মোঃ আব্দুল হক রেনু, শায়েস্তাগঞ্জ : শায়েস্তাগঞ্জে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। আমন ধান কাটায় এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন কৃষকরা। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে বিল ও হাওরে এবছর গত বছরের চাইতে ধানের অনেক ভাল ফলন হয়েছে। অগ্রহায়ণ মাসের শুরু থেকেই স্থানীয় কৃষকরা ধান কাটার প্রস্তুতি নেয়। শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়নে বিল ও হাওর এলাকায় এখন চলছে পুরোদমে ধান কাটা। শায়েস্তাগঞ্জের বড়বিল, ছোটবিল, নূরপুরবিল, ব্রাহ্মণডোরা বিল, শায়েস্তাগঞ্জের পার্শ্ববর্তী উবাহাটা ইউনিয়ন, সুতাং নদীর ঘেষা বিলটিতেও এবছর প্রচুর ধান ফলন হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জের বিভিন্ন ইউনিয়ন, বিল ও হাওর ঘুরে দেখা গেছে, শুধু ধান আর ধান। ধানের ভাল ফলন হওয়ায় স্থানীয় কৃষক ছেরাগ আলী জানান, উন্নত ও ভালমানের বীজ হওয়ায় এ বছর ধানের ভাল ফলন হয়েছে। কিন্তু একটাই সমস্যায় ভুগছেন তিনি, ধান কাটার শ্রমিক পাচ্ছেন না। যে শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে তাও আবার বেশি মুজুরীতে ধান কাটানো হচ্ছে। শ্রমিক প্রতি ৪শ টাকা মুজুরী দিতে হচ্ছে। এবছর সময় মত বৃষ্টি হওয়ায় এবং অতিরিক্ত বৃষ্টি না হওয়ায় ধানের ভাল ফলন হয়েছে। শায়েস্তাগঞ্জ ইউনিয়নের নিশাপট গ্রামের কৃষক মোঃ সিরাজ মিয়া জানান, ধান ভালই হইছে কিন্তু বাজারে ন্যায্য দাম পাইলে আমরা অনেক লাভবান হব। তিনি আরও জানান, কীটনাশক ঔষধ ও সারের দাম কম হইলে আমরা কৃষকরা আরও লাভবান হতাম। এদিকে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার নূরপুর ইউনিয়নের অলিপুরে বিশাল ধানী জমিতে গড়ে উঠেছে ইন্ড্রাষ্ট্রিয়াল পার্ক। ওই এলাকায় বিভিন্ন কোম্পানী প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় ধানী জমি অনেকটাই কমে গেছে। তার পরও যে জমি অবশিষ্ট রয়েছে তাতেই কৃষকরা ধান চাষ করছে। শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এখন, এক দিকে কৃষকরা মাঠে ধান কাটায় ব্যস্ত, অপর দিকে বাড়িতে নতুন ধান উঠানোতে ব্যস্ত রয়েছেন গৃহিনীরা। বর্তমানে বাজারে ধানের দাম ৭শ থেকে ৮শ টাকা রয়েছে। ধানের দাম আরও বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী রয়েছেন কৃষকরা।