স্টাফ রিপোর্টার : চুনারুঘাটে বিতর্কিত প্রধান শিক্ষক হাবিবুর রহমান বাহার অন্য স্কুল থেকে বদলি হয়ে যোগদান করার চেষ্টার কারনে ফুঁসে উঠেছে শাইলগাছ গ্রামবাসীরা। গত বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় চুনারুঘাট উপজেলার শাইলগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করতে গেলে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা ও গ্রামবাসীরা তাকে স্কুলে যোগদান করতে দেইনি এবং অফিস কক্ষ তালা বদ্ধ করে রাখা হয়। যোগদানের বিষয়ে এলাকাবাসীরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার সহ বিভিন্ন দপ্তরে তাকে এই স্কুলের বদলি না করার জন্য লিখিত আবেদন করেন। অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও হাবিবুর রহমান ওই বিদ্যালয়ে যোগদানের চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমনকি ম্যানেজিং কমিটির সদস্য সহ গ্রামবাসীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন। অভিযোগে প্রেক্ষিতে চুনারুঘাট থানার এসআই আনসুর ওই স্কুলে গিয়ে তদন্ত করেছেন।
এদিকে শিক্ষক হাবিবুর রহমান যোগদানের খবর শুনে স্কুলের শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দেয় এবং স্কুল চলাকালিন সময়ে শ্রেণি কক্ষে কোনো শিক্ষার্থীকে দেখা যায়নি। অন্যান্য শিক্ষকদের ফাঁকা শ্রেণি কক্ষের টেবিলে বসে থাকতে দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানান, যদি ওই শিক্ষক এই স্কুলে যোগদান করেন, তাহলে তাদের সন্তানদের অন্য স্কুলের ভর্তি করাবেন।
এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির সভাপতি ছাহেব আলী বলেন, শিক্ষক হাবিবুর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। রয়েছে নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ। তিনি এই স্কুলের যোগদান করলে এই স্কুলের ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনা ধ্বংস হয়ে যাবে। তাই আমরা এই বিতর্কিত শিক্ষককে যোগদান না করতে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছি। আমরা চাই না আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম পড়ালেখা থেকে বঞ্চিত হয়ে ধ্বংসের পথে ধাবিত হোক।
এ ব্যাপারে বদলি হয়ে আসা প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান বাহার বলেন, গত ২ অক্টোবর কর্তৃপক্ষের আদেশে বদলির হয়ে শাইলগাছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের জন্য যাই। তিনি আরও বলেন স্কুলের সিনিয়ির সহকারী শিক্ষক কাজী মান্নান ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষে আদেশ অমান্য করে প্রধান শিক্ষকের হাতে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেননি এবং অফিস কক্ষ তালা বদ্ধ করে রেখেছেন। পরে এ বিষটি উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ স্যারকে অবগত করেছি। কিন্তু তিনি কোন কার্যকরি প্রদক্ষেপ নিচ্ছেন না। আমি যথারীতি স্কুলে সঠিক সময়ে যাই এবং বাজার থেকে খাতা কিনে যোগদানের বিষয়ে স্বাক্ষর করি।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার হাসান মোহাম্মদ জোনায়েদ বলেন, যোগদানের বিষয়টি নিয়ে গ্রামবাসীরা একটি আবেদন করেন। ওই আবেদনটি আমাদের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট পাঠিয়েছি। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। তিনি আরও বলেন শিক্ষক হাবিবুর রহমান বদলি হয়ে ওই স্কুলের যাচ্ছেন, কিন্তু গ্রামবাসীরা তাকে চায় না। এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষ অবগত করা হয়েছে।