শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ৬ষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রী নিজের বাড়ীতেই ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত মঙ্গলবার উপজেলার সিন্দুরখান ইউনিয়নের বেলতলী গ্রামে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। নির্যাতিত ওই ছাত্রীর পরিবার এ ঘটনার দু’দিন পর বৃহস্পতিবার থানায় মামলা করেন। তবে পুলিশ এখনো অভিযুক্তকে ধরতে পারেননি।
ওই মেয়ের পারিবার সূত্রে জানা যায়, শিশুটির পিতা দিনমজুর। গত মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে তাদের পাশের বাড়ির বখাটে মুন্না মিয়া (১৮) মেয়েটিকে বাড়ীতে একা পেয়ে ধর্ষণ করে। মুন্না একই গ্রামের মতলিব মিয়ার ছেলে।
সিন্দুরখান ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল হেলাল বলেন, ধর্ষিতা শিশুটি স্থানীয় আব্দুল গফুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
মেয়ের বাবা বলেন, ঘটনার দিন মঙ্গলবার বিকেলে কাজ শেষে বাড়ি ফিরে তিনি মুন্নাকে ঘরে দেখতে পান। তাকে দেখেই মুন্না দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এরপর অসুস্থ অবস্থায় মেয়েকে দ্রুত মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। এখনও সে ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
মৌলভীবাজারের ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী পাল কানুনগো বলেন, ‘মেডিকেল বোর্ড গঠন করে মেয়েটির চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। আইনের বাধ্যবাধকতা থাকায় সবকিছু বলা যাচ্ছে না’।
ঘটনার দু’দিনের মাথায় মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রীমঙ্গল থানায় এজহার দাখিল করেন। মামলাটি ওই দিনই রেকর্ড করে উপ-পুলিশ পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেনকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মামলার আইও দেলোয়ার হোসেন মুঠোফোনে জানান, ‘অভিযুক্ত মুন্নাকে ধরতে তিনি নানানস্থানে সোর্স লাগিয়েছেন। আশা করছেন তাকে দুই-তিনদিনের মধ্যে গ্রেফতার করতে পারবেন’। তিনি বলেন, ‘মেয়েটিকে ঘরে একা পেয়ে বখাটে মুন্না তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ কালে পরিবারের কেউ বাড়ীতে ছিল না’।
এদিকে মৌলভীবাজারের পুলিশ সুপার মো. শাহজালাল গত বৃহস্পতিবার হাসপাতালে গিয়ে মেয়েটির খোঁজখবর নেন।
শ্রীমঙ্গল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) মো. সোহেল রানা বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব অপরাধীকে গ্রেফতারপূর্বক আইনের আওতায় নিয়ে আসা হবে।