রক্ষক যখন ভক্ষক হয়, সমাজে তখন নিরাপত্তার সংশয়। এমন অফিসার শুধুই একটি কলঙ্কের নাম…
জনমত নিউজ : ফেনীর সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
প্রত্যাহারের পর তাকে তাৎক্ষণিকভাবে আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) বদলি করা হয়েছে। এছাড়া সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার ছাত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার মামলা তদন্তের জন্য পিবিআইতে স্থানান্তর করা হয়েছে।
গত বুধবারে পুলিশ সদর দফতরের জনসংযোগ শাখার এআইজি সোহেল রানা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ওসিকে এপিবিএনে বদলির খবর নিশ্চিত করেছেন ফেনীর পুলিশ সুপার এসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার।
প্রসঙ্গত, ৬ এপ্রিল সকাল ৯টার দিকে আলিম (এইচএসসি) পর্যায়ের আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসাকেন্দ্রে যান ওই ছাত্রী। এরপর কৌশলে তাকে পাশের ভবনের ছাদে ডেকে নেওয়া হয়।
সেখানে ৪-৫ জন বোরকা পরিহিত ব্যক্তি ওই ছাত্রীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে তার শরীরের ৮০ শতাংশ পুড়ে যায়।
এর আগে রাফিকে বিভিন্ন সময় ধর্ষণ করে মাদ্রাসা শিক্ষক সিরাজউদ্দৌলা। তার বিচার চাইতে ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনের কাছে গেলে তিনি নুসরাতের জবানবন্দির একটি ভিডিও করেন। যা এখন ফেইসবুকে ভাইরাল। ভিডিওতে দেখা যায়,ওসি তাকে নানান অযৌক্তিক ও কুরুচিপূর্ণ প্রশ্ন করতে এবং শেষে বলেন, এটা কিচ্ছুই না।
আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নুসরাতের স্বজনরা প্রথমে সোনাগাজী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে ফেনী সদর হাসপাতালে নিয়ে যান।
সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়। অবস্থার অবনতি হয়ে পরে সে মৃত্যুবরণ করে।
এদিকে সোনাগাজী থানার ওসি মোয়াজ্জেম হোসেনকে তৎক্ষনাত প্রত্যাহার করায় অনেকেই ফেইসবুকে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সাথে আরো কঠোর শাস্তির জন্য উর্ধ্বতন কর্মকতার নিকট দাবি জানান।