রায়হান আহমেদ, চুনারুঘাট : সম্প্রতি পাহাড়ী ঢলে চুনারুঘাট উপজেলার পশ্চিম ডুলনা গ্রামের ভাঙ্গারপুল ছড়ার উপর পুরাতন একটি সেতু ধসে পড়ে। পারাপারের জন্য স্থানীয়রা তৎক্ষণাত বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত এলাকাবাসী চলাচল করে। গত বুধবারে স্কুল ছাত্র রবিউল সেই সাঁকো থেকে পা পিছলে ছড়ার পানিতে পড়ে মৃত্যুবরণ করে। এ খবর স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকাসহ ইলেকট্রিক মিডিয়ায় প্রকাশ হয়। এ মর্মান্তিক খবরটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন এর নজরে পড়লে তিনি ঢাকা থেকে চুনারুঘাটে ছুঁটে আসেন। গতকাল শুক্রবার দিনব্যাপী স্থানীয় লোকজনদের নিয়ে সেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে তিনি সেখানে একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে দেন। এবং কাঠের ব্রীজটির নামকরণ করা হয়, “রবিউল সেতু।” পারাপারে ঝুঁকি ও কষ্ট লাঘবে কাঠের সেতুটি পাওয়ায় এলাকাবাসীর মাঝে ব্যাপক আনন্দ ও উদ্দীপনা লক্ষ করা গেছে। সেতুটি নির্মাণের সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কেএম আনোয়ার, বিশিষ্ট সমাজসেবক সাইফুল ইসলাম চৌধুরী লিটন, চুনারুঘাট সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক রাজু, স্থানীয় মেম্বার মালেক মিয়া, যুবলীগ নেতা রফিক মিয়া, দুলাল মিয়া, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন-আহ্বায়ক সফিউল আলম সোহাগ, সাইফুর রহমান সোহাগ প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ সেপ্টেম্বর বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার ১নং গাজীপুর ইউনিয়নের পশ্চিম ডুলনা গ্রামের ভাঙ্গারপুল ছড়ার উপর সাঁকো থেকে পা পিছলে পানিতে পড়ে রবিউল নামে এক স্কুল ছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে শায়েস্তাগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে আসেন। প্রায় এক ঘন্টা চেষ্টার পর স্থানীয় লোকজন ছড়ার পানি থেকে তার লাশ উদ্ধার করেন। নিহত রবিউল ডুলনা গ্রামের জহুর আলীর পুত্র ও স্থানীয় হাজী ছুরত আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র। স্থানীয় সূত্র জানায়, গনসকির পাড়-সাদ্দামবাজার গ্রামীণ সড়কে ছড়ার উপরের ব্রীজটি গত ২-৩ মাস আগে পাহাড়ি ঢলে ধসে পড়ে।