1. info@jonomoth.com : admi2017 : জনমত নিউজ
  2. jonomoth24@gmail.com : Jonomoth .com : Jonomoth News .com
  3. wpsupp-user@word.com : wp-needuser : wp-needuser

“অসহায় মানুষের কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত কাজ করে যাবো” : ব্যারিস্টার সুমন

খন্দকার আলাউদ্দিন, চুনারুঘাট: চুনারুঘাট চা-বাগান অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে পরিচিত। এর মধ্যে চা-বাগান এলাকায় দীর্ঘকাল ধরে বসবাস করেন চা-শ্রমিকরা। ঐ এলাকার বঞ্চিত মানুষের দীর্ঘদীনের কষ্ট লাঘব করতে তাদের যাতায়তের সুবিধার্থে চুনারুঘাটে রামগঙ্গা চা-বাগানের ছড়ার উপর একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে। গত শনিবার দিনব্যাপী সেচ্ছাশ্রমের উদ্যোগে ও নিজস্ব অর্থায়নে ব্রিজটি নির্মান করেন বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য ও আন্তার্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউর ব্যারিস্টার চুনারুঘাটের তরুণ সমাজকর্মী সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। ফলে ওই এলাকার চা-বাগানের স্কুল-কলেজগামী ছাত্র-ছাত্রীসহ ৪টি বাগানের প্রায় ২০ হাজার মানুষের নিত্যদিনের দুর্ভোগের অবসান ঘটেছে। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৫ বছর পূর্বে রামগঙ্গা বাগানের ছড়ার উপর সরকারিভাবে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের কয়েক দিনের মাথায় সেতুটি ধ্বসে ছড়ায় পড়ে যায়। অনেকদিন যাবৎ মেরামত না হওয়া চা-শ্রমিকসহ স্কুল, কলেজগ্রামী শিক্ষার্থীরা ব্রিজের নিচে পানির উপর দিয়ে পারাপাড় হতে হওয়া লাগত। চা বাগানের মানুষজন দীর্ঘদিন ধরে একটি ব্রিজের অভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হয়ে আসছিলেন। ওই এলাকার মানুষের দীর্ঘদিনের আকাঙ্খা ছিল কবে সেতুটি পূর্ণ নিমার্ণ করা হবে। কিন্তু সরকারী বেসরকারি কোন প্রতিষ্ঠান বা জনপ্রতিনিধিরা এগিয়ে আসেন নি। চা-বাগানবাসীর স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা উপজেলা সদরে যাওয়ার একমাত্র যাতায়াত পথ এই ছড়ার উপর দিয়ে পারাপার হওয়া লাগত। একটি ব্রীজের অভাবে কষ্টের শেষ ছিল না বাগানবাসীর। মানুষের কিছু কষ্ট লাঘব করতে নিজস্ব অর্থায়নে একদল তরুন ও গ্রামবাসীদের নিয়ে কাঠের ব্রীজটি নির্মাণ করে দিলেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুুল হক সুমন। আর এর মধ্য দিয়েই নিরসন হলো প্রায় ২০ হাজার লোকজনের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ।
চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু এ প্রতিবেদককে জানান, বৃহস্পতিবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত সেতু নির্মাণের কাজ চলে। গতকাল শনিবার সকাল থেকেই লোকজন সেতুটি ব্যবহার করছেন।
এ ব্যাপারে ব্যরিস্টার সায়েদুল হক সুমন জানান, চা-বাগানের মানুষের দুর্ভোগ দেখে নিজের বিবেকের তাগিদ থেকেই তিনি সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছি। চা-শ্রমিকের দুর্ভোগ লাঘবে ভূমিকা রাখতে পেরে তিনি আনন্দিত। তিনি আরও বলেন অবহেলিত মানুষের কষ্ট শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার এ মিশন অব্যাহত থাকবে।
উল্লেখ্য, এ যাবৎ তিনি নিজস্ব উদ্যোগে ছড়া ও নদীর উপর ৯টি ব্রীজ তৈরী করে এক অন্যন্য নজির স্থাপন করেছেন।

     এই ক্যাটাগরীর আরো খবর