ষ্টাফ রিপোর্টার : করাঙ্গীর দু’পার জুড়া লাগবে আজ। শিশুরা আগামীকাল থেকে পরীক্ষা দিবে আলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। রাত পোহালেই ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন আসবেন, সবাইকে নিয়ে কাজ করে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে নির্মাণ করবেন বহু প্রতিক্ষিত কাঠের ব্রীজ, এতেই সোনাজোড়া গ্রামের ঘরে ঘরে আনন্দ। অভিভাবকদের কপালে চিন্তার ভাঁজ মিটে যাচ্ছিলো। কারণ, সোনামনিকে খরস্রোতা নদীর ওপারে পাঠিয়ে কাজে গিয়েও এতোদিন শান্তি পাচ্ছিলেন না।
তবে জোড়া লাগলো না সোনাজুড়া বাসীর ফাঁটা কপাল।
ব্যারিস্টার সুমন আসলেন। সাথে একদল শ্রমিক,কাঠ, ব্রীজ বানানোর যাবতীয় আসবাবপত্রও আসলো সাথে।
তারপরও ব্রীজ হলো না। বাধা হয়ে দাঁড়ালেন এলাকার চেয়ারম্যান, মেম্বার। তারা সুকৌশলে বাঁধা দিলেন। ফিরে আসতে বাধ্য হলেন ব্যারিস্টার সুমন। সবাই যার যার ঘরে ফিরে যায়।
আব্দুল্লাহ মিয়া নদীর স্রোতের দিকে তাকিয়ে বসে বসে অলস দুপুরে কী যেনও ভাবছিলেন, নাতিকে বলেছিলেন কাল পরীক্ষায় আর কাপড় ভিজিয়ে যেতে হবে না। আজ কি বলবেন বাড়িতে গিয়ে…
সোনাজুড়া গ্রাম ৮নং সাটিয়াজুরী ইউনিয়নের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে করাঙ্গী নদীর পূর্বে পাহাড় ঘেঁষা উন্নয়নবঞ্চিত এক অবহেলিত গ্রাম। এ গ্রামের শিশুরা নদী পার হয়ে ৯নং রাণীগাঁও ইউনিয়নের উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে করাঙ্গী নদীর পশ্চিম তীরঘেঁষা আলাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়া লেখা করে।