নিজস্ব প্রতিনিধি : হে আল্লাহ, তুমি আমাদের ক্ষমা করো, আমাদের ওপর রাজি হয়ে যাও। হে আল্লাহ, আমাদের অন্তরকে ইসলামের ওপর দাখিল করে দাও। হে আল্লাহ, পুরো উম্মতের ওপর রহম করো, সব মানুষকে হেদায়েত দাও। হে আল্লাহ, পেরেশানি দূর করে দাও। হে আল্লাহ, ইজতেমাকে কবুল করো।
আল্লাহর প্রতি এমনি গভীর আকুতিপূর্ণ মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শনিবার দুপুর ১২টা শেষ হয়েছে হবিগঞ্জে তিন দিন ব্যাপী তাবলীগ জামাতের ইজতেমা।
দুপুর ১২টা ১২ মিনিটে শুরু হয়ে ১২টা ৩৫ মিনিট পর্যন্ত ২৩ মিনিট দীর্ঘ আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করেন কাকরাইল মসজিদের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বী আল্লামা মুহাম্মদ হোসাইন।
হবিগঞ্জ সদর উপজেলার রিচি ইউনিয়নের সুলতান মাহমুদপুর মাঠে এ ইজতেমা শুরু হয় ৪ জানুয়ারী। ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের অংশগ্রহনে মাঠ ছাড়িয়ে আশপাশের এলাকা মিলে বিশাল জনসমুদ্রে প্রায় ৫ লক্ষাধিক মানুষের কণ্ঠে ধ্বনিত হয় আমিন আমিন ধ্বনি। কেঁদে বুক ভাসিয়ে দুনিয়া ও আখিরাত, দেশ ও বিশ্বের কল্যাণ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন মুসল্লিরা। আত্মশুদ্ধি, গুনাহ মাফ ও সব ক্ষেত্রে আল্লাহর রহমত চান।
শেষ মোনাজাতে অংশ নিতে শনিবার ভোর থেকেই মুসল্লিদের ঢল নামে। সূর্য উঠতে না উঠতেই মোনাজাতের আগ পর্যন্ত ইজতেমাস্থলের চারপাশের এলাকাজুড়ে কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না।
আখেরি মোনাজাতে হবিগঞ্জ- ৩ এর সংসদ সদস্য এডভোকেট মোঃ আবু জাহির, হবিগঞ্জ-২ এর এডভোকেট আব্দুল মজিদ খান, হবিগঞ্জ পৌর মেয়র আলহাজ্ব জি.কে গউছসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা শরিক হন।
এর আগে কাকরাইল মসজিদের তাবলীগ জামাতের মুরুব্বী আল্লামা মুহাম্মদ হোসাইন বলেন, যে দ্বীন ইসলামের বিধান অনুসারে চলবে এবং হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণ করবে, সে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন করবে।
তিনি আরও বলেন, ঈমানকে শক্তিশালী করতে হলে মানুষকে মসজিদের পরিবেশে বসাতে হবে। মুসলমানের নামাজ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। নামাজ এমনভাবে আদায় করতে হবে, যেমন নবী করিম (সা.) আদায় করেছেন।
তিনি বলেন, আমাদের দাওয়াতের কাজে দিনে ৮ ঘণ্টা সময় দিতে হবে। জবরদস্তি করে নয়, তাজিমের সঙ্গে বুঝিয়ে কাউকে মসজিদে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার জন্যই করতে হবে।