে সিপিএসের সদস্যরা কাজ করছে। মুক্তিযোদ্ধাদের বাচিয়ে রাখতে চাই। তারা কেমন, কিভাবে কথা বলতেন, হাঁটাচলার কেমন ছিলো,আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে দেখাতে চাই আমাদের সুপারম্যানরা ছিলেন রক্ত মাংসের মানুষ।
সিপিএস এর সভাপতি জানান, ধারাবাহিকক্রমে চুনারুঘাটে ১০ টি ইউনিয়নের সিপিএসের সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে ছবি সংগ্রহ করবে ও নাম, ঠিকানা, সেক্টর, যুদ্ধ ক্ষেত্র তালিকা লিপিবদ্ধ থাকবে। সংগৃহীত ছবি ও গল্প গুলোই ভবিষ্যত প্রজন্মদের জানান দিতে সহায়ক হবে।