নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার হবিগঞ্জবাসীর একে একে সকল দাবি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে হবিগঞ্জ এ জেলায়। কিন্তু দেশের অন্যান্য এলাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ হাসিনাসহ জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নামে অনেক স্থাপনা এবং প্রতিষ্ঠান থাকলেও হবিগঞ্জে ছিল না তাদের নামে কোনো প্রতিষ্ঠান। অবশষে হবিগঞ্জবাসীর বহু কাক্সিক্ষত স্বপ্নের মেডিকেল কলেজটির নামককরণ করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে।
হবিগঞ্জ সদর-লাখাই আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এর প্রস্তাবে এই নামকরণ করা হয়েছে। ফলে হবিগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বর্তমান সরকারের ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রমের কিছুটা হলেও প্রতিদান দেয়া সম্ভব হয়েছে বলে দাবি করেছেন হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট্ মোঃ আবু জাহির এমপি।
এমপি আবু জাহির আরো বলেন, তিনি হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজটির নাম শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করার জন্য একটি ডিও লেটার স্বাস্থমন্ত্রী বরাবর প্রেরণ করেন। পরে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্ট বরাবরে অনুমোদনের জন্য ডিও লেটারটি প্রেরণ করে। পরবর্তীতে ২৯ নভেম্বর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেমোরিয়াল ট্রাস্টের সভা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত। উক্ত সভায় হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজটির নাম শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজে নামকরণের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় এবং তা বাস্তবায়নের জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বরাবর পত্র প্রেরণ করা হয়। এর অনুলিপি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপিকে দেওয়া হয়।
এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি বলেন, বর্তমান সরকার মানানীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তিনি হবিগঞ্জে শুধু মেডিকেল কলেজ স্থাপন করেন নাই, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা, হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালকে আড়াইশ’ শয্যায় উন্নীতকরণ, হবিগঞ্জ আধুনিক স্টেডিয়াম নির্মাণ, সরকারি বৃন্দাবন কলেজে অনার্স ও মাস্টার্স কোর্স চালু, ১০ তলা বিশিষ্ট জুডিসিয়াল ভবন নির্মাণ এবং বলভদ্র সেতু চালুকরণসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও বিদ্যুৎ খাতে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে সম্পাদন করা হয়েছে। ফলে হবিগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাতে জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার নামে মেডিকেল কলেজের নামকরণের প্রস্তাব করি।
তিনি আরো বলেন, হবিগঞ্জবাসী বার বার জাতীয় নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে হবিগঞ্জকে ২য় গোপালগঞ্জ হিসাবে শেখ হাসিনার কাছে প্রতিষ্ঠিত করেছে। ফলে হবিগঞ্জবাসী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যদি কোনো দাবি উত্থাপন করে সেই দাবি প্রধানমন্ত্রী অগ্রাহ্য করেন না। এর প্রমাণ হলো উপরোল্লিখিত উন্নয়নমূলক কাজ। প্রধানমন্ত্রীর কাছে উত্থাপিত সকল দাবি বাস্তবায়ন হয়েছে। অচিরেই আরেকটি বড় দাবি হবিগঞ্জে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়ন করা হবে। ইতোমধ্যে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের খসড়া আইন প্রণয়ন করা হয়েছে।
২০১৪ সালের ২৯ নভেম্বর হবিগঞ্জ শহরের নিউফিল্ড মাঠে আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট মোঃ আবু জাহির এমপি জনগনের পক্ষে হবিগঞ্জে মেডিক্যাল কলেজ, কৃষি বিশ্ববিদ্যায়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দর আধুনিকায়ন করার দাবি জানান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতে একটি মেডিকেল কলেজ, একটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, শায়েস্তাগঞ্জকে উপজেলা ও বাল্লা স্থলবন্দরকে আধুনিকায়নের ঘোষণা দেন।
দুই মাসের মাঝেই ২০১৫ সালের ১২ জানুয়ারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মাহমুদা আক্তার ২৪/(১০) স্মারকে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির অনুমোদন দেন হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজে। ঘোষনার অল্প সময়ের মাঝে প্রশাসনিক অনুমোদন পাওয়ায় হবিগঞ্জবাসী নতুন আশায় বুক বাধেন। প্রশাসনিক অনুমোদনের পর জেলা প্রশাসকের উদ্যোগে সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে এক সভায় হবিগঞ্জ ডায়াবেটিক হাসপাতালকে অস্থায়ী ক্যাম্পাস হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি হোস্টেল করার জন্য নির্ধারণ করা হয় পুরাতন হাসপাতালের পাশের একটি জায়গাকে। এর কিছুদিন পর মন্ত্রণালয় থেকে একজন যুগ্মসচিবের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের প্রতিনিধি দল হবিগঞ্জে এসে অস্থায়ী ক্যাম্পাস ও সার্বিক অবস্থা পরিদর্শন করেন।
পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ঢাকায় এক অনুষ্ঠানে হবিগঞ্জ মেডিকেল কলেজ চালুর কথা ঘোষণা করেন। কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদ পাওয়ার পরও ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। পরে ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য আবারও উদ্যোগ নেয়া হয়। অস্থায়ী ক্যাম্পাস নির্ধারন করা হয়েছিল নির্মানাধিন ২৫০ শয্যা ভবনকে। সহযোগী অধ্যাপক ডা. আবু সফিয়ান