1. info@jonomoth.com : admi2017 : জনমত নিউজ
  2. jonomoth24@gmail.com : Jonomoth .com : Jonomoth News .com
  3. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser

২ মার্চ বাংলাদেশের প্রথম ‘জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস’

শাহ মনসুর আলী নোমান, বিশেষ প্রতিনিধি: ১৯৭১ সালের ২ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। তৎকালীন ছাত্রনেতা আ.স.ম আব্দুর রব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের সামনে ঐতিহাসিক বটতলায় বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সে সময় তিনি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র ইউনিয়নের সহ-সভাপতি। ৩ মার্চ ১৯৭১ বঙ্গবন্ধুর উপস্থিতিতে জাতীয় সঙ্গীত গাওয়ার মাধ্যমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন মোঃ শাহজাহান সিরাজ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম নিজ হাতে তাঁর ধানমন্ডিস্থ বাসভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ১৯৭১ সালের ২৩ মার্চ। বিদেশে সর্বপ্রথম বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয় ১৯৭১ সালের ১৮ এপ্রিল ভারতের কলকাতাস্থ বাংলাদেশ মিশনে।

বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন দিবস ১৯৭১ সালের ২রা মার্চ। তৎকালীন পাকিস্তানী শোষক গোষ্ঠীর অন্যায়, অত্যাচার, অবিচারের বিরুদ্ধে ডাকসু নেতাদের উদ্যোগে ২ মার্চ সাড়া দিয়েছিল এদেশের আবাল বৃদ্ধ-বণিতা। সে দিনের পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়েই বাঙালী ছাত্র জনতা মহান স্বাধীনতা আন্দোলনে উজ্জ্বীবিত হয় এবং স্বাধীনতা অর্জনের পথে যাত্রা শুরু করে।

১৯৭১ সালের ২ মার্চ জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক বিশাল সমাবেশ হয়। এ সমাবেশে আ.স.ম আব্দুর রব যখন বক্তব্য রাখেন, তখন ছাত্রনেতা জাহিদ হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রোকেয়া হলের দিক থেকে মঞ্চস্থলে জতীয় পতাকাসহ মিছিল নিয়ে এগিয়ে আসেন, রব তখন সেই পতাকা উত্তোলন করেন। এই পতাকা উত্তোলন বিশ্ববাসীকে জানিয়ে দিয়েছে একটি শোষিত ও বঞ্চিত দেশের অধিকার আদায়ের বার্তা।

সুদীর্ঘ ৯ মাসের ত্যাগ ও রক্তের বিনিময়ে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় ঘটে। স্বাধীনতা সংগ্রামের ৯ মাস এই পতাকাই বিবেচিত হয় আমাদের জাতীয় পতাকা হিসেবে। ২ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষিত হওয়ায় সকাল থেকেই দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের মানুষ ঢাকা শহরের রাজপথে অবস্থান নেন। ঢাকা শহর পরিণত হয় মিছিলের শহরে। ছাত্রসমাজ ও জনতা পাকিস্তানের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে জানিয়ে দেয় বাঙালিরা মাথা নত করবে না।

আজ এই এক টুকরো পতাকার লাল-সবুজের মাঝেই আমাদের এই সোনার বাংলাদেশের পরিচিতি। লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই জাতীয় পতাকা। সে কারণেই অন্যান্য দিবসের মতো এই দিবসটি অধিক গুরুত্ব বহন করে প্রতিটি বাঙালীর জীবনে ও হৃদয়ে।

দিবসটি উপলক্ষে ২ মার্চ, ২০১৮ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কলাভবন সংলগ্ন ঐতিহাসিক বটতলা প্রাঙ্গনে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়েছে। ঢাবি’র এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি’র মাধ্যমে জানা যায়, অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আখতারুজ্জামান। এতে দিবসটির তাৎপর্য নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনা ও সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়।

     এই ক্যাটাগরীর আরো খবর