জনমত রিপোর্ট : গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের দুই জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোস্তফা কামাল (৩৩) নামে একজন মাদক ব্যবসায়ী এবং কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দল ইয়াবা ব্যবসায়ীর মধ্যে ‘গোলাগুলিতে’ একজন নিহত হয়েছেন।
|সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোস্তফা কামাল (৩৩) নামে মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এ সময় আরো চারজনকে আটক করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ফেনসিডিল ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার ভোরে উপজেলার ঘোষগাঁতী এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে। নিহত মোস্তফা কামাল পৌর এলাকার কাওয়াক গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদের ছেলে।
ঘটনাস্থল থেকে আটককৃত চারজন হলেন- পৌর এলাকার ঘোষগাঁতী মহল্লার সাধন চন্দ্র সাহার ছেলে সজীব কুমার সাহা ওরফে গণেশ (২৪), সঞ্জয় চন্দ্র সাহা (১৯), মৃত আব্দুস ছালামের ছেলে সনি আহমেদ (৩৫) ও বেলকুচি উপজেলার ক্ষিদ্র গোপরেখী গ্রামের সুলতানের ছেলে সেলিম রেজা (২৪)।
উল্লাপাড়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান কওশিক আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পৌর এলাকার ঘোষগাঁতী মহল্লায় মাদক বিক্রি হচ্ছে, এমন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) গভীর রাতে সেখানে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মাদকবিক্রেতারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এসময় শীর্ষ মাদকবিক্রেতা মোস্তফা কামাল গুলিবিদ্ধ হয়, বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে মৃত অবস্থায় মোস্তফা কামালের মরদেহ উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ঘটনাস্থল থেকে আরো চার মাদক বিক্রেতাকে আটক এবং ২১ বোতল ফেনসিডিল ও ৮০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত শীর্ষ মাদকবিক্রেতা মোস্তফা কামালের নামে ১১টি ও আটককৃতদের নামে একাধিক মামলা রয়েছে।
কক্সবাজার জেলার টেকনাফে দুই পক্ষের গোলাগুলিতে সাহাব উদ্দিন (৩২) নামে একজন নিহত হয়েছেন। শনিবার ভোরে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের কাঞ্জরপাড়ার পাহাড়ী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুইটি এলজি, সাত রাউন্ড কার্তূজ, নয়টি খালী খোসা ও ২৪০০ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত সাহাব উদ্দিন এই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে। পুলিশের দাবি তিনি মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
টেকনাফ মডেল থানার অপারেশন অফিসার ও পুলিশ পরিদর্শক রাকিবুল ইসলাম খান জানান, ভোর রাতে কাঞ্জরপাড়ার পাহাড়ি এলাকায় মাদক ও সন্ত্রাসী দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে টেকনাফ থানা পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে গেলে অস্ত্রধারীরা দুর্গম পাহাড়ে ঢুকে পড়ে।
পরে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। এসময় ঘটনাস্থলে গোলাবারুদ অস্ত্র ও ইয়াবা পাওয়া যায়।
এদিকে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে উদ্ধার করে টেকনাফ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।