রায়হান আহমেদ, চুনারুঘাট : চুনারুঘাটে যুবতী সুমা রাণী হত্যার ঘটনায় ঘাতক প্রেমিককে আটক করেছেন চুনারুঘাট থানা পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আজ বৃহস্পতিবার ঘাতক আলমগীরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। হত্যাকারী আলমগীর রাজিউড়া ইউনিয়নের ডুমরা গ্রামের মীর হোসেনের ছেলে।
মামলার তদন্ত কারী কর্মকর্তা এসআই জাহাঙ্গীর কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, আটক আলমগীর হত্যার মূল হোতা।
জানা যায়, বন্ধুদের ধর্ষণের সুযোগ না দেয়ায় হত্যা করেছে ঘাতক প্রেমিক আলমগীর। জবানবন্দিতে এমনটিই জানিয়েছে সে। তার দেয়া তথ্যমতে ঘটনার সাথে জরিত একই ইউনিয়নের আকদপুর গ্রামের মৃত ধলাই মিয়ার ছেলে জাহির মিয়া (৩৮) কে গ্রেফতার করা হয়।
জবানবন্দি সূত্রে জানা যায়, প্রেমিক আলমগীর সীমাকে ওলিপুর তার দোকানে আসার জন্য নিমন্ত্রণ জানায়। দোকানে আসলে ভুলিয়ে-ভালিয়ে রঘুনন্দন পাহাড়ে ঘুরতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর সুমা রাণীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সুমা রাণী প্রেমিক আলমগীরের সহযোগীদের সাথে শারীরিক সম্পর্ক না করায় শাড়ির আচল পেঁছিয়ে হত্যা করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, সুমা রানীর ৩ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে। সুমা রাণী বাহ্মণবাড়ীয়ার শরাইল থানার নিয়ামতপুর গ্রামের বাদল সরকারের সাথে বিয়ে হয় বছর পাঁচেক আগে। স্বামী বাদল সরকারে সাথে সাংসারিক কলহের জন্য সাত মাস সে আলাদা ছিল।
এ ব্যাপারে চুনারুঘাট থানার ওসি কে.এম আজমিরুজ্জামান জানান, আলমগীর গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী বাকি আসামীদের গ্রেফতার করার জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, হবিগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যার কথা স্বীকার করে ঘাতক আলমগীর। আমরা কল লিষ্টের সূত্র ধরে বেশ কয়েক জনের নাম ইতিমধ্যে সনাক্ত করেছি। আশা করি, অতি শীঘ্রই জরিতদের গ্রেফতার করে আইনের অওতায় নিয়ে আসব ইনশাআল্লাহ।
প্রসঙ্গত, গত ৬ জানুয়ারি উপজেলার রঘুনন্দন পাহাড় থেকে অজ্ঞাত যুবতীর লাশ উদ্ধার করে চুনারুঘাট থানা পুলিশ। যুবতীর পড়নে নীল রঙ্গের শাড়ি ও কপালে সিদুর ছিল। যুবতীর লাশ উদ্ধারের তিন দিন পর তার পরিচয় পাওয়া যায়। পরে যুবতীর মা সন্ধ্যা রাণী বাদী হয়ে চুনারুঘাট থানায় অজ্ঞাত আসামী করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।