লাইফস্টাইল : শিশুরা অনুকরণ প্রিয়। তাদের কাছ থেকে সুন্দর আচরণ প্রত্যাশা করলে তার সঙ্গে সুন্দরভাবেই আচরণ করতে হবে।
শিশুর খাদ্যাভ্যাস নিয়ে ভুল ধারণা :
শিশুর সুন্দর আচার আচরণ গঠনে মূল ভূমিকা পালন করে পরিবার। আর এই ব্যাপারে করণীয় সম্পর্কে পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজের ‘শিশু বিকাশ ও সামাজিক সম্পর্ক’ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রুমানা বাসার।
তিনি বলেন, ‘শিশুকে সুন্দর আচরণ শেখাতে হলে তার সঙ্গে সুন্দর আচরণ করতে হবে। পরিবার থেকেই শেখাতে হবে বড়দের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয় আর ছোটদের কীভাবে ভালোবাসতে হয়। তাছাড়া শিশুরা একটু বড় হলেই বাইরের অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করে। ফলে তাদের আচার-আচরনে পরিবর্তন আসতে পারে। যদি বুঝতে পারেন শিশু খারাপ কিছু শিখছে তাহলে তাকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।
* প্রথমেই, শিশুকে বাধ্য হয়ে চলার শিক্ষা দিতে হবে।
* বড়দের শ্রদ্ধা ও ছোটদের ভালোবাসার শিক্ষা দিতে হবে। এসব বিষয় সম্পর্কে উপদেশের মতো শিক্ষা না দিয়ে বাস্তবে করে দেখাতে হবে।
যেমন- আপনি নিজে বড়দের প্রতি বাধ্য ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করে এবং ছোটদেরকে ভালোবেসে আপনার সন্তানের কাছে উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরুন। এতে শিশু তা খুব সহজেই গ্রহণ করবে।
* শিশুরা কোনো ভুল করলে তাদেরকে প্রথমে বোঝাতে হবে। প্রয়োজনে পরে বকা দিতে পারেন। তবে বকা দেওয়ার সময় শিশুকে কোনো রকমের আজে বাজে বা অপমানজনক শব্দ ব্যবহার করা ঠিক নয়।
* বাসায় অতিথি এলে শিশুকে তাদের সঙ্গে কথা বলতে ও সময় কাটাতে উৎসাহিত করুন। এতে ছোট থেকেই তার মধ্যে সামাজিকতার বোধ জেগে উঠবে।
* শিশুর সঙ্গে বন্ধুর মতো আচরণ করুন। তাহলে সে আপনার কাছ থেকে কোনো কিছু লুকাবে না। এবং সকল কথাই সে সাদরে গ্রহণ করবে।
* শিশুরা বাইরে খেলতে গেলে বা স্কুলে অন্যান্য শিশুদের সঙ্গে মেলামেশা করার কারণে নানা ধরনের বাজে শব্দ ও ব্যবহার শিখতে পারে। তাই শিশু কার সঙ্গে মেলামেশা করছে সেদিকে খেয়াল রাখুন। তাছাড়া শিশুর আচার আচরণে খারাপ কোনো পরিবর্তন দেখলে তাকে শোধরানোর চেষ্টা করতে হবে।
* শিশুর সঙ্গে সব সময় সত্য কথা বলুন। তাকে সত্য বলতে উৎসাহিত করুন। কোনো ভুল করে যদি সে স্বীকার করে তাহলে কড়া শাসন না করে বুঝিয়ে বলুন ও ভবিষ্যতে যেন এমন কাজ না করে সে বিষয়ে সাবধান করে দিন।
* দিনের নির্দিষ্ট একটি সময় বেছে নিন কেবল শিশুর জন্য। এই সময় অন্য কোনো কাজ না করে তার সঙ্গে সময় কাটান। তার সঙ্গে গল্প করুন, আনন্দ করুন মোটকথা সম্পূর্ণ মনোযোগ তার দিকে দিন। ফলে সে বুঝবে আপনার কাছে তার গুরুত্ব আছে। তখন সেও আপনার প্রতিটি কথা ও মানসিক অবস্থার গুরুত্ব দিবে।
শিশুকে মানুষের মতো মানুষ করে তুলতে তার সুন্দর ব্যবহার ও সৎ চরিত্র বিকাশে সহায়তা করা উচিত। এতে শিশু বর্তমান ও ভবিষ্যত সময়েও বিপথগামী হবে না। তাই শিশুর সঠিক বিকাশে ছোট থেকেই সহায়তা করা উচিত বলে মনে করেন, এই অধ্যাপক।