জনমত রিপোর্ট :২০১২ সালে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়া ঢাকাই চলচ্চিত্রে পা রাখে। ডিজিটাল সিনেমা নির্মাণের পরিকল্পনা করে সে বছর এই প্রতিষ্ঠান থেকে ‘ভালোবাসার রং’ নামে ডিজিটাল সিনেমা নির্মিত হয়। এরপর জিজিটাল প্রজেকশন বসিয়ে দেশের কিছু হল ডিজিটাল করে সিনেমা মুক্তি দেয়। বতর্মানে ৩১০টি প্রেক্ষাগৃহে প্রজেকশন আছে এবং ২১টি প্রেক্ষাগৃহ নতুন করে চালু করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
অতীতের সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে বর্তমানে ৩৩০টি প্রেক্ষাগৃহে প্রজেকশন মেশিন বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান। প্রেক্ষাগৃহের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে আরো প্রজেকশন বসানোর জন্যও প্রস্তুত জাজ। সিনেমা মুক্তির জন্য আরো আধুনিক সফটওয়্যার ও সময়োপযোগী করা হয়েছে। এছাড়া চলচ্চিত্র প্রযোজকদের সিনেমা প্রযোজনা করায় উদ্বুদ্ধ করার জন্য ভিপিএফ বিল যৌক্তিকভাবে কমানো হয়েছে। এছাড়া সিনেমা হলের সার্ভার, প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেমের ভাড়া ফ্রি করে দেয়া হয়েছে। সিনেমা হলগুলোতে সহযোগিতা করতে দক্ষ জনবলও নেয়া হয়েছে।
জাজ মাল্টিমিডিয়া থেকে এ পর্যন্ত ৪০টি সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। আসছে ঈদুল ফিতরে এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ‘বেপরোয়া’ সিনেমাটি সারা দেশে মুক্তি পাবে। ‘শনিবার বিকেল’ সিনেমাটির মুক্তি প্রক্রিয়াধীন। সিনেমা শূন্য প্রেক্ষাগৃহ বাঁচাতে ভারত থেকে ৪টি সিনেমা আমদানির প্রক্রিয়া চলছে। এছাড়া জাজ মাল্টিমিডিয়ার প্রযোজনায় নতুন ৪টি সিনেমা নির্মাণ করা হবে। সিনেমাগুলোতে সিয়াম, পূজা, রোশান, নুসরাত ফারিয়া এবং ভারতীয় নায়ক-নায়িকার অভিনয় করার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রি-প্রোডাকশনের কাজ চলছে- ‘জ্বীন’ এবং শিশুতোষ সিনেমা ‘জি পি এস ট্রাকার’র। এটি আন্তর্জাতিক ভাবে মুক্তি দেয়া হবে।এছাড়া যৌথ প্রযোজনায় সিনেমা নির্মাণের জন্য ভারতের সঙ্গে আলোচনা করছে প্রতিষ্ঠানটি।