জনমত নিউজ: প্রেম মানে না কোনো বাধা, মানে না কোনো বয়স। সবসময়ই প্রেম অমর। এ ধারাবাহিকতায় প্রেমের টানে লন্ডন থেকে ছুটে এসেছেন প্রেমিকের বাড়িতে ৫ সন্তানের জননী।
হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে ফেসবুক প্রেমের টানে লন্ডন থেকে ছুটে এসেছেন পাঁচ সন্তানের জননী। এনিয়ে তোলপাড় হচ্ছে সর্বত্র। ৫টি সন্তান নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন ওই মহিলার লন্ডন প্রবাসী স্বামী সৈয়দ আমজাদ হোসেন। তিনি এখন অনেকটা মানবেতর জীবন যাপন করছেন।
জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ আমজাদ হোসেন র্দীঘদিন যাবত স্বপরিবারে লন্ডনে বসবাস করছেন। তিনি প্রায় ১০ বছর আগে বিয়ে করেন নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপির মিনাজপুর গ্রামের মোহাম্মদ জহিরুল হকের মেয়ে জেসমিন আক্তার সুহেনাকে। তার ঔরসজাত পাঁচটি ছেলে-মেয়ে রয়েছে। তিনি একটি রেস্টুরেন্টে কাজ করেন। তার স্ত্রী জেসমিন আক্তার সুহেনা (৩৫) ঘরে গৃহিনীর কাজসহ ছেলে মেয়েদের দেখা শোনা করেন।
এর ফাঁকে ফেসবুকে পরিচয় গড়ে উঠে নবীগঞ্জ উপজেলার আউশকান্দি ইউপির উত্তর দৌলতপুর গ্রামের মৃত আসকর মিয়া পুত্র শিপন আহমদের সাথে। দুজনের মধ্যে ফেসবুকে চ্যাটিং থেকে ফোনে আলাপ এর অসম প্রেম শুরু হয়। সব কিছু হয় স্বামীর অজান্তে। সুহেনার স্বামী সারারাত রেস্টুরেন্টে কাজ সুবাধে ফোনালাপ ও ভিডিও সেক্স চলে দুজনের মধ্যে।
গত দু-সপ্তাহ আগে লন্ডন প্রবাসী সুহেনা স্বামীকে বলে সে জরুরী কাজে দুসপ্তাহের জন্য দেশে আসবে আবার সে ফিরে যাবে যথা সময়ে। স্বামী তার কথা বিস্বাস করে মার্কেট করে আত্মীয় স্বজনের জন্য দুটি সুটকেস ভর্তি কাপড় ছোপড় বিভিন্ন কসমেটিক্স পণ্য ভরপুর করে দেন।
গত ১৫ দিন যাবৎ জেসমিন আক্তার সুহেনার সাথে তার পরিবারের কোন যোগাযোগ নেই। তার স্বামী লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ আমজাদ হোসেন জানান তিনি ছেলে মেয়ে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন, তাই তিনি তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চান। এদিকে শিপনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
সুহেনা যথারিতি দেশে এসে ঢাকা শাহজালাল আর্ন্তজাতিক বিমান বন্দর নেমে কল করেন তার ফেসবুক প্রেমিক শিপন আহমদকে। সেখান থেকে তিনি সরাসরি প্রেমিক শিপন কে নিয়ে অজানা আত্মগোপনে চলে যান।