মীর জুবায়ের আলম, চুনারুঘাট : হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মতিন্দ্র মালাকার (২৫) নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দূর্বৃত্তরা। হত্যার পর তাকে খোয়াই নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়।
আজ (৩ অক্টোবর) বুধবার দুপুরে স্থানীয় লোকজন তার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে চুনারুঘাট থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করেন।
নিহত মতিন্দ্র মালাকার উপজেলার গাভীগাঁও গ্রামের মনোরঞ্জন মালাকারের ছেলে।
নিহতের পরিবারের দাবি, গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঘরগাঁও বাজারে তার সেলুনের দোকান থেকে বাড়ির উদ্দেশ্যে বের হয়। পরে সে আর বাড়িতে ফেরেনি। বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পর তাকে পাওয়া যায়নি। এমনকি তার ব্যবহৃত ফোন নাম্বারটিও বন্ধ পাওয়া যায়। সকালে স্থানীয় লোকজন খবর দেয় খোয়াই নদীর পাড়ে তার রক্তাক্ত লাশ পড়ে রয়েছে। কে কারা তাকে হত্যা করে এখানে ফেলে রেখে গেছে।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ বছর পূর্বে মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ থানার যোদ্ধাপুর গ্রামের নিরঞ্জন মালাকারের মেয়ে সুমা মালাকারের (২০) সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন নিহত মতিন্দ্র মালাকার। এরপর দুই পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য উভয়পক্ষের মুরুব্বিয়ানদের মাধ্যমে একটি শালিস অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এতে কোনো সুরাহা হয়নি। এ নিয়ে মেয়ের বাবা নিহত মতিন্দ্রের বিরুদ্ধে আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ৩ মাস কারাভোগের পর কিছুদিন পূর্বে জামিনে মুক্তি পায় মতিন্দ্র।
নিহতের বাবা দাবি করেন, মতিন্দ্রের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে খোয়াই নদীর পাড়ে ফেলে রেখে যায়।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, লাশ উদ্ধার করে হবিগঞ্জ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট এবং বিষয়টি নিয়ে তদন্ত ছাড়া কিছু বলা যাচ্ছে না। তবে তাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে এটি নিশ্চিত।