জনমত নিউজ ডেস্ক : মানিকগঞ্জে ভাল চা কোথায় পাওয়া যায় প্রশ্ন করলে বেশির ভাগ মানুষই বলবে মতির চা এর দোকানের কথা। মানিকগঞ্জ শহরের বেউথা এলাকায় চায়ের দোকানটি অবস্থিত। চা বিক্রেতার পুরো নাম মেহেদী হাসান মতি। তিনি পশ্চিম দাশড়ার তাজেম আলীর ছেলে। এসএসসি পাশের পর অভাবের তাড়নায় লেখাপড়া করতে না পাড়ায় চায়ের দোকনে পেশা শুরু করে। মধ্যবয়সী মেহেদী হাসান মতি প্রায় ১৫ বছর ধরে এই বাজারে চা বিক্রির কাজ করেন। সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ এখানে আসেন এবং তৃপ্তিসহকারে তার চা পান করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যইে তার চায়ের সুনাম ছড়িয়ে পড়ে সব জায়গায়। এমনকি গোগলের ম্যাপেও দেখা যায় মতির চা’র দোকানের লোকেশন।
সরেজমিনে শনিবার তার চায়ের দোকানে গিয়ে দেখা যায়, বড় একটি ডেকচিতে গরম করা হচ্ছে দুধ। আগুনের তাপে চুলায় সাদা দুধ লালচে আকার ধারণ করেছে। ঢাকনা তুলে ডেকচি থেকে দুধ মগে করে এনে একটি কেটলিতে ঢেলে রাখলেন দোকানি। এবার ব্যস্ত হাতে দুই ডজনেরও বেশি কাপ থরে থরে সাজিয়ে রেখে চিনি, দুধ ও চায়ের পানি ঢাললেন। দ্রুতগতিতে প্রতিটি কাপে পরিমাণ মতো সব উপাদান দিয়ে চা তৈরি করার পর তার দুই সহকারী গ্রাহকদরে হাতে চায়ের কাপ তুলে দেন। অধিকাংশ গ্রাহক এক কাপ গরম চা খেয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করে আরেক কাপ খেয়ে তবেই বিদায় নিচ্ছেন।
চা ব্যবসায়ী মতির সহকর্মী এক কর্মচারী জানান, কাকডাকা ভোর থেকে দুই কর্মচারী চায়ের দোকান খোলার প্রস্তুতি শুরু করনে। সকাল ৯টা থেকে চা বিক্রি শুরু হয়ে রাত ৯টা পর্যন্ত চলে। প্রতি কাপ চায়ের মূল্য ছোট ৬ এবং বড় ১০ টাকা। গড়ে প্রতিদিন প্রায় তিন হাজার কাপ চা বিক্রি হয়। এ হিসেবে প্রতিদিন তার প্রায় ২০ হাজার টাকার চা বিক্রি হয়। চা বিক্রিতে অর্ধেক লাভ, সেই হিসেবে প্রতিদিন তার অায় ১০ হাজার ও মাসে তিন লাখ টাকা। তবে শুক্রবার ও ছুটির দিনে চাপ বেড়ে যায়।
স্থানীয়রা জানান, এক সময় যারা নিয়মিত আড্ডা দিতেন এবং এখন বিভিন্ন পেশায় আছেন তাদের অনেকেই এদিকে এলে মতির হাতের বানানো এক কাপ চা না খেয়ে যান না। অনেক সময় এক কাপ চায়ের জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হয়।