চুনারুঘাট প্রতিনিধি: আমার জন্মস্থানের মানুষকে কষ্ট রেখে, আমি নেতা হতে চাই না। আগে মানুষের কষ্ট দূর করি, তারপর যদি আমার কপালে থাকে, তাহলে আমি নেতা হবো। তখন হয়তো কেউ আটকাতেও পারবে না। নিজের সামর্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করাই সবচেয়ে বড় নিরাপত্তা।
তিনি আরও বলেন, আমার যা ইনকাম তাই দিয়ে আমি মানুষের কল্যানে কাজে লাগাই। আমি নেতা যদি না হলেও, সব সময় নিজের স্বার্থ বিসর্জন দিয়ে অত্যাচারিত, নিপীড়িত, সাহায্যহীন মানুষের পাশে থাকতে চাই।
শুক্রবার ও শনিবার (৪মে) দিনব্যাপী চুনারুঘাট উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের দৌলত খা আবাদ ও পাইকপাড়া গ্রামের সুতাং নদীর উপরে সেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে কাঠের ব্রীজ নির্মাণ শেষে এলাকাবাসীর উদ্দেশ্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন-বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর তরুণ সমাজকর্মী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন।
এ সময় এলাকাবাসীরা জানান, স্বাধীনতার ৪৬ বছরপরে আমরা আজ একটি কাঠের সেতু পেলাম। এতে আমাদের স্কুল-কলেজ পড়োয়া ছেলে মেয়েরা আজ থেকে খুব সহজে যাতায়ত করতে পারবে। এতোদিন বাশের সাকো দিয়ে পারাপার হওয়া লাগত। কেউ আবার ভয়ে পানি দিয়ে ভিজে পার হতে লাগত। এখন থেকে কাঠে সেতু দিয়ে নির্ভয়ে যাতায়ত করতে পারবো। এ সময় গ্রামবাসীরা ব্যারিস্টার সুমনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, উপজেলার পাইকপাড়া ও দৌলতখা আবাদ গ্রামের সুতাং নদীর মাঝখানে দু’ভাগে ভিক্ত রয়েছে। এই ছড়া দিয়ে প্রতিদিনি ১০টি গ্রামের মানুষ যাতায়ত করেন। মানুষের দীর্ঘদিনের কষ্ট দূর করতে এলাকাবাসীরা ছুটে আসেন ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের কাছে। তিনি সেখানে একটি কাঠের ব্রীজ তৈরী করেন। এতে ওই এলাকার লোকজনদের মাঝে বিশেষ আনন্দ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা গেছে। তাঁর সমুদয় উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতা অবহেলিত মানুষের দীর্ঘদিনের দূর্ভোগ দিনকে দিন দূর হচ্ছে। ইতোমধ্যে তিনি চুনারুঘাট উপজেলার বিভিন্ন অজোপাড়া গাঁয়ে সুবিধা বঞ্চিত মানুষের জীবনকে গতিময় করতে নিজ উদ্যোগ ও অর্থায়ানে ১৫টি কাঠের ব্রীজ নির্মাণ করে করে সারা হবিগঞ্জ জেলাসহ দেশব্যাপী এক আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। ইতিমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ ফেসবুকের মাধ্যমে তার উন্নয়নমুলক কর্মকান্ড দেখে দেশ-বিদেশের মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এ যাবৎ ১৫টি কাঠের ব্রিজ ছাড়াও চুনারুঘাট-মাধবপুর উপজেলার ৫০টি ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তার সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেন।