ষ্টাফ রিপোর্টার : বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মেয়র আলহাজ্ব জি কে গউছ বলেছেন, “কোন কারনে দেশের গণতন্ত্র বিপন্ন হলে এর দায়ভার আওয়ামীলীগকেই নিতে হবে। আকন্ঠ দুর্ণীতিতে নিমজ্জিত এই সরকার পরাজয়ের ভয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে ভয় পাচ্ছে। সাজানো নির্বাচন দিয়ে তারা আবারও ক্ষমতায় আসার স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু এ দেশের ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী শক্তির একটি কর্মী জীবিত থাকতেও আওয়ামীলীগের এই দিবা স্বপ্ন পূরণ হতে দেবে না। দেশে আরেকটি ৫ জানুয়ারীর নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। খালি মাঠে আর গোল দেয়ার সুযোগ দেয়া হবে না।”
গতকাল বৃহস্পতিবার (২৪ আগষ্ট) বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ৬নং রাজিউড়া ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র জি কে গউছ বলেন- যারা ৩ বারের প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সাথে নির্বাচন করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন তাদের জন্য যুবদলের একজন নেতাই যতেষ্ঠ। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে নির্বাচন হলে একজন যুবদল নেতার সাথেই পরাজয়ের স্বাদ গ্রহন করতে হবে।
মেয়র বলেন- বিএনপি বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, ইসলামী মুল্যবোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে বলেই বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল। তাই দেশের মানুষ বিএনপিকে ভালবাসে। দেশের মানুষ অতিতেও বিএনপির সাথে ছিল, ভবিষ্যতেও বিএনপির সাথে থাকবে। দেশের মানুষ যখনই ভোট দেয়ার সুযোগ পেয়েছে বিএনপি রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে। কারণ বিএনপির নেতাকর্মীরা মানুষের জন্য রাজনীতি করে। বিএনপির নেতাকর্মীরা নিজের উন্নয়নের জন্য রাজনীতি করে না।
মেয়র জি কে গউছ বলেন- বিভিন্ন বাধা উপেক্ষা করেই বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম করতে হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শান্তিপ্রিয়ভাবে সভা সমাবেশে করতে পারছে না। অথচ রাস্তাঘাট বন্ধ করে অপর একটি রাজনৈতিক দল সভা সমাবেশ করছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে এমন বৈষম্যমুলক আচরণ কারো জন্য শুভ হবে না।
রাজউড়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়জুল ইসলাম ফজলের সভাপতিত্বে এবং বিএনপি নেতা মমিনুল ও আব্দুল হাইর পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সভায় সভায় বক্তব্য রাখেন- জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান চৌধুরী ও এডভোকেট হাজী নুরুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ হাজী এনামুল হক, জেলা যুবদলের সভাপতি আজিজুর রহমান কাজল, জেলা কৃষকদলের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমান আউয়াল, জেলা ছাত্রদলের সাবেক আহ্বায়ক তাজুল ইসলাম চৌধুরী ফরিদ, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মিয়া মোঃ ইলিয়াছ, সাংগঠনিক সম্পাদক জালাল আহমেদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মহসিন সিকদার, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক সফিকুর রহমান সিতু, যুগ্ম আহ্বায়ক মুর্শেদ আলম সাজন, মিজানুর রহমান সুমন, গোলাম মাহবুব, এহসানুল হক ইমরান, শফিকুল ইসলাম সফিক, সেবুল মিয়া, শাহ নেওয়াজ তালুকদার, মিজানুর রহমান আলমগীর, জাহির আহমেদ তালুকদার, কামরান হাসান বাদল, ওয়াহিদ মিয়া, আবু সাইদ, আলা উদ্দিন, মাহফুজ আলম, ফিরোজ আলী মেম্বার, মর্তুজ আলী, রজব আলী, সবুর আলী, জাহেদ মিয়া, মাসুক মিয়া, হাজী জামাল মিয়অ, রেনু মিয়া প্রমুখ।