নবীগঞ্জ প্রতিনিধি : নবীগঞ্জে ঘরে প্রবেশ করে মিলু রাণী সুত্রধর (৬০) নামে এক বৃদ্ধাকে কুপিয়ে হত্যার ৪ দিন পর গত শনিবার গভীর রাতে ভৈরবের ঘুমড়াকান্দা মহল্লা থেকে ঘাতক রনজিৎ সুত্রধরকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
ঘাতক রনজিৎ ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের রাজনগর গ্রামের অবিনাশ সুত্রধরের পুত্র।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে ঘাতক রনজিৎ ভৈরবের ঘুমড়াকান্দা মহল্লায় অবস্থান করছে। শনিবার রাতেই ইনাতগঞ্জ ফাড়ির ইনচার্জ সামছুল আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ ভৈরবের ঘুমড়াকান্দা মহল্লায় অবস্থান নিয়ে গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক রনজিৎ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে।
ঘাতক রনজিৎ পুলিশকে জানায়, নিহত মিলু রাণী সুত্রধর তার সম্পর্কে ঠাকুর মা হয়। সে তার ঠাকুর মায়ের কাছে ঘটনার দশ-বার দিন পূর্বে ২০ হাজার টাকা জমা রেখেছিল। ঘটনার দিন গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রনজিৎ তার ঠাকুর মায়ের কাছ থেকে টাকা আনতে তাদের বাড়িতে যায়।
সে তার ঠাকুর মায়ের কাছে টাকা খুঁজলে তিনি কিসের টাকা জানতে চান এবং তিনি তার টাকার কথা অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে টাকা নিয়ে বাকবিতন্ডা হয়। তার পিসি শিল্পী সুত্রধর তাকে দা দিয়ে কুপ দেয়। সে প্রাণ রক্ষায় দা কেড়ে নিয়ে তাদের এলোপাতারি কুপাতে থাকে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার রাতে নবীগঞ্জ উপজেলার ইনাতগঞ্জ ইউনিয়নের ইছবপুর গ্রামের মৃত চাঁনমণি সুত্রধরের স্ত্রী মিলু রানী সুত্রধর ও তার কন্যা শিল্পী রানী সুত্রধরের উপর তাদের বসত ঘরে প্রবেশ করে রনজিৎ হামলায় চালায়। এতে ঘটনাস্থলে মিলু রানী সুত্রধর নিহত হন।
এ ঘটনায় আহত তার মেয়ে শিল্পী রাণী সুত্রধর এখনো সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। পুলিশের বিশেষ অভিযানে হত্যাকান্ডের ৪দিন পর ঘাতককে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।
নবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ ইকবাল হোসেন বলেন, আটককৃত রনজিৎ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। সে কিভাবে হত্যাকান্ড করছে তারও বর্ণনা দিয়েছে। আমরা ঘটনার সাথে আরো কেউ জড়িত আছে কিনা কিংবা অন্য কোন কারন রয়েছে কিনা তা উদঘাটনের জন্য তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি।