নুর উদ্দিন সুমন : হবিগঞ্জ বাজার দর নিয়ন্ত্রনে রাখতে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক, কর্তৃক বাজার পরিদর্শন করা হয়েছে। রমজান উপলক্ষে বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসক এর নির্দেশনায় শহরের চৌধুরী বাজার এলাকায় বাজার মনিটরিং করা হয়। এ সময় মনিটরিং টিম বিভিন্ন দোকান ঘুরে জিনিসপত্রের বাজারমূল্য যাচাই করেন। পাইকারি মূল্যের সাথে খুচরা মূল্যের পার্থক্য যাচাই করেন।মনিটরিং টিম অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত সোমবার বিকেল ৪ টায় হবিগঞ্জ পৌরশহর এবং চৌধুরী বাজার এর কাচা বাজারসহ পরিদর্শন করেন । এ সময় পরিদর্শনকারী কর্মকর্তারা জানান-রমজানের শেষ দিন পর্যন্ত নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রনে মাঠে থাকবে বাজার মনিটরিং কমিটি। জানা যায়, রমজান উপলক্ষে কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের জন্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে থাকে। পৌরশহর ও কাচা বাজারে তরিতরকারী, মুরগী বাজার, গরু ও খাসির মাংস বাজার ও মাছ কাজার এলাকায় নোংড়া আবর্জনা, প্রয়প্রণালী পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখাসহ বাজারের মধ্যে রাস্তার দু’পাশে অবৈধভাবে মালামাল না রাখা, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল নিয়ন্ত্রণে রাখাসহ রমজানে মর্যাদা রক্ষায় ব্যবসায়ীদের আহবান জানান। এ সময় জেলা ম্যাজিস্ট্রেট তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়া ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে বলেন, রমজান মাসের পবিত্রতা রক্ষার দায়িত্ব আমার, আপনার সকলের। এই রমজান মাসে অধিক মুনাফার লোভে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মজুদ রাখা থেকে বিরত থাকবেন। দোকানের সামনে রাস্তায় কোন মালামাল সাজিয়ে রাস্তা বন্ধ রাখা বা মানুষের চলাচলে সমস্যা হলে কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। এমনকি রাস্তার দু’পাশে ফুটপাত দখল করে মানুষ চলাচলে বাধা দিলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি চৌধুরী বাজার এলাকার প্রায় প্রতিটি দোকানের সামনের জায়গায় মালামাল সরিয়ে নেওয়ার নির্দেশ দেন। এই নির্দেশ অমান্য করলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন। তিনি পবিত্র রমজান উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের ভেজাল বিরোধী অভিযানে ব্যবসায়ী মহলসহ সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেন। এবারের রমজান মাসে যাতে করে বাজারের নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম না বাড়ে সেকারনে খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের সতর্ক করে দেয় বাজার মনিটরিং কমিটির সদস্যরা। এদিকে
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মিষ্টি বানানোর অপরাধে ভ্রাম্যমান আদালত হরিপদ মিষ্টান্ন ভান্ডারকে২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এছাড়া আয়োডিনবিহীন লবণ বিক্রি করার অপরাধে তিনটি দোকানে মোট ২৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেন। অভিযানে আরও অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানা পুলিশ। এব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহমুদুল কবির মুরাদ জানান আমাদের মনিটরিং টিম প্রতিদিন মাঠে কাজ করছেন। অযৌক্তিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ালে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।