হবিগঞ্জ প্রতিনিধি : হবিগঞ্জে জেলা পরিষদের সিএ’র বিরুদ্ধে ২ লাখ টাকা ঘুষ নেয়ার অভিযোগ করেছেন জেলা পরিষদের কর্মচারী মৃত দুলাল মিয়ার স্ত্রী রুজিনা আক্তার।
স্বামীর মৃত্যুর পর তার পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে তিনি এ ঘুষ নেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন। বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুদ্দুছ আলী সরকারকে।
অভিযোগে রুজিনা আক্তার উল্লেখ করেন, তার স্বামী দুলাল মিয়া মাধবপুর উপজেলা রেস্টহাউসে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চাকরিরত থাকা অবস্থায়ই তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর পেনশনের টাকা উত্তোলন করতে গেলে অফিসের পিয়ন শুভ তাকে দ্রুত টাকা পেতে সিএ রিমন সরকারের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দেন।
প্রথমে রিমন ৩ লাখ টাকা দাবি করলেও পরবর্তী সময়ে শুভকে নিয়ে আলোচনা করে ২ লাখ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রিমন সরকার কয়েকটি চেকের পাতায় তার স্বাক্ষর রাখেন। পেনশনের টাকা পাওয়ার পর ২ লাখ টাকা দিয়ে চেকের পাতা ফেরত নেন।
এ বিষয়ে সিএ রিমন সরকার জানান, তিনি কোনো টাকা নেননি। অভিযোগ সত্য নয়।
অভিযোগকারী রুজিনা আক্তার জানান, সিএ রিমন সরকার তার কাছ থেকে ২ লাখ টাকা নিয়েছেন। একই অফিসের পিয়ন শুভকে নিয়ে তিনি এ টাকা দিয়েছেন। তিনি বলেন, এ টাকা কারা কারা ভাগ করে নিয়েছেন তা আমি জানি না।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কুদ্দুছ আলী সরকার জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। তদন্ত করে যেই দোষী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাছাড়া এখানে সিন্ডিকেট রয়েছে। বিভিন্ন সময়ই একেকজন অন্য একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়। তিনি বলেন, প্রশাসনিক ব্যবস্থায় ভাই বলে কিছু নেই।
এখানে আত্মীয়তা কোনো বিষয় নয়। তবে এর সঙ্গে এমএলএসএস শুভ’র কোনো যোগসাজশ থাকতে পারে।
এমএলএসএস শুভ জানায়, বিষয়টি তার জানা আছে, কিন্তু কোনো কিছুতেই তিনি জড়িত নন।
তিনি বলেন, আমার মতো একজন পিয়নের পক্ষেতো কিছু করা সম্ভব নয়। এখন তার ভাইকে বাঁচানোর জন্য আমাকে নিরীহ পেয়ে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরী জানান, একটা কিছুতো ঘটেছেই। না ঘটলেতো কেউ এমনি এমনিই অভিযোগ দেয় না। তদন্ত করে যেই দোষী হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।