নিজস্ব প্রতিনিধি: হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের হাতিরথান গ্রামে বিয়ের দাবীতে প্রেমিকের বাড়িতে দিনভর অনশন করেছে প্রেমিকা কলেজ ছাত্রী। এই ঘটনায় ওই কলেজ ছাত্রীকে দেখতে এসে উৎসুক জনতার ভীড় জমিয়েছেন। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বইছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, হবিগঞ্জ সদর উপজেলার লস্করপুর ইউনিয়নের হাতিরথান গ্রামের আব্দুস আহাদের কন্যা হবিগঞ্জ সরকারী মহিলার কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী হেলেনা আক্তার-এর সাথে দেড় বছর পূর্বে প্রেমের সম্পর্ক হয় একই গ্রামের আব্দুস সালামের পুত্র রাজমিস্ত্রি শ্রমিক শাহ সোহেল মিয়ার। এক পর্যায়ে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক শারীরিক সম্পর্কে করে।
সম্প্রতি সোহেল এফিডেভিটের মাধ্যমে হেলেনাকে বিয়ে করতে ছবিসহ স্থানীয় একজন কাজির বাড়িতে উপস্থিত হয়। এ সময় তাদের সাথে আত্মীয়-স্বজন না থাকায় তাদের বিয়ে দেয়া হয়নি। এরপর তারা পালিয়ে বিয়ে করতে প্রস্ততি নেয়। গত রবিবার সন্ধ্যায় তারা পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় জনতা তাদেরকে আটক করে নিয়ে আসে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার রাতে লস্করপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মাহবুবুর রহমানের হিরো সভাপতিত্বে এক সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে গত বুধবার সকাল ১১টায় ৫ লাখ টাকা দেন মোহরে তাদের বিয়ে হবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। যথা সময়ে সেখানে হেলেনা ও তার পরিবারের লোকজন উপস্থিত হলেও বর সোহেল ও তার লোকজন উপস্থিত হয়নি। পরে বিকেল ৩টায় হেলেনা আক্তার সোহেল মিয়ার বাড়িতে অনশন নেয়ার চেষ্টা করলে সোহেলের লোকজন তাকে বেধড়ক মারপিট করে। এক পর্যায়ে হেলেনা সোহেলের বাড়ির সামনে অনশন নেয়।
খবর পেয়ে সোহেল বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। অনশনের খবর পেয়ে স্থানীয় উৎসুক জনতা তাদের বাড়িতে ভীড় জমায়। খবর পেয়ে বিষয়টি নিসস্পত্তি করতে স্থানীয় মুরুব্বিয়ান সোহেলের বাড়িতে এক শালিস বৈঠকে মিলিত হয়। বৈঠকে প্রায় ২ ঘন্টা আলোচনা শেষে সোহেলের পরিবারকে ৭ দিনের সময় দিয়ে ওই ছাত্রীকে স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ আলা উদ্দিনের কাছে জিম্মায় দেয় স্থানীয় মুরুব্বিরা। এ ব্যাপারে সোহেলের পিতা আব্দুস সালাম জানান, তার ছেলে যদি বাড়ি ফিরে হেলেনা আক্তারকে বিয়ে করে এতে তার কোন আপত্তি নেই।
এ বিষয়ে অনশনকৃত কলেজ ছাত্রী হেলেনা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, বিয়ের প্রলোভন দিয়ে প্রেমিক সোহেল তাকে প্রায় সময়ই বিভিন্ন স্থানে নিয়ে ধর্ষণ করেছে।